বাবুরের মোকাবিলায় কে-৪!
কে-৪ - ছবি : সংগ্রহ
ভারত তার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চীয় উপকূলে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপনযোগ্য পরমাণু যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম কে-৪ ব্যালিস্টিক মিসাইলের (এসএলবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে। এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি ডুবন্ত প্লাটফর্ম থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাকিস্তানকে টার্গেট করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত।
কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরীক্ষা ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যে তেমন সুবিধা দেবে না। পারমাণবিক সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রে পাকিস্তান এরই মধ্যে দ্বিতীয় আঘাত হানার ক্ষমতা অর্জন করেছে। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ৩,৩২৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
পাকিস্তানের হাতে ভারতের কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সমমানের হাতফ ৪-২ বা বাবুর-৩ রয়েছে। এটাও একটি এএলসিএম এবং এর এমআইআরভি সামর্থ্য রয়েছে। দুই বছর আগে সফলভাবে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতের কে-৪ ক্ষেপনাস্ত্রটি দেশটির প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্তে মোতায়েন করা হতে পারে। রোববার বিকেলে বিশাখাপট্টমের অদূরে একটি ডুবন্ত প্লাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপনের পর ক্ষেপনাস্ত্রটি ২,২০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে টার্গেটে আঘাত করে বলে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় পত্রিকার খবরে বলা হয় যে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপনের আবহ তৈরি করা হয় ডুবন্ত প্লাটফর্মে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এই স্টেট অব আর্ট অস্ত্রটি ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধক জোরদার করবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তবে এবারই প্রথম এটি এত দূরে যেতে পেরেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কর্মকর্তারা বলেন, আগেও কয়েকবার কে-৪ পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম দূরপাল্লার জন্য এটি উৎক্ষেপন করা হয়।
যদিও উৎক্ষেপনের সার্বিক বিষয়ে নয়া দিল্লি এখনো পুরোপুরি মুখ খোলেনি কিন্তু কমর্কতারা মিডিয়াকে বলেছেন যে কোন ঝামেলা ছাড়াই রোববারের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি প্রত্যাশিত সবগুলো প্যারামিটার পূরণ করেছে।
এখন আইএনএস ১২টি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কে-১৫ ব্যালিস্টিক মিসাইল বহন করছে। কিন্তু কে-৪ অপারেশনাল হলে এই সাবমেরিন ভারতের নিজস্ব তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইলের চারটি বহন করতে পারবে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ড. শিশির উপাধ্যায় গত ডিসেম্বরে আরটি-কে বলেছিলেন যে পারমাণবিক হামলা হলে অরিহন্ত ভারতকে দ্বিতীয় আঘাত হানার ক্ষমতা দেবে। এই সামর্থ্য অর্জনের ফলে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাতে বাজির পণ বেড়ে গেলো। ফলে সঙ্ঘতের আশঙ্কা কমবে এবং পরিস্থিতি আরো স্থিতিশীল হবে।
গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস