কিভাবে হয় বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি

কাজী মুহাম্মদ মাইন উদ্দীন | Feb 03, 2020 05:22 pm
কিভাবে হয় বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি

কিভাবে হয় বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি - ছবি : সংগ্রহ

 

১৮৬ বছর আগে চাকরিতে পদোন্নতির জন্য কোনো এসিআর, অর্থাৎ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ছিল না। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির দেয়া হতো। তা নির্ধারণ করা হতো চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে। ১৮৩৪ সালের ২৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেলের এক আদেশ বলে এ পদোন্নতি প্রথার বিলুপ্তি ঘটে। এরপর চালু করা হলো ‘ক্যারেক্টর রুলস’। এই পদ্ধতির কারণে অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠরা যথাযথ যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে জ্যেষ্ঠদের অতিক্রম করে পদোন্নতির সুযোগ পান। এর আধুনিক বা বর্তমান রূপ হলো এসিআর (অ্যানুয়াল কনফিডেনশিয়াল রিপোর্ট)।

বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো অবদান থাকে মূলত বেসরকারি শিক্ষকদের। তাদের আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে জানি। এমপিও-এর পূর্ণনাম হলো মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, এই সেক্টরে শিক্ষকদের পদোন্নতির বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। যতটুকু রয়েছে, তা ১৮৬ বছর আগের নিয়মেই হচ্ছে আজো। শিক্ষাপ্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হলেন শিক্ষামন্ত্রী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বহু শিক্ষামন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন। তারা কেউ এ বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কোনো পেশাজীবী এ ব্যাপারে কোনো ধারণাপত্রও তৈরি করেননি। এখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য তিনটি বিষয় বিবেচনায় আনা হয়েছে।

এগুলো হলো : ১. শিক্ষকতার কর্মকাণ্ড প্রতিবেদন, ২. পরীক্ষার কর্মকাণ্ডে প্রতিবেদন, ৩. সহ-শিক্ষা কার্যক্রম কর্মকাণ্ড প্রতিবেদন। এখানে শিক্ষকতা কর্মকাণ্ড উন্নতির জন্য ৯টি বিষয়কে শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে : ক. পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, খ. উত্তরপত্র মূল্যায়ন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়, গ. উত্তরপত্র মূল্যায়ন উচ্চশিক্ষা পর্যায়, ঘ. প্রশ্ন প্রণয়ন বা পরিতোষণ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়, ঙ. প্রশ্ন প্রণয়ন বা প্রশ্ন পরিতোষণ উচ্চশিক্ষা পর্যায়, চ. এনসিটিবির (ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট বুক বোর্ড) বিভিন্ন কাজ, ছ. শ্রেণিকক্ষে বক্তৃতা প্রদানের বিবরণী, জ. বার্ষিক ছুটি গ্রহণ ও অনুপস্থিতি, ঝ. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিভিন্নমুখী কাজ, যেমন ভর্তিসংক্রান্ত কিংবা একাডেমিক উন্নয়নমূলক কাজ প্রভৃতি।

এই ৯টি বিষয়ের জন্য মোট ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা যেতে পারে। পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং প্রশ্ন প্রণয়ন বা প্রশ্ন পরিতোষণ উচ্চশিক্ষা পর্যায়- এই দুই বিষয়ের জন্য ১৫ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বর নির্ধারণ করা যেতে পারে। বাকি সাতটি বিষয়কে ১০ নম্বর করে ৭০ নম্বরে নির্ধারণ করলে মোট ১০০ নম্বর হবে। শিক্ষকদের যেসব বিষয়ে অংশগ্রহণ থাকবে সেসব বিষয়ে নম্বর পাবেন। কর্তৃপক্ষ এক নম্বর থেকে শুরু করে নির্ধারিত সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান করবেন। তা শুধু তিনটি বিষয়ে নির্ধারিত থাকবে। এগুলো হলো শ্রেণিকক্ষে বক্তৃতা প্রদান বিবরণী, বার্ষিক ছুটি গ্রহণ ও অনুপস্থিতি, অভ্যন্তরীণ বিভিন্নমুখী কাজ। অন্য বিষয়গুলোর জন্য নির্ধারিত পূর্ণ নম্বর শিক্ষকরা অর্জন করবেন যদি তিনি ওই বিষয়গুলোতে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

পরীক্ষাসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড প্রতিবেদনের জন্য পাঁচটি বিষয় শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো :

