কত দূর যেতে পারবে বিএনপি?

আবদুর রহমান | Feb 07, 2020 09:17 pm
খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া - ছবি : সংগৃহীত

 

গত ৭ জানুয়ারি ছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ‘০ (জিরো) আওয়ারের নির্বাচনে’ ২৯২টি আসনে জয়ী সরকারের বর্ষপূর্তি দিবস। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। ‘টিভি টকারু’ বুদ্ধিজীবীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সংবাদপত্রে ঢাউস আকারের (সরকারি দলের বিলবোর্ডের মতো) ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। অনেক বুদ্ধিজীবী পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় লিখে মূল্যায়ন প্রকাশ করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরপর দু’টি জাতীয় নির্বাচনসহ সিটি করপোরেশন, পৌর ও ইউপি নির্বাচনে ভোটাধিকার হারা জনগণের মনের অব্যক্ত ভাবনা কী ছিল? প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘জনগণের রায়ই ক্ষমতা বদলের একমাত্র উপায়।’ তিনি তার ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজ যেই হোক, যত শক্তিশালী হোক না কেন তারা ছাড় পাবে না।’ বরেণ্য একজন বুদ্ধিজীবীর মতে, ‘প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের একজন, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি যে সরকার গঠন করেছেন তা নতুন বটে, কিন্তু সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি নতুন নন। তার বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকেই নতুন। তার মতো অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার এক বছরের কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের দাবি রাখে। কিভাবে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন সেটি এক জিনিস। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর কী কাজ করলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।’ খুবই ন্যায্য কথা এটা। প্রকৃতপক্ষে ৭ জানুয়ারি নতুন সরকারের বর্ষপূর্তি নয়। তা ছিল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ের ‘ফাউ’ হিসেবে পাওয়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী সরকারের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি দিবস।

এই দু’টি জয় পাওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক বিশ্বে সবচেয়ে অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর সরকার ও তার দল লাভবান হয়েছে মইন-মাসুদ বাহিনীর সহযোগিতায় ‘ওয়ান-ইলেভেন’ থেকে। সেটি ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিনকে শেষ মুঘল সম্রাটের মতো ক্ষমতায় বসিয়ে রেখে জেনারেলদ্বয়ের প্রতিনিধি হিসেবে ফখরুদ্দীনকে ২০০৮ সালের নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব দেয়ার পর ওই নির্বাচনে ৩০০ যাত্রীর গণতন্ত্রের ট্রেনের ২৬৫ যাত্রীর টিকিট পেয়েছিল ১৪ দলীয় জোট। মাত্র ৩৫টি আসন বিরোধী দলের ভাগ্যে জুটেছিল। সে ২৬৫ জন যাত্রীর ১৪৭ জন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৪ সালে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৭৩ দিন হরতাল পালন এবং তৎকালীন সচিব মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নেতৃত্বে সরকারি কর্মচারীদের বিদ্রোহ ঘটিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধানের মৌন সমর্থন ছিল। এ অবস্থায় তাদের দাবি মেনে বেগম খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ ১৯৯৬ সালে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। ৩০ জুন ২০১১ সালে তারাই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার সাংবিধানিক ক্ষমতা অধিগ্রহণ করেছেন।

তা প্রয়োগের আগে প্রধানমন্ত্রী সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ‘তার ওপর আস্থা রাখা’র আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। তা না করে ওই ক্ষমতাবলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন তার সরকার করেছিল, তাতে ১৫৪টি আসনে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সের কোনো প্রয়োজন পড়েনি। বাকি ১৪৬টি আসনে পেপার ও বাক্সের প্রয়োজন পড়লেও ভোটার তালিকার বালাই ছিল না। কারণ ভোটকেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও পোলিং অফিসার ছাড়া ভোটারের উপস্থিতি তেমন ছিল না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের অধীনে এবং তাদের নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ০ (জিরো) আওয়ারের নির্বাচনে কাস্টিং ভোটের ৯৭ শতাংশ পেয়ে তারা ৯৭.৩৩ শতাংশ আসনে এক লাখ থেকে চার লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি যে সরকার গঠন করেছিলেন, তারই বর্ষপূর্তি হয়ে গেল এবার ৭ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ঘটনার পর জনগণ আশা করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনটা অন্তত ১৯৯৬ সালের ১২ জুন বা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের মতো হবে। কিন্তু তা না করে এরশাদের সহায়তায় এবং তারই দেখানো পথ অনুসরণ করে প্রশাসন, পুলিশ ও পোলিং অফিসারদের সহায়তায় ওই নির্বাচন ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো কেন করা হলো? এ ব্যাপারে বুদ্ধিজীবী, সুশীল ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, আইনবিদ ও শিক্ষাবিদরা বেশি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি।

