গোমূত্র থেরাপি
গোমূত্র থেরাপি - ছবি : সংগ্রহ
গোমূত্র দিয়ে চিকিৎসা করা ভারতে নতুন নয়। সাবেক কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর সকালে খালিপেটে গোমূত্র পান করতেন। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে বড় বড় ব্যাধির চিকিৎসার জন্য গোমূত্রের ব্যবহারের ব্যাপক প্রচারণা নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভারতের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায়। বলা হচ্ছে, গোমূত্র হজমশক্তি বাড়ায়, কলিক পেইন, ব্লটিং, অন্ত্রনালীর ওয়ার্ম, চর্মরোগ, অ্যানিমিয়া, মুটিয়ে যাওয়া, ডি-টক্সিফিকেশন, লিউকোডার্মা, লিভার, ডায়াবেটিস, একজিমা, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ নিরাময় করে। বিশেষ করে হরিয়ানায় জন্ম নেয়া যোগী গুরু রামদেব, আসল নাম, রামকৃষ্ণ যাদব টিভি শোতে মুসলমানদের গোমূত্র পান করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘চিকিৎসার জন্য গোমূত্র পান করার কথা কুরআনে লেখা আছে।’
এখানে অনেক কথাই উঠে আসে। পবিত্র কুরআনে এমন কোনো বাক্য নেই, যেখানে গোমূত্র পান করার কথা বলা হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতেও নেই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কী খাবে কী খাবে না, তার কোড অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে, গোমূত্র হারাম বা নিষিদ্ধ। বেদ, গীতা বা উপনিষদে গোমূত্র পানের কথা বলা আছে কি না জানা নেই। রামদেব বাবু এমন কোনো গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেননি।
দিল্লি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শামসুল ইসলাম বলেছেন, মুসলমানদের আক্রমণ করা এবং ভারতীয় মুসলমানদের ভেতর বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য তিনি এখন ‘গোমূত্র থেরাপি’ চালু করছেন। এই প্রফেসর প্রশ্ন রাখেন- সাধারণ হিন্দুরাই গোমূত্র পান করছেন না, মুসলমান তো দূরের কথা। তবু কেন এহেন প্রচারণা? সহজলভ্য গোমূত্রকে একটি প্যাটেন্ট হিসেবে চালু করার প্রয়াস চলছে বলেই মনে হচ্ছে। গোমূত্র সরাসরি রোগীদের খাওয়ানো হয় না, এটাকে প্রসেস করে বহুগুণ পানির সাথে মিশিয়ে ফিল্টার করে বোতলজাত করা হয়।
রোগ নিরাময়ের জন্য একই পদ্ধতিতে অনেকে গোমূত্রের বদলে নিজের মূত্র পান করতেন বলে জানা যায়। হোমিওপ্যাথির ম্যাটেরিয়া মেডিকায়ও আছে, যারা বিছানায় ঘুমে মূত্র ত্যাগ করে এবং কোনো ওষুধে এর নিরাময় হয় না, তারা নিজের মূত্র ২০ গুণ পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে পরিত্রাণ পেতে পারে।
কলকাতার সুব্রত গুপ্ত সকালে আধা কাপ গোমূত্র পান করে থাকেন। তিনি রাজ্যের গরু ডেভেলপমেন্ট সেলের প্রধান। এটি আরএসএসের একটি শাখা। পোশাকি নাম ‘গৌবংশ বিকাশ প্রকোষ্ঠ’। গোমূত্র খাওয়ার অভ্যাস করার পর তার নাকি চুল ওঠা বন্ধ হয়েছে এবং মাথায় চুল গজিয়েছে। বলা হয়েছে, ‘গোমূত্র খেলে লিভার ও কিডনি ভালো থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে গোমূত্র এক দারুণ ওষুধ। এর যে আরো কত উপকারিতা আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না।’ সুব্রত গুপ্ত বলেন, আঞ্চলিক গবেষণা পরিচালক শান্তি কুমার শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘গোমূত্রের মধ্যে ৯৫ শতাংশ জল থাকলেও বাকি অংশের মধ্যে আড়াই শতাংশ ইউরিয়া আর অন্য আড়াই শতাংশের মধ্যে হরমোন, এনজাইম, অ্যাস্ট্রোজেন, ল্যাক্টোজসহ প্রায় ১৪-১৫ রকমের রাসায়নিক থাকে। গোমূত্রের মধ্যে গোবর আর গুড় মিশিয়ে গাঁজানো হয়, তারপরে সেটি কৃষিকাজে ব্যবহার করা যায়।’ গোমূত্র, গোময়, দুগ্ধ, দই ও ঘৃতের মিশ্রণ পঞ্চগব্য পূজা-অর্চনায় এবং ‘পবিত্রতা’ বিধানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গুজরাট প্রদেশের গান্ধীনগরে এন্টারপ্রিনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভ খাতিরিয়া বলেন, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার’ আওতায় যারা গো-সংক্রান্ত পণ্যের ব্যবসা করবেন, তাদের প্রাথমিক মূলধনের ৬০ শতাংশ সহায়তা করবে সরকার। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ‘গোমূত্র চিকিৎসা ক্লিনিক’। বিক্রি হচ্ছে ‘গোমূত্র ক্যাপসুল’এবং ‘ডিস্টিল্ড’ ও ‘মেডিক্যাটেড’ গোমূত্রও!
এ কারণে রাজস্থানসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গোমূত্রের দাম বাড়ছে। গরুর দুধের চেয়ে মূত্রের দাম এখন কয়েক গুণ বেশি। রামদেবের গোমূত্রের ব্র্যান্ড নাম হচ্ছে, ‘গোধন আরক’। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ফার্মাকোলজির শিক্ষক স্বপন জানার বলেন, ‘গোটাটাই ভণ্ডামি। গাছগাছালি থেকে রাসায়নিক বের করে ওষুধ হতে পারে। তার ফার্মাকো কাইনেটিক্স ও ডায়নামিক্স রয়েছে। গোমূত্রের এমন কিছুই নেই।’
ভারতে বাবা রামদেব একজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। বিগত নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন এবং বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাবা রামদেবকে মাথা নিচু করে প্রণাম করেন। ভারতের তাবৎ বড় বড় নেতা রামদেবের ভক্ত।
গুরু রামদেব সাধারণ মিতাচারী কোনো ‘বাবা’ নন। একজন বিলিয়নিয়ার। তিনি ইন্ডিয়া টিভির মালিক রজত শর্মাকে বলেছেন, ‘আমি ছোট কিছু চিন্তা করি না, ৫০০ বছর পর আমাদের জাতির কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা করি।’ রামদেবের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তারপরও তিনি ১০ হাজার কোটি রুপির ব্যবসার মালিক। কেউ বলতে পারেন না, বিদেশে তার কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
রামদেব উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে গিয়ে জীবনশৃঙ্খলা ও ধ্যানে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে ‘দিব্য যোগমন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন। বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শিল্পা শেঠিকে যোগবিদ্যা শিখিয়েছেন। ব্রিটেন, জাপান ও আমেরিকায় তার শিষ্য রয়েছে অনেক। তার মতে, যোগবিদ্যা কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নয়। সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে যোগবিদ্যাকে আবশ্যিক করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ‘ওম শান্তি ওম’ নামে এক রিয়েলিটি শোতে তিনি বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। তবে আদালত তার আত্মজীবনী ‘জার্নি ফ্রম গড ম্যান টু টাইকুন’ বইটির বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তার কাজকর্মের জন্য তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে তার কাজ ও ব্যবসার ওপর বিশেষ নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। যোগ ও যোগ-দর্শনের ওপর রামদেবের চারটি বই রয়েছে।