ক. নির্ধারিত সময়ে প্রশ্নপত্র জমা দান। খ. পরীক্ষা দিবসে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হওয়া এবং পরীক্ষা কক্ষে গমন, গ. পরীক্ষা কক্ষে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন, ঘ. পরীক্ষা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সাথে আচরণ এবং ঙ. নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন।
পরীক্ষার কর্মকাণ্ড প্রতিবেদনের জন্য ১০০ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। এর মধ্যে পরীক্ষা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সাথে আচরণ ১০ নম্বর এবং নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য ১৫ নম্বর নির্ধারণ করা যেতে পারে। বাকি তিনটি বিষয়ের জন্য ২৫ নম্বর করে মোট ৭৫ নম্বর নির্ধারণ করা উচিত। ক. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন প্রণয়নের জন্য ১৫ দিন সময় নির্ধারণ করবেন। এই সময়ের ২৬তম দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্ন জমা দানে প্রতিদিনের বিলম্বের জন্য ১ নম্বর কর্তন করা হবে। ব্যাপক ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়, শিক্ষকরা যথাসময়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন না এবং পাণ্ডুলিপি জমা দেন না। কোনো কোনো শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে দিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তার আগের দিন অথবা পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্ন জমা দেন। এতে পরীক্ষার শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। এতে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের শিক্ষক দুই রকম অপরাধ করেছেন বলে চিহ্নিত হবেন। প্রথমত, তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করেছেন, যা কর্তৃপক্ষের সাথে ‘সঠিক আচরণ করেননি’ বলে বিবেচিত হবে। দ্বিতীয়ত, প্রশ্ন প্রণয়ন ‘বিলম্ব’ হিসেবে শনাক্ত হবে। ফলে তিনি বিলম্বের জন্য তো বটেই এবং আচরণজনিত কারণেও নম্বর হারাবেন।

খ. পরীক্ষার সময় কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হলে শিক্ষকরা কিছু সম্মানী পেয়ে থাকে। তাই শিক্ষকরা এই দায়িত্ব পেতে খুব আগ্রহী। কিন্তু তাদের অনেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। এমনকি পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সময়ে তাদের উপস্থিতির ব্যাপারে অনাগ্রহ লক্ষ করা যায়। পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কিছু কাজ থাকে। যেমন- উত্তরপত্র ও প্রশ্নপত্র গ্রহণ, পরীক্ষাকক্ষে গমন, উত্তর পত্র এবং প্রশ্নপত্র প্রদান। প্রতিটি কাজের জন্য নির্ধারিত সময় থাকে; কখন উত্তরপত্র গ্রহণ করা হবে, কখন তা বণ্টন করা হবে, কখন প্রশ্নপত্র গ্রহণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা বণ্টন করা হবে। দেরিতে উপস্থিতির কারণে কোনো শিক্ষক পরীক্ষাকক্ষে উপস্থিত হলেও তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না। অনেকে দেরিতে উপস্থিতির কারণে পরীক্ষা কমিটির পক্ষে যোগাযোগ না করেই পরীক্ষা কক্ষে গমন করেন। ফলে তাদের দায়িত্বগুলো পালন করা হয় না। কক্ষ পরিদর্শনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নিয়ম হলো পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে উপস্থিতি। পরীক্ষা যদি ১০টায় শুরু হয়, উপস্থিতির সময় ৯.৩০ মি:। যদি এর ব্যতিক্রম ঘটে তা হলে পরীক্ষায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। এই অবস্থা দূর করার জন্য পরীক্ষার দিন যথাসময়ে উপস্থিতিকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথমত, পরীক্ষা কক্ষে প্রশ্ন প্রদানের সময় থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে উপস্থিতি; দ্বিতীয়ত, ১১ মিনিট থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে উপস্থিতি; তৃতীয়ত, ২১ মিনিট থেকে ২৯ মিনিটের মধ্যে উপস্থিতি। প্রথমটির জন্য ২০ নম্বর কর্তন, দ্বিতীয়টির জন্য ১৫ মার্কস কর্তন এবং তৃতীয়টির জন্য ১০ মার্কস কর্তন করতে হবে।

গ. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা পরিচালনার সময় কিছু সমস্যার উদ্ভব হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, উত্তরপত্রের কভারপৃষ্ঠায় শিক্ষার্থীর কোনো তথ্য না থাকলেও পরিদর্শক তাতে স্বাক্ষর করা, এ পৃষ্ঠায় আংশিক তথ্য থাকা অবস্থায় স্বাক্ষর করা, কক্ষ পরিদর্শক পরীক্ষাকক্ষ নিয়ন্ত্রণ না করে ব্যক্তিগত কোনো কাজ করা বা পরীক্ষার সময়ে দীর্ঘক্ষণ কক্ষে অবস্থান করে বিষয়ভিত্তিক কোনো কিছু রচনা করা প্রভৃতি অপ্রাসঙ্গিক কাজ করা, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত পরীক্ষা কক্ষের বাইরে অবস্থান এবং উত্তরপত্রে স্বাক্ষর না করে তা পরীক্ষা কমিটির কাছে জমাদান। এই আচরণগুলো পরীক্ষা কক্ষে যথাযথ দায়িত্ব পালনবহির্ভূত আচরণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই অসুবিধা দূর করার জন্য যথাক্রমে ৭, ৫, ৮, ৫ এবং ২৫ নম্বর কর্তনের নিয়ম চালু করা যেতে পারে।
ঘ. পরীক্ষা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সাথে আচরণে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশ পালনকে অবজ্ঞা, অনীহা প্রকাশ অথবা মেনে না চলা। এ পর্যায়ে নম্বর থাকবে ১০। যদি কোনো শিক্ষক আংশিকভাবে আদেশ পালন করেন তা হলে, তিনি ৫ নম্বর অর্জন করবেন এবং ৫ নম্বর অর্জনে ব্যর্থ হবেন। তিনি যদি পূর্ণ আদেশ পালন করেন তাহলে পূর্ণ ১০ নম্বর অর্জন করবেন আর পূর্ণ আদেশ মেনে না চললে ১০ নম্বর অর্জনে ব্যর্থ হবেন।

ঙ. নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য ১৫ নম্বর নির্ধারিত থাকবে। একদিনে ১৫টি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা যায়, এমনভাবে সময় নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের বিলম্বের জন্য ১ থেকে ৩ নম্বর পর্যন্ত কর্তন করার নিয়ম চালু করতে হবে।
অতিরিক্ত পাঠ্যক্রম কর্মকাণ্ড প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ৫০ নম্বর নির্ধারণ করা যেতে পারে। পাঁচটি বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত এবং নম্বর বণ্টন করা যায়। এগুলো হলো : ক. স্কাউটিং, গার্লস গাইড, বিএনসিসি প্রভৃতির জন্য ১০ নম্বর, খ. শারীরিকশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ১০ নম্বর, গ. সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ১০ নম্বর, ঘ. প্রকাশনা কাজের জন্য ১০ নম্বর, ঙ. সেমিনার সিম্পোজিয়ামের জন্য ১০ নম্বর।

প্রতি ১০ নম্বরকে ১ পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করে ২৫০ নম্বরকে ২৫ পয়েন্টে রূপান্তর করা যায়। এই ২৫ পয়েন্টের মধ্যে যিনি ১৫ পয়েন্ট অর্জন করবেন তিনি পরবর্তী পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। ১৫ পয়েন্ট হবে পদোন্নতির সাধারণ মান। ধরা যাক একজন প্রভাষক তার চাকরির ১০ বছর অতিক্রম করার পর সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য প্রার্থী। এ অবস্থায় প্রথম পাঁচ বছরে তার অর্জিত পয়েন্ট যদি ১৪ হয় এবং দ্বিতীয় পাঁচ বছরে তার অর্জিত পয়েন্ট যদি ১৬ হয় তা হলে তার অর্জিত গড় পয়েন্ট হবে ১৫। এ অবস্থায় তিনি পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবে। অন্য ক্ষেত্রগুলোতে পাঁচ বছরের অর্জিত পয়েন্ট হিসাব করে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করতে হবে। উল্লেখ্য, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য এখানে ১০ বছর সময় বিবেচনা করা হয়েছে।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত সেক্টরে যদি এভাবে পয়েন্ট নির্ধারণ করে পদোন্নতির বিষয় বিবেচনা করা হয়, তাহলে শিক্ষকরা ব্যাপকভাবে পেশাদারি হয়ে উঠবেন। শিক্ষকদেরকে পেশাদার করেই শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব। বর্তমানে দেশে পেশাদার শিক্ষকের ব্যাপক অভাব রয়েছে। জাতীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করে আমরা মানসম্মত শিক্ষক পেতে শুরু করেছি। তথাপি উল্লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা শিক্ষকদের সত্যিকারভাবে পেশাদার করে তুলতে পারব। না হয় জাতীয়ভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষকরাও প্রকৃত অর্থে পেশাদার হয়ে উঠবেন না।

লেখক : প্রেসিডিয়াম মেম্বার, বাংলাদেশ কলেজ
শিক্ষক সমিতি ও প্রবন্ধকার।
kazimain@gmail.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us