এবারের চ্যালেঞ্জ
এবারের চ্যালেঞ্জ - ছবি : সংগ্রহ
ব্যক্তি জীবন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় বলয়ে প্রাপ্তির জন্য নিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাটাই স্বাভাবিক। সময়ের এমন সব চ্যালেঞ্জ বুদ্ধিমত্তা, পরিশ্রম আর ধৈর্যের সাথে সংগ্রাম করে উত্তীর্ণ হওয়াটাই সাফল্যের সোপানে পৌঁছার চাবিকাঠি। এমন সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়াই জীবনে স্বাভাবিক। যে জীবনে এমন উদ্যোগ আয়োজন নেই, সে জীবন গতিহীন ও জরাগ্রস্ত। রাষ্ট্রীয় জীবনে এমন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকা এবং তাতে বিজয়ী হওয়াটা সাফল্যের। কিন্তু এমন সংগ্রামে সক্ষমতার সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হতে না পারলে সে ব্যর্থতার জন্য শুধু গ্লানি অনুভব করলেই সব শেষ হয় না। সে বিষয়গুলো আরো বড় ও কঠিন হয়ে ফিরে এসে সমাজ ও রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে ফেলে। আর তাতে নাগরিকদের দুর্ভোগ, দুঃখ-দুর্দশার অবসান তো নয়ই, তা শত গুণে বৃদ্ধি পাবে। পুরাতনের ওপর শক্ত ভিত্তি গড়তে না পারলে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হবে অসম্ভব। আর এসব কারণেই নতুন বছরে এখন নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, সেই পুরাতন বিষয়গুলোই ফিরে এসেছে। গেল বছরে এসবের কোনো উন্নতি হয়নি। দেশ যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। বিগত বছরের এই পিছিয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধান এবং সেটি নিয়ে যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের তদবির তাগাদা দেয়ার দায়িত্ব, তাদের না ছিল কোনো বোধ ও উদ্যোগ।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় গণমাধ্যমগুলোর বিশেষ ভূমিকা থাকার কথা, আর সেজন্যই গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যে ব্যত্যয়গুলো ঘটেছে তা গণমাধ্যমগুলোর গোচরে আসেনি, এমন নয়। ক্ষমতাসীনদের প্রতি ‘অনুরাগে সিক্ত’ বলে গণমাধ্যম তা তুলে ধরেনি। যা যৎকিঞ্চিত তোলা হয়েছে, তার প্রতি নজর দিয়ে কর্ম সংশোধন করাও হয়নি। মানুষের জন্য এবং মানুষের সমন্বয়ে গঠিত রাষ্ট্র সমাজ ও প্রশাসনকে এ কথা মনে সদা জাগ্রত রাখতে হবে এই মানুষের স্বার্থ ও সুবিধা সংরক্ষণের জন্যই প্রশাসন। আর গত বছর প্রশাসন ও তাদের তদারকি প্রতিষ্ঠানের স্থবিরতা ও নিষ্ক্রিয়তা যত সমস্যার কারণ। এর ফলে রাষ্ট্রের উন্নয়নের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য যে সূচকগুলো রয়েছে, ২০১৯-এ তার সব সূচকই ছিল নিম্নœমুখী। আর এটাই তো স্বাভাবিক। কেননা যেখানে উদ্যোগের মাত্রা শোচনীয় সেখানে উন্নয়নের ধারণা পোষণ করা নিছক বাতুলতা।
রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলো সুনির্দিষ্ট করা আছে। সেখানে পৌঁছাটাই প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। সে লক্ষ্যের ষোলো আনা এক বছরে হাসিল করা সম্ভব নয়; এটি যৌক্তিক। কিন্তু সেখানে পৌঁছার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা বছরওয়ারী কতটা ছিল আর কতটা অর্জিত হয়েছে, সেটিই বিবেচ্যের বিষয়। অথচ গেল বছর উন্নয়নের প্রায় প্রতিটি সূচকে পিছিয়ে পড়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি এবং কল্যাণের যে দিকনির্দেশনা আমাদের রাষ্ট্রের সংবিধান রয়েছে সেটি অনুসরণ করা বাস্তবায়ন প্রতিটি সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এমন অঙ্গীকার তারা ক্ষমতা হাতে নেয়ার সময় করেন থাকেন। অতীত থেকে এ পর্যন্ত যত সরকার দেশের ক্ষমতায় বসেছে, তারা সবাই এমন অঙ্গীকার করেছে। শুধু এমনটিই নয়, ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে তারা যেসব নির্বাচনী ওয়াদা করে থাকে, সেখানে থাকে ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ীরা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন কিন্তু এমন ওয়াদাগুলোর প্রতি তাদের সেই মনোযোগের লক্ষণ দেখা যায় না। এসব প্রতিশ্রুতির প্রতি নজর না দিয়ে নিছক রাষ্ট্রের দৈনন্দিন কার্য সমাধা করা নিয়ে তাদের ব্যতিব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
আর সে কারণে জনকল্যাণের সব ওয়াদা শিকায় ওঠে। এভাবে গত প্রায় পঞ্চাশ বছর অতিবাহিত হয়েছে। অথচ আমাদের সাথে বা তার পরে যেসব জনপদ স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হয়েছে, তারা এখন সম্পদে শৌর্যে এবং জনগণের জীবনমানের উন্নতি ঘটিয়ে আমাদের থেকে বহুদূর এগিয়ে গেছে। অথচ এ দেশ পিছিয়ে পড়ার জন্য আমাদের রাজনীতিকদের কোনো আত্মশ্লাঘা নেই।
অঞ্চল এবং শ্রেণীভেদে সব মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য সব সময় সব সরকারেরই প্রতিশ্রুতিই থাকে। কিন্তু এই অঙ্গীকারের আলোকে কাজ করার পরিবর্তে লক্ষ করা গেছে, তাদের কাজে আয়-বৈষম্য দরিদ্র মানুষের বিপরীতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিত্তবানরা সহায় সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠছে। অন্য দিকে, বাংলাদেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার মধ্যে অবস্থান করছে। দারিদ্র্যবিমোচনের যে চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলায় প্রশাসন সফল হয়নি। অথচ বর্তমান সরকারের মুখপাত্ররা দাবি করেন- এ সরকার গরিবের তারা ক্ষমতায় থাকলেই দরিদ্র মানুষ কিছু পেয়ে থাকে।
‘বাস্তবতার নিরিখে বলতে হয় যে, এটা তাদের নিছক, কল্পনাবিলাসী বক্তব্য। ক্ষমতাসীন দলের যারা সংসদ সদস্য তাদের বেশির ভাগ সমাজের যে অবস্থান থেকে এসেছেন, সেটা ধনী বণিক শ্রেণীর। স্বাভাবিকভাবেই তাদের চিন্তাচেতনা এবং কর্মকাণ্ডে শ্রেণীস্বার্থই প্রতিফলিত হয়ে থাকে। বর্তমান জাতীয় সংসদের বয়স এক বছরের বেশি, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে সেখানে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা আলোচনা হয়নি যা সাধারণের জন্য প্রকৃতই হিতকর হতে পারে। সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি মারাত্মক। কারণ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে হা-হুতাশ ব্যাপক। অথচ সংসদে বসা কথিত জনপ্রতিনিধিরা তার প্রতিকারের দাবি করা দূরের কথা, সামান্য উৎকণ্ঠা পর্যন্ত প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। ক্ষমতাসীন সরকারের অন্যতম প্রধান স্লোগান হচ্ছে ‘উন্নয়ন’। কিন্তু এ বক্তব্য তখনই যথার্থ হবে যখন দেখা যাবে তা সাধারণের জীবনঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু রাষ্ট্রের সবার জন্য অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দীর্ঘ পথের অনেকখানি আমরা অতিক্রম করে এলেও নেই কোনো অগ্রগতি। উন্নয়ন অবশ্যই নাগরিকদের অধিকার, তবে একই সাথে মনে রাখতে হবে, উন্নয়ন বলতে নিছক কিছু বