সাবমেরিন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা ভারতের

স্নেহাশীষ আলেক্স ফিলিপ | Jan 23, 2020 10:01 am
সাবমেরিন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা ভারতের

সাবমেরিন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা ভারতের - ছবি : সংগৃহীত

 

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ছয়টি প্রচলিত সাবমেরিন নির্মাণের কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে দুটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এ দুটি হলো লারসেন অ্যান্ড টারব্রো ও রাষ্ট্রপরিচালিত মারাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স। প্রতিযোগিতায় আদানি গ্রুপও ছিল। কিন্তু তাদেরকে বিবেচনা করা হয়নি।

মন্ত্রণালয় ৬০ হাজার কোটি রুপির মেগা প্রকল্পটির জন্য ৫টি বিদেশী কোম্পানিকেও অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৩০ বছরের মধ্যে ১৮টি প্রচলিত ও ছয়টি পরমাণু-শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরী করা হবে।
প্রজেক্ট ৭৫ ইন্ডিয়া তথা পি৭৫ (১) অনুযায়ী বিদেশী কোম্পানিগুলোকে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ মডেলের আওতায় কোনো ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে ভারতে যৌথভাবে জাহাজগুলো নির্মাণ করতে হবে।
নৌবাহিনী সূত্রগুলো দি প্রিন্টকে বলেছে যে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল আদানি গ্রুপ। কিন্তু তাদেরকে বিবেচনা করা হয়নি।

আগেও আদানি-এইচএসএল দরপত্র বাতিল করা হয়েছিল।

ভারত বর্তমানে সাবমেরিন নির্মাণের বিশাল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আঞ্চলিক শক্তি থেকে পরাশক্তি হওয়ার পথে এটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তার করার জন্য তারা সাবমেরিনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে চাচ্ছে। চীনও ভারত মহাসাগরকে টার্গেট করে তাদের নৌবাহিনীর শক্তি বিপুলভাবে বাড়িয়ে তুলছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ দিকে তাদের নজর দিচ্ছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে ভারত মহাসাগরে সাবমেরিন একটি বড় ধরনের অস্ত্র হিসেবে আবির্ভুত হতে যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ, মিয়ানমারের মতো দেশও এখন সাবমেরিন হাতে পাচ্ছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী ২০১৯ সালে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ মডেলে ছয়টি প্রচলিত সাবমেরিনে নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করলে চারটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে। এগুলো হলো এলঅ্যান্ডএল, মাজাগন ডক শিপবিল্ডিার্স, রিলায়েন্স নেভাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড (এইচএসএল) ও আদানি গ্রুপ।
আর্থিক শক্তি, স্থাপনা ইত্যাদি বিবেচনা করে নৌবাহিনীর পর্যালোচনা কমিটি মাজাগন ডক ও এলঅ্যান্ডএলকে সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে।

চাহিদা পূরণ করতে না পারায় আদানি ও এইচএসএলকে বাদ দেয়া নৌবাহিনী। আদানির আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী থাকলেও তাদের নিজস্ব কোনো শিপিয়ার্ড নেই। তবে এইচএসএলের নিজস্ব শিপিয়ার্ড আছে। এখন আদানি ও এইচএসএল যৌথভাবে দরপত্রে অংশ নিতে চাচ্ছে। তবে কংগ্রেস অভিযোগ করছে, সরকার আদানি গ্রুপকে আনুকূল্য প্রদর্শন করছে।

এদিকে সূত্র জানিয়েছে, যে বিদেশী ৫টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের ন্যাভাল গ্রুপ, রাশিয়ার রুবিন ডিজাইন ব্যুরো, স্পেনের নাভানতিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু শিপবিল্ডিং ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও জার্মানির থিসেনক্রপ মেরিন সিস্টেমস।
সুইডিশ প্রতিষ্ঠান সাব ইতোপূর্বে প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল এই বলে যে তাদেরকে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

রাশিয়া সাবমেরিনে নির্মাণে দুই সরকারের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তারা যৌথভাবে নক্সা তৈরীর ওপরও জোর দিচ্ছে।
দি প্রিন্ট

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us