খ্রিস্টানদের নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়কর ঘোষণা

মো: বজলুর রশীদ | Jan 23, 2020 04:48 pm
ট্রাম্প

ট্রাম্প - ছবি : সংগ্রহ

 

সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘মেসাইয়া’, ‘মেসিহ’ বা ‘মাসিহ’ নিয়ে যে কথার জন্ম দিয়েছেন তা আমেরিকা ও বিশ্বজুড়ে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ক্রিশ্চিয়ান টুডে পত্রিকার সম্পাদকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খ্রিষ্টানদের জন্য যিশুর চাইতে বেশি করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘খ্রিষ্টানদের জন্য এখন কে কি করছেন? নিশ্চয়ই যিশু নন। তিনি অদৃশ্য হয়ে গেছেন। কেউ জানে না তাঁর এখন কি অবস্থা। কিন্তু আমি আছি, প্রতিদিন চার্চগুলোকে লিবারেলদের হাত থেকে রক্ষা করছি।’ ‘খ্রিষ্টান ধর্মমত ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আমি বিচারক নিয়োগ দিয়েছি, অন্য কেউ কি এমন করেছেন? যিশু কয়জন বিচারক নিয়োগ দিয়েছিলেন?’

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা অবনতির দিকে ধাবমান হলেও আমরা এখন বিভিন্ন সূচকের পরিবর্তে ট্রাম্পকে বলতে শুনি তিনি একজন রক্ষক। লাখো আমেরিকানের বেকারত্ব দূর হয়েছে এবং তাদের চিন্তা চেতনায় জাতীয়তাবাদ ফিরে এসেছে। ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি একজন ‘সাধু’ ও ‘পবিত্র ব্যক্তি’। তিনি বিশ্বশান্তির জন্য অনেক করেছেন। অথচ নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় অন্যকে। এজন্য তার আক্ষেপের শেষ নেই। তিনিই জাদুর কাঠি ছুঁইয়ে দিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছেন। তিনি অবমূল্যায়িত স্টক মার্কেট যা ট্রেজারি বন্ড ফেডারেল রির্জাভের অলস টাকা দিয়ে ঠাসা ছিল, তার উন্নতি ঘটিয়েছেন। অবশ্য আমেরিকার বিরাট অঙ্কের ঋণের বোঝা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে সবসময় অর্থনীতির গতিধারা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয় এবং ডলারের গতিপথ সম্পর্কে আগাম জ্ঞান রাখা ও এ বিষয়ে কথা বলতে হয়। সিবিওর মতে ২০২০ সালে এক ট্রিলিয়ন ডলার ঘাটতি হবে আমেরিকার। কোনো রিপাবলিকান এটি নিয়ে কথা বলছেন না।

তার অর্থ এই নয় যে, রিপাবলিকানরা ঘাটতি সম্পর্কে জানেন না। ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টুইটে প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন, তিনি ‘কিং অব ইসরাইল’ ইসরাইলের রাজা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তিনি যা বলার যোগ্য সেটি হল ‘কিং অব ডেট’ বা ‘ঋণের রাজা’। ইসরাইল নামক পরগাছার বিষয়ে তিনি স্পর্শকাতর। তিনি ইসরাইলকে ভালোবাসেন তা সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাট আমেরিকান ইহুদিরা তার পতন চায়, এজন্য তিনি বিরক্ত। আমেরিকান ডেমোক্র্যাট ইহুদিরা তাকে সমর্থন না দেয়ায় তিনি অত্যন্ত বিরক্ত ও মর্মাহত। ইসরাইলি জিওনিস্টদের জন্য কতই না করেছেন ট্রাম্প; ফিলিস্তিনিদের জায়গাজমি দখল করে ভিটাভূমি থেকে বিতাড়ন করে, হত্যা যজ্ঞ চালিয়ে, পাশের আরব দেশ দখল করে, জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে, ফিলিস্তিনিদের সব সহায়তা বন্ধ করে ইসরাইলি দখলদারিত্বে সহায়তা করছেন। এসব সামান্য কিছু উদাহরণ। আরব মুসলমানদের সমাজ ও সংস্কৃতি ধ্বংসের জন্য ইসরাইলি কার্যক্রমে সহায়তা করাই তার বড় কাজ বলে বিরোধী শিবিরের সমালোচকরা অভিযোগ করছেন। ইসরাইলিরাও ট্রাম্পকে ভালোবাসেন কেননা, তাদের মতে, ট্রাম্প একজন জিওনিস্টের মতো কথা বলে থাকেন।

