ভারত-পাকিস্তান সমীকরণে নেপাল!

দেবিরূপা মিত্র | Jan 27, 2020 09:02 am
ভারত-পাকিস্তান সমীকরণে নেপাল!

ভারত-পাকিস্তান সমীকরণে নেপাল! - ছবি : সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য নেপাল ‘মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন’ করতে প্রস্তুত। নেপাল সরকারের সূত্র এ খবর জানিয়ে বলেছে যে তব দুই দেশের মধ্যে ‘সরাসরি আলোচনাই’ অনেক ভালো সমাধান।

কাঠমান্ডুতে শনিবার একদল ভারতীয় সাংবাদিকদেরকে উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংলাপ হতেই হবে, সংলাপ খুবই জরুরি। প্রয়োজন হলে আমরাই মধ্যস্ততা করব। কারণ আমরা বন্ধুপ্রতীম, স্বাধীন ও শান্তিকামী। এই অঞ।চলে আমরা নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন এবং আমরা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতাকে ভালোবাসি।
নেপালি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নেপাল একটি ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত হলেও দুই দেশ যদি সরাসরি আলোচনায় বসে, তবে সেটিই হবে ভালো। আমরা ব্যবস্থা করে দিতে পারি। সরাসরি যোগাযোগেই সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ভারতের আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানানোর পর দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সংলাপ বন্ধ হয়ে আছে। ভারত দাবি করছে যে পাকিস্তানকে আগে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কয়েকবার এই দুই দেশের মধ্যে, বিশেষ করে কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পাকিস্তান প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বিষয়।
ভারত-পাকিস্তান মতপার্থক্যের কারণে সার্কও স্থবির হয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ২০১৫ সালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য নেপালের কাছ থেকে দায়িত্ব লাভ করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সম্মেলন থেকে নিজেদের প্রত্যহার করে নেয়।
নেপাল সরকারি সূত্রের খবরে বলা হয়, সব ধরনের সন্ত্রাসসেই মোকাবিলা করতে হবে। তবে সেইসাথে সার্ক ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে কোনো যোগসূত্রও স্থাপন করা যাবে না।
তারা বলছে, সার্ক মৃত হয়নি। এখন যা হচ্ছে তা হলো সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হতে পারছে না। তিনি বলেন, সংস্থাটিকে চাঙ্গা করার জন্য বিকল্প কিছু করতে হবে।

গত শুক্রবার নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কে গয়ালি বলেন, এপ্রিলে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় সাগরমাথা সম্ভারে যদি সার্কের সব নেতা উপস্থিত হন, তবে তা হবে দারুণ একটি কাজ।
নেপালি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বিমস্টেক কখনো সার্কের বিকল্প হতে পারে না। উল্লেখ্য, সার্কের বিকল্প হিসেবে নয়া দিল্লি বিমস্টেক ও বিবিআইএন প্রস্তাব করছে।
সম্প্রতি ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) সম্পন্ন করার ফলে নেপালি বংশোদ্ভূত প্রায় এক লাখ গোর্খা নাগরিকত্ব হারিয়েছে। জানা গেছে, এসব গোর্খাদের অনেকে তাদের বিষয়টি সুরাহা করার জন্য নেপালি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
আর নেপাল সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তাদেরকে ভঅরতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বস্ত করেছেন যে নেপালিরা এনআরসিতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়বে না।
আসামে কয়েক শ’ বছর ধরে নেপালিরা বসবাস করে আসছে।

দি ওয়্যার

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us