চুলের পরিচর্যায় কতটা জরুরি কন্ডিশনিং
ডা: ওয়ানাইজা রহমান - ছবি : সংগ্রহ
চুল বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ও চুল ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি মাঝে মাঝে স্থায়ী হয়ে যায়। নতুন চুল না গজানো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত চুল নিয়ে থাকাটা ভীষণ কষ্টের। কিন্তু নিয়মিত কন্ডিশনিংয়ের মাধ্যমে বিবর্ণ চুল আবার আগের মতো সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করা সম্ভব। ত্বকে যেমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র হয় তেমনি চুলের জন্য কন্ডিশনিং প্রয়োজন
চুলের তিনটি স্তর- সবচেয়ে ভেতরের স্তর মেডুলা, মাঝের স্তর কর্টেক্স এবং বাইরের স্তর কিউটিকল। কিউটিকলের জন্য চুল ঝকঝকে, মসৃণ থাকে।
কিউটিকল নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে-
Ñ খুব বেশি সূর্যরশ্মি এবং দূষণের কারণে।
Ñ বেশি চুল ব্রাশ করলে বা আঁচড়ালে।
Ñ হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকালে।
Ñ চুলে ব্লিচ ব্যবহার করলে।
Ñ চুলে বেশি রঙ ব্যবহার।
Ñ চুল সোজা বা কোকড়া করলে।
Ñ ক্লোরিন ও লবণাক্ত পানিতে চুল ধোয়া।
এসব কারণে চুলের কিউটিকলের কোষ ভেঙে যায়। এতে চুল রুক্ষ দেখায়। চুল প্রাণহীন দেখায় ও আগা ফেটে যায়। চুল বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ও চুল ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি মাঝে মাঝে স্থায়ী হয়ে যায়। নতুন চুল না গজানো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত চুল নিয়ে থাকাটা ভীষণ কষ্টের। কিন্তু নিয়মিত কন্ডিশনিংয়ের মাধ্যমে বিবর্ণ চুল আবার আগের মতো সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করা সম্ভব। ত্বকে যেমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র হয় তেমনি চুলের জন্য কন্ডিশনিং প্রয়োজন।
কন্ডিশনিংয়ের ফলে চুলের যে উন্নতি হয়
Ñ চুল মসৃণ হয়।
Ñ চুল ঝকঝকে হয়।
Ñ চুল দৃঢ় হয়।
Ñ চুলের আগা চিরে যাওয়া বন্ধ হয়।
Ñ চুলের জট ছেড়ে যায় ও আঁচড়ানো সহজ হয়।
Ñ চুল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
Ñ চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।
অনেক কন্ডিশনার যুক্ত শ্যাম্পু পাওয়া যায়। কিন্তু আলাদা কন্ডিশনার চুলের জন্য ভালো। কন্ডিশনার এমন হওয়া প্রয়োজন যার ফল পরেরবার শ্যাম্পু করা পর্যন্ত থাকে।
প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়। এ ছাড়া মাসে একবার বিউটি সেলুনে গিয়ে চুল বিশেষ গভীরভাবে কন্ডিশনিং করানো যায়।
কিভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন?
Ñ চুল শ্যাম্পু করার পর, চুলের অতিরিক্ত পানি হাত দিয়ে জাপটে ধরে বের করে দেবেন।
Ñ এবার কন্ডিশনার হাতে নিন। ছয় ইঞ্চি লম্বা চুলের জন্য এক টাকার কয়েন সমপরিমাণ কন্ডিশনার নেবেন। চুল বড় হলে এই অনুপাতে পরিমাণ বাড়াবেন।।
Ñ দুই হাতের তালু থেকে কন্ডিশনার চুলের নিচে থেকে ওপরের দিকে লাগাতে থাকবেন।
Ñ চুল বড় হলে মোটা দাতের চিরুনি চালিয়ে পুরো চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন।
Ñ দুই থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করার পর আলতোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
Ñ তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি না করে হালকা করে আর্দ্রতা বজায় রেখে মুছে নেবেন।
লেখিকা : অধ্যাপিকা, ফার্মাকলোজি ও থেরাপিউটিকস বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।
চেম্বার : দি বেস্ট কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ২০৯/২, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ফোন : ০১৬৮৬৭২২৫৭৭