নিউজম্যাক্স টিভি হোস্ট ওয়েইন অ্যালেন রুটের বক্তব্য মিডিয়ায় বেশ ছড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ‘কিং অব ইসরাইল’ এবং ‘গডের দ্বিতীয় অবতার’। যিশুর আবারও দুনিয়াতে আসার কথা। এমন একটি ধারণা বিশ্বের বড় বড় ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন। খ্রিষ্টান ধর্মমতে যিশুকে গড, গডের পুত্র এবং ট্রিনিটি বা ত্রিত্ববাদ (পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা) এমনসব ধারণা প্রচলিত আছে। খ্রিষ্টান ধর্ম অনেক ভাগে বিভক্ত। বড় বড় বিভক্তিগুলো হলো, ক্যাথলিক, ব্যাপটিস্ট, ইউনাইটেড মেথডিস্ট, ইস্টার্ন অর্থডক্স, প্রটেস্টান্ট, অরিয়েন্টাল অর্থডক্স ইত্যাদি। ইভানজালিকরা ক্যাথলিকের একটি বিভাগ।

শোতে রুট আরো বলেন, “বিশ্বের ইতিহাসে ও ইসরাইলের দুনিয়াতে ট্রাম্প ‘গ্রেটেস্ট’ প্রেসিডেন্ট। শুধু আমেরিকার জন্য নয়, তিনি ইসরাইলেরও প্রেসিডেন্ট। ইহুদিরাও তাকে একজন ইসরাইলের কিং হিসেবে পছন্দ করেন। তারা এতটাই পছন্দ করেন যেন যিশুই দ্বিতীয়বার দুনিয়ায় এলেন। তিনি আমাদের সবার জন্য উত্তম ব্যক্তি।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রুটের বক্তব্য শোনার পর টুইটে লিখেন, ‘ধন্যবাদ এলেন রুট এত সুন্দর কথামালার জন্য। ওহ!’ এর পরপর হোয়াইট হাউজে বক্তব্য প্রদানের জন্য ট্রাম্পকে আক্রমণাত্মক সমালোচনা শুরু হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘সকল ইহুদি ডেমোক্র্যাটরা কা-জ্ঞানহীন।’

আমেরিকায় বসবাসরত দুই-তৃতীয়াংশ ইহুদি ডেমোক্র্যাট দল করে, তারা ট্রাম্পকে অপছন্দ করেন ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি মনে করেন না। এ দল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সভাসমাবেশের আয়োজন ও নিজেদের অর্থ সম্পদ খরচ করেন। তারা ট্রাম্পকে ‘হোয়াইট ন্যাশানালিস্ট’ ‘হোয়াইট সুপারমাসিস্ট’ ‘হিটলারি মানসিকতার মানুষ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে ট্রাম্প কালো মানুষ, ল্যাটিনো এবং মুসলমানদের মতো মূলত ইহুদিদেরও ঘৃণা করেন। ট্রাম্প তার আলট্রা জিওনিস্ট ও মৌলবাদি ইহুদি জামাতা কর্তৃক বেশি প্রভাবিত। ক্যাসিনো সম্রাট শেলডন তার নির্বাচনী খরচের অনেকটা জোগান দেয়। তিনিও একজন কট্টর ইহুদি।

ট্রাম্প নিজেকে একজন নবীর মতো মনে করেন! ওয়াশিংটন পোস্ট চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে, ২২ আগস্ট ২০১৯ তারিখের প্রতিবেদনে লিখে, ‘ট্রাম্প যিনি নিজকে একজন, মেসাইয়া বা নবী হিসেবে দেখেন দিন দিন তার জ্যোতি নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলিরা তাকে কিং অব ইসরাইলের মত মনে করে এবং গডের দ্বিতীয়বার মর্তে আগমনের কথা বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতাদের অনেকে খ্রিষ্টীয় এই বিশ্বাসকে সমর্থন করেন না। ট্রাম্পের ইসরাইল প্রীতি ও লিকুদ পার্টির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত টানে আমেরিকায় বেশির ভাগ ইহুদি বিব্রত বোধ করেন। মিডিয়া তাকে a chump for the Zionist state বলেও প্রচার করেছে।

