করোনায় ভয়ের কারাগার

জসিম উদ্দিন | Feb 19, 2020 05:57 pm
করোনায় ভয়ের কারাগার

করোনায় ভয়ের কারাগার - ছবি : সংগ্রহ

 

প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া করোনাভাইরাসের প্রবল ক্ষমতা আমরা দেখতে পেলাম। প্রাণহানির হার শেষ পর্যন্ত কমতির দিকে বলা হলেও মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক ও আশঙ্কা বিরাজ করছে। নিকট অতীতে ছড়িয়ে পড়া সার্স ও মার্সের চেয়ে এ ভাইরাসে সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুর হার অনেক কম। তবে এ ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার গতি অনেক দ্রুত। মানুষের সাথে এর রয়েছে রহস্যজনক আচরণ। সব মিলিয়ে যা ভীতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উপযুক্ত। মহামারী ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্র হুবেই প্রদেশের উহান ও প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস মানবতার জন্য নতুন এক রহস্য। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার প্রকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।

সিঙ্গাপুর ও হংকং বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান দুটো কেন্দ্র। চীনের সাথে রয়েছে এ দু’টি সিটি স্টেটের গভীর সংযোগ। এ দুটো দেশ বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সংযোগ হিসেবে কাজ করেছে বলে অনেকের মধ্যে ভীতি ঢুকছে। বিভিন্ন সভা সেমিনার কিংবা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে এ দুটো শহরে এসেছেন এমন মানুষেরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা আক্রন্ত হয়েছেন, এমনটি দেখা যাচ্ছে। দুটো প্রমোদতরীতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপার ছিল বিস্ময়কর। জাপানে আটকেপড়া ব্রিটিশ প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস এখন ভয়ের কারাগার। জাপান জাহাজটিকে কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছে।

হংকংয়ের একজন বৃদ্ধ নাগরিকের প্রমোদতরীটি ত্যাগের ৫ দিন পর করোনা শনাক্ত হয়। তারও ১০ দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি যখন জাপানের ইয়োকোহোমায় প্রবেশ করে তখন ১০ জনের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপর কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় প্রতিদিন নতুন নতুন যাত্রীরা সংক্রমিত হচ্ছেন জাহাজটিতে। তিন হাজার ৭০০ যাত্রীর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬৮১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে রয়েছে ৫০টি দেশের নাগরিক। এ নিয়ে সারা বিশ্বে তাদের থাকা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্র ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করতে এসে মানুষ এখন মৃত্যুর মুখে পড়েছেন। এমনটি কেউ মেনে নিতে পারছে না।

আপনা হতে উহান ভাইরাস নাম পেয়ে গেছে করোনা। এর সংক্রমণ ঘটেছে অন্য প্রাণী থেকে, এ ব্যাপারটিও একপ্রকার নিশ্চিত। কোয়ারেন্টাইন করে উহানে এটিকে সীমিত করে রাখার চেষ্টা করা হলেও সারা বিশ্বে এটি ছড়িয়ে পড়ছে ভায়া হয়ে। উহানে এ ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী দেখা দিয়েছে। চীনের অন্যান্য শহরে এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়নি। একইভাবে প্রতিবেশী সিঙ্গাপুর-হংকং ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার উৎস হয়েছে। আর ডায়মন্ড প্রিন্সেস হচ্ছে এমন এক কারাগার, যেখানে প্রায় সবাই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই জাহাজে এক দিনে ১০০ জন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। উহানে যে মহামারী চলছে, ডায়মন্ড প্রিন্সেসেও একই রকমভাবে সেটি দেখা যাচ্ছে, অন্ততপক্ষে ব্যাপকভাবে এ ভাইরাস ছড়ানোর ব্যাপারে সেটা বলা যায়। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ প্রাণ হারাননি।

সংক্রমণ হওয়া জনপদকে আলাদা করে বাকি মানুষ সব সময় মহামারী থেকে বাঁচতে চেয়েছে। সাময়িকভাবে এর সুফল বাকিরা পেয়েছে। কিন্তু যাদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, সেটা তাদের জন্য একটি মৃত্যুপুরী হয়েছে। প্রমোদতরী ডায়মন্ডে যারা আটকা পড়েছেন, তারা করোনার প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী নন। কেউ একজনের মাধ্যমে প্রথমে এর সংক্রমণ হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন না থাকলে জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপকহারে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ হতো না। যেমন যেসব এলাকার মানুষ এখনো উহানের সংক্রমিত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেনি, তাদের কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। আবার কোনো-না-কোনোভাবে উহানের সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে আসার কারণে বিদেশীদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এভাবে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকায় ইতোমধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটে গেছে।
ডায়মন্ডের যাত্রীদের সবাইকে যেভাবে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, সেটা কতটুকু যৌক্তিক। প্রথম মানুষটি যখন সংক্রমিত হয়েছে তাকে আলাদা করে নেয়া অন্যদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। যখন যার মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হতো, তাকে আলাদা করে নেয়া হলে তার দ্বারা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকত না। ফলে জাহাজটিতে শত শত মানুষ এভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়তেন না। মহামারী থেকে মানুষের নিজের নিরাপদ হওয়ার যে আপ্রাণ চেষ্টা, সেটা অনেক সময় নিষ্ঠুরতা হয়ে যায়। এ ধরনের নিষ্ঠুরতা ইতিহাসের সব পর্বেই দেখা গেছে। প্রকৃতপক্ষে কোনো মানুষই শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারে না।

প্রথমে বলা হয়েছিল, ১৪ দিন ভাইরাসটি মানুষের শরীরে সুপ্ত থাকতে পারে। এরপর এর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া মানুষের দেহে প্রকাশ হয়। এখন বলা হচ্ছে, না আরো ১০ দিন লেগে যেতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সুপ্ত অবস্থায় ভাইরাসটি বাহকের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়ায় কি না। এখন পৃথিবীর ৩০টি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এদের প্রত্যেকের কাছে ভাইরাসটি এসেছে চীন থেকে, সে প্রমাণ সহজে দেয়া যাবে। কারণ, এসব মানুষ চীনের অধিবাসী অথবা তারা সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছিলেন। চীন ভ্রমণ না করলেও তারা কোনোকোনোভাবে চীনা মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন। বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্র হংকং ও সিঙ্গাপুরে ভ্রমনের সাথে এ ভাইরাস সংক্রমনের সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আক্রান্ত হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দিনে একশজনের বেশি করে মানুষ সেখানে মারা গেছে। দুই লাখের বেশি মানুষকে সেখানে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। পুরো প্রদেশটিকে এমনিতেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে আগেই। সুপ্ত অবস্থায় অনেকদিন শরীরে অবস্থানের কারনে কোরোনার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার জন্য ভাইরসাটির এমন সুপ্তাবস্থা অনুকূল। এখন এর ছড়িয়ে পড়া চীনে কিছুটা স্তিমিত হয়েছে এ পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য মানুষের কৃতিত্ব সম্ভবত দেয়া যাবে না। সাধারণত সংক্রমনের হার জ্যামিতহারে বাড়ার কথা। একজনের কাছ থেকে এটি একাধিক মানুষের কাছে ছড়ায়। এভাবে একজন মানুষের সংক্রমন থেকে একটি জনপদের সব মানুষই এতে সংক্রমিত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আপনা হতেই চীনে এর সংক্রমন বাড়ার হার স্তিমিত হয়ে আসছে। কোয়ারেন্টাইন করে যদি এর সংক্রমন রোধ করার কৃতিত্ব মানুষ নিতে চায় সেটা যে সম্ভব হয় না তার বহু উদাহরন দেয়া যাবে। মানুষের সীমালঙ্ঘনের কারনে এই ধরনের প্রাণঘাতি ভাইরাসেরর প্রাদুর্ভাব হলেও এই ভাইরাস আবার একইভাবে কোনো এক অজ্ঞাত কারনে স্তিমিত হয়ে শেষ পর্যন্ত হারিয়েও যায়। এরও বহু নজির মানুষের সমাজে রয়েছে।

মানবজাতি ভয়াবহ একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমন একটা সতর্কতা সবসময় জারি রয়েছে। আর্থ্যাৎ বিশ্ববাসি ভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের আক্রমন মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর অত্যন্ত দ্রততার সাথে ভাইরাসটির জেনেটিক ক্রম (সিকুয়েন্স) শণাক্ত করেছে চীন। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা আক্রান্ত রোগির দেহ থেকে কোরানা ভাইরাস আলাদা করে সংরক্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ উদ্ভাবনে এগুলো কাজ দেবে বলে তারা মনে করছে। বলা হচ্ছে ছয় মাসের মধ্যে এর ওষুধ আবিষ্কার করা যাবে। ততদিনে করোনা আপনা থেকে স্তিমিত হয়ে যেতে পারে। এর আগের প্রাণঘাতী ভাইরসাগুলোকে আমরা বিদায় নিতে দেখেছি। একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে বোঝা যাচ্ছে এই ধরনের মহামারীর জন্য আগত ভাইরাসগুলো পুরনো নয়, নতুন। এই ভাইরাসে আগে মানুষ আক্রান্ত হননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সতর্কতা বিশ্ববাসীর জন্য দিয়ে রেখেছে সেই হুমকি মোকাবেলা কিন্তু কোরোনার টিকা আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বরং নতুন নতুন ভাইরাসের আগমনে এই আশংকা আরো প্রবল হচ্ছে। নতুন কোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মানুষের সমাজে হতে পারে যার আক্রমণ হতে পারে আরো ভয়াবহ। এই অবস্থায় প্রয়োজন একটি মহৌষদ। যে মহৌষদটি যেকোনো ধরনের ভাইরাস মোকাবেলায় সক্ষম হবে। আপাতত কোরোনা প্রতিরোধে টিকার আবিস্কার দুর্সাধ্য মনে হচ্ছে। এ ধরনের মহৌষদ আবিষ্কার আদৌ যে সম্ভব নয় সেটাও মানুষ চিন্তা করলে বুঝে যেতে পারে।

মানবতার বিরুদ্ধে যেকোনো আক্রমণের মধ্যে মানুষের জন্য শিক্ষণীয় রয়েছে। বস্তুত প্রাণীজগতের মধ্যে মানুষ সবচেয়ে উন্নত প্রাণী। বুদ্ধি, বিবেচনায় এতটাই মানুষ এগিয়ে রয়েছে অন্য কোনো প্রাণী মানুষের প্রতিযোগী হয়ে উঠবে তার দূরতম কোনো সম্ভাবনাই দেখা যায় না। এখন মানুষের সমাজে যদি কোনো বড় মহামারী ছড়িয়ে পড়ে তারা অন্য প্রাণীর কাছ থেকে সহায়তা পাবেন তার আশা করা যায় না। তবে মানুষের কাছে যে উচ্চ বুদ্ধি ও বিবেচনা রয়েছে সেটাকে কাজে লাগালে এই ধরনের মহামারী এড়িয়ে চলতে পারে। প্রকৃতির রাজপুত্র হিসেবে মানুষ তার প্রতি ন্যায্য আচারণ করেনি। করোনা ভাইরসা যে দেশটি থেকে ছড়িয়েছে সেদেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃতির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ নামার অভিযোগ রয়েছে। একটি ধনবান রাষ্ট্র হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন দেশটি তার সবই করছে। প্রাণীদের প্রতি তাদের আচরণ সংযত নয়। করোনা প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার কারণের জন্য চীনকে দোষ দিচ্ছে মানুষ। বিবেক-বুদ্ধি সঠিকভাবে মানুষ কাজে লাগাচ্ছে না। মানুষের আহার নিদ্রা, তার সাথে অন্যান্য প্রাণীর সম্পর্ক এগুলোর মাত্রা প্রকৃতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে সীমালঙ্ঘন হলে বিপর্যয় নেমে আসে মানুষের সমাজে। মানুষের সমাজে নেমে আসা প্রত্যেকটি প্রাণঘাতী রোগের ইতিহাস পাঠ করলেই সেটা পাওয়া যাবে।

অহেতুক ভীতি ও ঘৃণা
মুসলিম ভীতির শিকার সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। একদল সন্ত্রাসী নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার পর এমটি ঘটেছিল। মুসলমান নাম দেখলেই কিংবা পোশাক ও চেহারায় কেউ মুসলমান বলে অনুমিত হলে তার প্রতি নানাভাবে ঘৃনা প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য কত মানুষ সারাবিশ্বে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন- তার হিসাব নেই। করোনা ভাইরাস নতুন করে সেটাকে চাগিয়ে তুলেছে। এবার এর শিকার চীনারা কিংবা এশীয়রা। চেহারা চীনা মনে হলে তার ওপর অহেতুক লাঞ্ছনা অপমান নেমে আসছে।

সামাজিক মাধ্যমে চীনাদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে এবং অন্যদের বাঁচাতে একদল মানুষ এমনটি করে যাচ্ছেন। এর ফলে চীনা পর্যটকরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। অনেকের চেহারা এশীয় হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল, কানাডায় এক সাদা চামড়ার মানুষ চীনা বংশোদ্ভূত একজনকে বলছে সে যেন তার করোনা ভাইরাসটি ফেলে আসে। ইতালির মিলানে একজন আহ্বান জানাচ্ছে বাচ্চাদের চীনা সহপাঠী থেকে দূরে রাখতে। মালয়েশিয়ায় একটি দরখাস্ত রাখা হয়েছে, যাতে আহ্বান জানানো হয়েছে চীনারা যাতে দেশটিতে প্রবেশাধিকার না পায়। এ আবেদনের পক্ষে লাখ লাখ সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে।

আল কায়েদা, তালেবান, আইসিসসহ বিভিন্নভাবে ইসলামি দলের নাম করে চালানো সন্ত্রাসের অপবাদের ভার বহন করতে হয়েছে পুরো মুসলিম বিশ্বকে। উহানে ছড়িয়ে পড়া, করোনার জন্য দায়ভোগ করতে হচ্ছে এশিয়ান চেহারার লোকজনকে, বিশেষ করে চীনাদের। জাত-গোত্রের প্রতি মানুষের মধ্যে অহেতুক ঘৃণা ও ভয়ের প্রকৃত কারণ কী? চেহারা যা-ই হোক, প্রত্যেকটি মানুষের দেহে তো একই রক্ত বহমান। দেহগঠনে সবার একই বৈশিষ্ট্য। আজ সারা বিশ্বে চীনারা হেনস্থার শিকার; যেমনটি শিকার হয়েছিল কিছুদিন আগে মুসলমানরা। এহেন আচরণের কোনো যুক্তি আসলে নেই। কানাডায় বসবাসরত একজন চীনা বংশোদ্ভূত মানুষকে কেন উহানে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের জন্য মূল্য দিতে হবে? করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার যতটা গুরুত্বপূর্ণ, এ ব্যাপারটি জানা তার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এরপরে অন্য কোনো ঘটনায় অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীও হেনস্থার শিকার হতে পারেন। এর আগেও অনেক জাতি এ ধরনের জাতি বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।

jjshim146@yahoo.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us