এই সরকারের চার হাজার ১৭ দিনের শাসন আমল একটি জাতির জন্য কম সময় নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এমন কোনো নজির আছে কি, পরপর দু’টি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকারহারা করার। এরূপ নির্বাচন হয়ে থাকে উত্তর কোরিয়ায়, আফগানিস্তান, ইরাক ও মিসরে। বাংলাদেশ তো ওই সব দেশের সমপর্যায়ভুক্ত হতে পারে না। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ২০১৫ ও ১৬ সালে পৌর ও ইউপি নির্বাচনের কোনোটাই যে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০১৩ সালের সিটি করপোরেশন ও ২০১১ সালের পৌর ও ইউপি নির্বাচনের মতো হয়নি, তা ক্ষমতাসীনরা মানতে নারাজ, এটাই জনগণের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ‘এক-এগারো’তে তারা মনে করেছিলেন, ড. ইয়াজউদ্দিন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান থাকলে তিনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করে বিএনপিকে জিতিয়ে দেবেন। অথচ ২০১৩ ও ’১৮ সালে তারাই বললেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীরা ও ৩৫০ জন এমপি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবেন না। আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা আরো মনে করেন, ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে সূক্ষ্ম ও স্থূল কারচুপি না হলে ১৯৯৪-৯৬ ও ২০০৬-০৭ সালে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও তা বাতিলের প্রয়োজন পড়ত না এবং প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে একটানা ৪০ বছর ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারতেন।

২০১৮ সালের নির্বাচন ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো হওয়ায় জনগণের ভাগ্যে না ছিঁড়ে আসলে এরশাদের ভাগ্যে শিকা ছিঁড়ল। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হওয়ায় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করায় প্রতিবারই সরকার পরিবর্তন হয়েছিল এবং ঢাকা শহরে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ছাড়া কোনো প্রার্থীই পরপর দুইবার নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারেননি। পক্ষান্তরে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হলেন এবং ২০০৮ সালের নির্বাচিতরাই পরপর তিনবার হ্যাটট্রিক বিজয় অর্জন করে গণতন্ত্রের গিনেস বুকে স্থান করে নিয়েছেন। ৪০১৭ দিন ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ০ (জিরো) টলারেন্স চলার পরও দুর্নীতিবাজদের রামরাজত্ব কায়েম হলো কিভাবে? নেতাদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, নিয়োগবাজি এবং ভর্তিবাণিজ্য, সিটবাণিজ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর শতভাগ আধিপত্য কায়েম গত ১১ বছর ধরে চলে আসছে। ২০১৯ সালে এসব অপকর্ম মহামারী আকার ধারণ করায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিতে হয়েছে। ওই অভিযানে শুরুতেই ‘থলের বিড়াল’ বের হয়ে পড়ায় তা অঘোষিতভাবে বন্ধ করে জনগণের দৃষ্টি ঘুরাতে তড়িঘড়ি করে দল ও অঙ্গসংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন করে দুর্নীতিবাজদের বাদ দেয়া হলেও তাদের একপ্রকার দায়মুক্তি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের হেলমেট বাহিনীকে পুলিশের ছত্রছায়ায় মাঠে নামিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের শায়েস্তা করা হলো। ধান ও কোরবানির চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতন ঘটেছে। পেঁয়াজের দাম ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেও সরকার-সমর্থক এলিট শ্রেণী যাদের আমরা বুদ্ধিজীবী বলে জানি, তাদের একজনও এর প্রতিবাদে জনগণের ভোগান্তি নিয়ে একটি কথাও না বলে বিএনপিকে আন্দোলন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের নসিহত করেছে কেন? ভোটাধিকারের জন্য জনগণ ১৯৮৩ সাল থেকে আন্দোলন করে ’৯০ সালে সাময়িকভাবে এবং ১৯৯৬ সালে সাংবিধানিকভাবে অধিকার লাভ করার পরও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন চালানোর আহ্বান জানানোর হেতু কী? আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মানতে নারাজ যে, সরকারের পক্ষে/বিপক্ষে জনগণের সন্তুষ্টি/অসন্তুষ্টি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর সেই পরিবেশ সৃষ্টির শতভাগ দায়দায়িত্ব নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনকালীন সাবেক সরকারপ্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহম্মেদ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিচারপতি লতিফুর রহমান ও ড. ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবু হেনা, সাবেক সচিব আবু সাঈদ ও সাবেক সচিব ড. এ টি এম শামসুল হুদা- এরা তিন মাসের মধ্যে যা পেরেছিলেন, রাজনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর সরকার ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ ও বর্তমান কে এম নুরুল হুদা তা ৬০ মাসেও করতে পারলেন না কেন? এর দায় কি সরকারের ওপর বর্তায় নাকি নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়?

সরকার যে তার নির্বাচনী নীতি থেকে একচুলও সরে আসেনি, তা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ও প্রথা ভেঙে এবং পুরান প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী হিসেবে নতুন ঢাকার বাসিন্দা (প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়) ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দান এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকের বিরুদ্ধে আগাম দুর্নীতির মামলার মধ্যে দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দাবি অনুযায়ী, ‘৯০ শতাংশ জনগণ’ তাদের পক্ষে থাকার পরও নিজেদের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরেই প্রার্থী পরিবর্তন করে ভোটার, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও পোলিং অফিসারদের ওপর পরোক্ষ চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বলা হয়েছে, ‘এলাকার উন্নয়ন ও শান্তিতে বসবাস করতে চাইলে প্রার্থী দেখে নয়, নৌকা প্রতীক দেখে ভোট দেবেন আশা করি।’ উত্তরের মেয়র নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ সবাইকে এই বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ‘মনে রাখবেন, এটা নৌকার ইলেকশন’। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচন যদি বিএনপি সরকারের আমলের ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের মতো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতো, তাহলে সরকারি দলের জয় সম্ভব হতো কি? তা ভেবেই সরকারি দল প্রার্থী পরিবর্তনসহ ইভিএমে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেখা যাক, সরকার ভবিষ্যতে কী করে, আর বিএনপিই বা কত দূর যেতে পারে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us