তিনি ‘পান্তাঞ্জলি’র প্রতিষ্ঠাতা। কেউ পান্তাঞ্জলির বিরুদ্ধাচরণ করলে তিনি বলেন, আমি তো হামদর্দের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। বলবও না। ‘হিমালয় ড্রাগ কোম্পানির বিরুদ্ধেও কিছু বলিনি।’ আমি এসব সমর্থন করি। ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে তিনি রজত শর্মাকে এ কথা বলেন। তিনি পান্তাঞ্জলি গ্রুপের ৫০০ সাধুকে কোম্পানির অংশীদার করবেন এবং ১০ হাজার কোটি রুপি তাদের দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। রামদেবের কাছে যারা দীক্ষা নেবেন বা নিয়েছেন সেসব ‘সাধু’কেই শুধু অংশীদার করা হবে।
বিজেপি সমর্থক গুরু রামদেবকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। কংগ্রেসের কে সি ত্যাগী অভিযোগ করেন, ‘বাবা প্রকাশ্যে বলে বেড়ান, তিনি বিজেপি সরকার গঠনে ‘তন মন ও ধন’ (মেধা, পরিশ্রম ও দৌলত) দিয়ে সহায়তা করেছেন। রামদেবকে হরিয়ানার কেবিনেট মন্ত্রী হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রামদেব এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। আমি একজন বাবা ও ফকির হিসেবে থাকতে চাই।’
বাবা রামদেবকে হরিয়ানার ‘অ্যাম্বাসেডর’ বানানো হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন হরিয়ানা দুই সপ্তাহ ধরে পুড়ল তখন এই বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একইভাবে হরিয়ানার চণ্ডিগড়ে একজন আরএসএস-বিজেপি নেতা যখন এক হিন্দু বালিকার শ্লীলতাহানি ঘটায় তখন তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। ‘ধর্ষক’রূপে পরিচিত গুরমিত সিংহের লোকজন যখন সহিংসতা ছড়ায় তখন বিজেপির সমর্থন থাকায় বাবা রামদেব চুপ ছিলেন বলে সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন।
২০১৪ সালটি রামদেবের জন্য সুখকর ছিল না। তিনি দলিত এবং কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘হানিমুন’ মন্তব্য করে বিরাট বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রাহুল হানিমুন ও পিকনিক করার জন্য দলিতদের কাছে যান।’ ফলে আদালত রামদেবের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১৭১(সি) এবং অন্য নির্বাচনী আইনের ধারায় এফআইআর নেয়ার নির্দেশ দেন। এই রটনাকে কেন্দ্র করে দলিত জনগোষ্ঠী, বহুজন সমাজ পার্টি বা বিএনপি, গুরু রবিদাস ফোর্স, বাল্মিকী ধর্মসমাজ এবং আম্বেদকার সেনা রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে, রামদেবের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং নির্বাচনে তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায়। বিএসপি নেতা লোকসভার প্রার্থী ভগবান সিংহ চৌহান ঘোষণা দেন, রামদেবের মুণ্ডু যে এনে দিতে পারবে তাকে এক কোটি রুপি পুরস্কার দেয়া হবে। এ ঘটনায় পুলিশ এফআইআর নেয়। তখন বাবা রামদেব এক সভায় বলেন, তিনি আসলে রাহুল বা দলিত কাউকে আহত করার জন্য কিছু বলেননি। ‘এগুলো রাজনীতির ভাষা। কেউ আহত হয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি।’ মামলাটি এখন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিশ গয়ালের আদালতে রয়েছে।