টেক্সাসের বড় মাপের পেস্টর বা ধর্মযাজক ও ট্রাম্পের বহু দিনের সমর্থক রবার্ট জেফারেস অবশ্য বলেন, প্রেসিডেন্টের কোনো ‘নবী সমস্যা’ নেই। এ কথা মিডিয়ায় বলার সময় তিনি হাসছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাম্প ইসরাইলের রক্ষক, তার মতো কোন প্রেসিডেন্ট আগে কাজ করেননি।’ তিনি আরো জানান, “ইসরাইলের লোকেরা ট্রাম্পকে ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট’ বলতেও পছন্দ করেন।”

আসলে সমস্যা শুরু হয় যখন চীন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে তিনি বলে ফেলেন, ‘আমি গডের মনোনীত একজন’। এই কথা বলার সময় তিনি আসমানের দিকে আঙুল তুলে দেখান। ‘জনগণ আমাকে এই কাজের জন্য নিয়োগ করেছেন আমি তাই করছি। চীনের সাথে এই বিরোধে আমি জিতব। আমার আগে কেউ এ কাজটি করেননি।’

২০১৫ সালের নির্বাচনের সময় ইভানজালিক্যাল নেতারা প্রচারণার সময় দাবি করেন যে, ‘ট্রাম্প গডের মনোনীত এবং তিনি প্রেসিডেন্ট হবেনই।’ এরই সূত্র ধরে ফ্লোরিডার ইভানজালিক টিভি কাস্টার পলা হোয়াইট ‘দ্য জিম বাকের শো’তে বলেন, ‘গড ট্রাম্পকে প্রতিপালন করে বড় করেছেন।’ অর্থাৎ অন্যান্য বা নবীরা যেভাবে প্রতিপালিত হন। ‘গড একজন সম্রাটকে বড় করেন এবং গড একজনকে ছোট করেন।’ টিভি শোতে তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন। রিলিজিয়ন নিউজ অ্যাসোসিয়েশন কনফারেন্সের প্যানেল আলোচনায় পলা হোয়াইটকে চাপ দেয়া হলে তিনি বলেন যে, আসলে তিনি সব নেতার কথাই বলেছেন, তার মতে বারাক ওবামাও গডের মনোনীত। পলার ভাষায়, ‘শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন, আমি বিশ্বাস করি এমন বক্তব্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্যও সত্য, হিলারির জন্যও সত্য।’

জর্জ বুশ বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধের জন্য গড আমাকে বলেছিলেন।’ টনি ব্লেয়ার বলেছিলেন, ‘ইরাকে সৈন্য প্রেরণ করব কিনা সে সিদ্ধান্তের জন্য আমি গডের কাছে প্রাথর্না করেছি।’ হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘শৈশব থেকেই আমি গডের সাথে সংযুক্ত এবং গডও আমাকে দেখাশোনা করেন।’ থেরেসা মে বলতেন, ‘গডের প্রতি বিশ্বাস আমাকে বলে দেয় আমি ঠিক কাজটি করছি।’ গডকে বিক্রি করেও এরা সবাই এখন রাজনীতির মঞ্চ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। কোথাও তাদের কথা বিক্রি হচ্ছে না।

এমনকি বুশ ব্যতীত কাউকে কোনো বক্তৃতার জন্যও আমন্ত্রণ জানানো হয় না। ওদিকে আরব বিশ্বে মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসিকেও এরকম ফতোয়া দিয়েছে দরবারি আলেমরা। তাদের মতে যদি কোনো নবীর আগমনের প্রয়োজন হতো তবে তিনি হতেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি!

এখন তথ্য বের হয়েছে যে, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পিউ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করতে ট্রাম্পকে বুদ্ধি ও চাপ প্রয়োগ করেছেন। এরা দুজনেই ইভানজলিক গুরু ও জিওনিজমের কট্টর সমর্থক।

