খাদিজার বোরকায় দমবন্ধ হয় তসলিমার! খেলেন চপেটাঘাত
খাদিজার বোরকায় দমবন্ধ হয় তসলিমার! খেলেন চপেটাঘাত - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের সুরের জাদুকর ওস্কার পুরস্কারজয়ী এ আর রহমানের কন্যা খাদিজার বোরকা তার দম বন্ধ হয়ে আসে- এমন মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিতর্কিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তার এই মন্তব্য নিয়ে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তসলিমাকে ছাড়া হয়নি। এমনকি তাকে জবাব দিয়েছেন রহমান-কন্যাও।
সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও সঙ্গীত প্রযোজক এ আর রহমানের মেয়ে খাদিজার বোরকায় মুখ ঢাকা নিয়ে শোরগোল হয়েছিল গত বছর। একে ভালো চোখে দেখেনি কয়েকটি দল। তবে সে বার সাহসী জবাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলকে থামিয়েছেন এ আর রহমান স্বয়ং। এ বার সেই একই প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুললেন তসলিমা নাসরিন।
তিনি খাদিজার একটি ছবি পোস্ট করে ট্যুইটারে লিখেছেন, 'আমি এ আর রহমানের মিউজিক খুব ভালোবাসি। কিন্তু যখনই তাঁর কন্যাকে বোরকা পরে দেখি, তখনই সাফোকেটেড লাগে। সাংস্কৃতির পরিবারের একজন শিক্ষিতা মহিলারও খুব সহজেই মগজ ধোলাই করা যায়, এটা ভেবেই খুব হতাশ লাগে।'
তার এই মন্তব্যের মিশ্র প্রভাব পড়ে সোশ্যাল মিডায়ায়। এ ব্যাপারে নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করার হিড়িক পড়ে যায় নেটিজেনের মধ্যে। তবে খাদিজার থেকে ইনস্টাগ্রামে জবাবও পেয়ে গিয়েছেন তসলিমা। খাতিজা লিখেছেন, 'এক বছরও কাটল না, ফের এই বিষয়টি ঘুরে এল...দেশে অনেক কিছু হচ্ছে। একজন মহিলা কী পরতে চান, তাকেই গুরুত্ব দেন সবাই। প্রতি বার এই ইস্যুটি সামনে এলেই অনেক কিছু বলার থাকে। আমি যা করছি, তার জন্য আমি খুশি ও গর্বিত। আর আমাকে আমার মতো করে যারা গ্রহণ করেছেন, তাদের আমার ধন্যবাদ। আমার কাজই কথা বলবে...প্রিয় তসলিমা নাসরিন, আমার পোশাকের জন্য আপনি শ্বাসরুদ্ধ বোধ করছেন, এতে আমি দুঃখিত। অনুগ্রহ করে তাজা বাতাস নিন, কারণ আমি আদৌও সাফোকেটেড অনুভব করছি না, বরং আমি যা করছি, তার জন্য গর্বিত। নারীবাদের প্রকৃত অর্থ কী, তা গুগুলে একবার দেখে নিন।'
খাদিজার পোস্টটির প্রশংসা শোনা গেছে নেটিজেনের মুখে।
উল্লেখ্য, এ আর রহমানের স্ত্রীর নাম সায়রা বানু; তাদের তিন সন্তান নাম খাদিজাহ, রহিমা ও আমান। মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী রহমানের পিতার নাম কে আর শেখর। মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত হবার আগে এ আর রহমানের নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার।
তার পুরস্কার গুলির মধ্যে রয়েছে দুটি oscar, একটি 'বাফটা পুরস্কার', একটি গোল্ডেন গ্লোব, চারটি ন্যাশনাল ফিল্ম এওয়ার্ড এবং ১৩ টি ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড। তার কাজের জন্যে তাকে " মাদ্রাজের মোজার্ট " বলা হয়, এবং তার তামিল ভক্তরা তাকে " মিউজিকের ঝড় " উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
২০০৪ সালে " টাইম্স ম্যাগাজিন " তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৯ সালে লন্ডনের ওয়ার্ল্ড মিউজিক ম্যাগাজিন তাকে "ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মিউজিক আইকন " দের মধ্যে একজন বলে অভিহিত করে ।
সূত্র : এই সময়