পাকিস্তানের জেএফ-১৭'র মোকাবিলায় ভারতের সু-৩০
পাকিস্তানের জেএফ-১৭'র মোকাবিলায় ভারতের সু-৩০ - ছবি : সংগৃহীত
ভারত তার কৌশলগত দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের থানজাভুর বিমান ঘাঁটিতে ৩০ এমকেআই জঙ্গিবিমান সরবরাহ করেছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
মজার ব্যাপার হলো, গত বছর ভারত-পাকিস্তান আকাশযুদ্ধের সময় মাত্র ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেএফ-১৭ থান্ডার ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি সু-৩০ ও একটি মিগ-২১ জঙ্গিবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। মিগের পাইলট অভিনন্দন পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়ে। এটি ভারতের জন্য বেশ অস্বস্তির কারণ হয়। পাইলট বন্দী হওয়া ও দুটি জঙ্গি বিমান হারানো ছিল বেশ লজ্জার বিষয়।
আর সোমবার ভারত দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিল নাড়ুর থানজাভুর বিমান ঘাঁটিতে ‘টাইগার শার্কস’ নামে পরিচিতি নম্বর ২২২ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে।
ভারতীয় ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল রাকেশ কুমার সিং ভাদুরিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্কোয়াড্রনটিতে ৫ থেকে ৬টি বিমান থাকবে। এই সংখ্যা ভবিষ্যতে ১৮টি হতে পারে বলে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়। এসব বিমানে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। ভারত ও রাশিয়া মিলে ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার এসব ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে যে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছেন যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সু-৩০ই কেবল পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডারের সাথে তুলনীয় হতে পারে। আবার এই জেএফ-১৭ থান্ডারই ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আকাশযুদ্ধে সু-৩০কে পরাজিত করেছে।
সুখোই-৩০এমকেআই (এমকেআই মানে হলো মডার্নাইজড কমার্সিয়াল ইন্ডিয়া) ভারতের জন্যই তৈরী করা হয়েছে রাশিয়ার সুখোই-৩০-এর আলোকে। এসব বিমান স্থলভাগের টার্গেটে আঘাত হানতে বেশ পারদর্শী। তাছাড়া আকাশযুদ্ধেও এর সক্ষমতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এখন তামিল নাড়ু উপকূলে এই বিমানকে ভারত মহাসাগরের আকাশসীমায় টহল দিতে হবে।
এই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে সাউদার্ন এয়ার কমান্ডের প্রধান এয়ার মার্শাল অমিত তিওয়ারি বলেছেন যে ভারতীয় বিমান বাহিনী বিশাল ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তার সীমা বাড়াতে প্রস্তুত। আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য এই কৌশলগত অঞ্চলের বিপুল গুরুত্ব রয়েছে।
গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস
ভুলে ৮টি যুদ্ধবিমান নষ্ট ইসরাইলের
রয়টার্স
নিজেদের ভুলে ৮টি ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে ইসরাইল। গত সপ্তাহে দেশটিতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে হাতজর বিমানঘাঁটিতে প্রায় ৫ কোটি লিটার পানি জমে যায়। এতে সেখানকার ভূগর্ভস্থ হ্যাঙ্গারে পানি ঢুকলে অন্তত আটটি ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইহুদি রাষ্ট্রটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে, ভূগর্ভস্থ অংশগুলো ডুবে বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। মাত্র আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে এত বেশি ক্ষতি হবে, সেটি বুঝতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিল ইসরাইলি বিমান সেনারা। হ্যাঙ্গারগুলো অন্তত দেড় মিটার পানির নিচে তলিয়ে যায়।