হত্যাকাণ্ডের পর পম্পিউ ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস প্রোগ্রামে বলেন, ‘ট্রাম্প অগণিত মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছেন।’ প্রেসিডেন্টের প্রিয় সকালের টিভি প্রোগ্রামে ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, ‘আমেরিকানরা এখন নিরাপদ’। এ দুইজন জিওনিস্ট অ্যাডভোকেসি গ্রুপের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের পর ট্রাম্পকে লাখ লাখ ই-মেইল করে প্রশংসা জানানোর ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি ট্রাম্প জানার পর চিন্তিত হলেও কিছু প্রকাশ করতে পারছেন না। বেনন ও বোল্টনের মতো পম্পিউরও সদর দরজা যেকোনো সময় খুলে দেয়া হতে পারে। জর্ডান তীর দখল, ফিলিস্তিনিদের নিঃশেষ করার ইসরাইলি কার্যকলাপ, ইরানযুদ্ধ ও ইরানকে নির্মূল করা এসব বিষয়ের সাথে এই দুইজন ওতপ্রোতভাবে খ্রিষ্টান ইউনাইটেড ফর ইসরাইল CUFI-তে জড়িত কর্মকর্তা। CUFI-খ্রিষ্টান ইউনাইটেড ফর ইসরাইল ২০০৬ সালে সূচনা করেন আরেক ইভানজালিক টিভি প্রোগ্রামার জন হেগ, তাকে টেলিভানজেলিস্ট হিসেবে ডাকা হয়।

হেগের দল প্রথম ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডাক দেয় এবং তাদের মতামতকে সাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে গ্রহণের জন্য ‘ঐশ্বরিক’ বিষয়গুলো চালু করে। তখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আহমাদিনেজাদ এবং আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। কুফির কর্মকর্তারা ছড়িয়ে দেন যে, ইরান অচিরেই ‘স্যুটকেস পরমাণু বোমা’ তৈরি করছে। টেলিভানজেলিস্ট হেগ প্রকাশ্যেই বলতেন, আরেকটি হিরোশিমা না হলে ইরান জাপানের মতো নমনীয় হবে না।

প্রসঙ্গক্রমে তারা হামানের উদাহরণ টানেন, যিনি পারস্যের রাজার উপদেষ্টা ছিলেন এবং গণহত্যার পরমর্শ দিতেন। রানী এস্তারের কথাও আসে যিনি ইহুদিদের হামানের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। ইহুদিরা এখনো এস্তারের স্মরণ করে পুরিম ছুটির দিনে। হেগ তার Jerusalem Countdown বইতে বর্ণনা করেছেন কিভাবে ইরানে আগুন জ্বালিয়ে দিলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে দহন করবে। তার বইকে তিনি বাইবেলের ভবিষ্যৎবাণীর সাথে মিলিয়েছেন যেন তা বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। বইতে যিশুর দ্বিতীয় মর্তে আগমনের কথাও উঠে আসে, তিনি যে আমেরিকা ও ইসরাইলের রাজা হবেন তাও বর্ণিত হয়েছে। পেন্স সেই শুরু থেকে CUFI-র সাথে জড়িত। সংগঠনটি ২০১৪ সালে পেন্সকে সপরিবার ইসরাইলে বেড়িয়ে আসার ও ক্রিসমাস উদযাপন করার ব্যবস্থা করে। বলতে গেলে ইভানজালিক এই গ্রুপটি আমেরিকার শীর্ষ পদে কারা থাকবেন তার সিদ্ধান্ত দেয় ও প্রয়োজনীয় সহায়তা করে। হোয়াইট হাউজে এক ডিনারে হেগ ট্রাম্পকে ধারণা দেন যে, ইসরাইলের অ্যামবেসি জেরুসালেমে নেয়া উচিত কেননা এখানেই যিশু ফিরে আসবেন।

হেগ তার ওয়েবসাইটে বিস্তার লেখালেখি করতে থাকেন। তিনি আরো বোঝান যে, যিশু টেম্পল মাউন্টের সিংহাসনে বসবেন এবং শান্তির সাথে এক হাজার বছর শাসন করবেন। তিনি ট্রাম্পকে বুঝাতে সক্ষম হন যে, এই বিষয়ে যা করা হোক না কেন, তিনি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতেই তা করছেন এবং পুণ্যময় আলোকবর্তিকা হিসেবে জগতে ভাস্বর হয়ে থাকবেন। যিশুর আগে আরো কিছু যিশুসদৃশ্য ব্যক্তি আসবেন, তিনিও তাদের একজন হতে পারবেন। সমালোচকরা পেন্সের ব্যাপারে বলছেন যে, কিভাবে আমেরিকার মতো একটি দেশে ‘খ্রিষ্টান মৌলবাদী বিশ্বাসকে’ ভিত্তি করে রাজনীতি ও জনসেবার শীর্ষ পদে আরোহিত হওয়া যায়। আমেরিকার জনগণ আরো শঙ্কিত যে কিভাবে ইভানজালিক ধর্মমত জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে যা আমেরিকাকে বিশ্বব্যাপী ধ্বংস ও যুদ্ধ করার জন্য প্ররোচিত করছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us