বাবা রামদেবের রাজনৈতিক বক্তব্যও সমাজকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরই সব সঙ্কটের মূল। তাই তিনি ভারত সরকারকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির দাবি করার আহ্বান জানান। আজহার মাসুদ, হাফিজ সাঈদ, দাউদ ইব্রাহিমের মতো ‘সন্ত্রাসীদের’ জীবিত বা মৃত ভারতের হাতে তুলে দেয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের জনগণের প্রশংসা করেছেন।
২০১৬ সালে ‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে তাদের মুণ্ডুছেদ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাবা রামদেব। বিশেষ করে টুপি পরিধান করে যারা এ কথা বলবেন না তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আরে ইস দেশ মে কানুন হ্যায়, হাম তো লাখো কি গর্দান কাট সাকতে হেঁ।’ (আরে এই দেশে কি কোনো আইন আছে। (‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে) আমরা লাখো মানুষের গর্দান কাটতে পারি।’ এ কথা নিয়েও ভারত হয়ে উঠেছিল উত্তপ্ত।
পতঞ্জলি ব্র্যান্ড নামে পান্তাঞ্জলি ফার্মা কোম্পানি, কেশ কান্তি মাথার তৈল, বাদাম পাক, বডি লোশন, মধু, অ্যালিভেরা জুস, ক্রিম, তেল, চ্যাবনপ্রাশ ইত্যাদি তৈরি ও বাজারজাত করা হয়েছে। পান্তাঞ্জলি ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজ্যসভায় দাবি ওঠে। এই কোম্পানি খাদ্যসামগ্রী রেগুলেটরের অনুমোদন না নিয়ে পান্তাঞ্জলি ‘নুডলস’ ও ‘পাস্তা’ বাজারজাত করেছে। অথচ এর ত্রুটি পাওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। উত্তরাখণ্ড সরকারও আয়ুর্বেদি ওষুধকে জাল বলেছে। পান্তাঞ্জলির বিরুদ্ধে লেগেছে ভারতের ‘আয়ুর্বেদ জায়ান্ট’ দাবুর ইন্ডিয়া লিমিটেড। দাবুর কোম্পানিই ভারতের সবচেয়ে পুরনো ও মানসম্মত ‘চ্যাবনপ্রাশ’ তৈরি ও বিপণন করে আসছে। দাবুর বলছে, ‘পতঞ্জলি চ্যাবনপ্রাশ’ রামদেবের ‘অবৈধ ব্যবসায়িক আচরণ’।
দিল্লি হাইকোর্ট এর সব প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। দাবুর এদের বিরুদ্ধে ২.০১ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ মামলাও দায়ের করেছে। দাবুর আরো বলেছে, ওদের বিজ্ঞাপন দাবুরের বিজ্ঞাপনের অনুরূপ এবং প্যাকিংও দাবুরের মতো হওয়ায় সাধারণ মানুষ যেকোনো সময় প্রতারিত হতে পারে। এটা প্যাটেন্ট চুরির শামিল। আদালত বলেছেন, দাবুরের মামলায় ‘প্রাইমা ফেসি’ রয়েছে। এই মামলাটি চলমান। রামদেবের দিব্য ফার্মেসি একটি আয়ুর্বেদি ওষুধ বাজারজাত করেছে, নাম ‘পুত্রজীবক বীজ’, যা খেলে নাকি মহিলাদের পুত্রসন্তান জন্ম গ্রহণ করবে। ভারতের অনেক বাঘা বাঘা নেতা এই ওষুধের সমালোচনা করেছেন। যোগী ও সন্ন্যাসীরাও এর বিরোধিতা করেছেন।
এক্সপ্রেস ওয়েব ডেস্ক, নতুন দিল্লির খবরে আরো বলা হয়, গুরু রামদেব সব সময় সম্মুখ কাতারে থাকতে চান। নতুন জিনিস নিয়ে সমাজকে আকৃষ্ট করতে ভালোবাসেন। যোগ চর্চা দিয়ে শুরু করে তিনি আয়ুর্বেদ কোম্পানি সাড়া জাগানো ওষুধ, নুডলস, বিদ্যালয় সিলেবাস, সংস্কৃত ভাষার প্রচলন- এসব বিষয় ছাড়াও তার হাজার হাজার যোগী ও শিষ্যের জন্য দেশী যোগী পোশাক নির্মাণ ও বাজারজাতকরণ করে ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করেছেন। এবার নজর দিয়েছেন রিয়েলিটি শোর দিকে। শোর নাম ‘ভজন রত্ন’। এতে বিচারক হিসেবে আরো থাকছেন, ‘ভজন-সম্রাট’ অনুপ জালোটা। রিয়েলিটি শোর পর এই ব্যক্তি ‘ভজন’ স্টার হিসেবেও পরিচিত হয়েছেন।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার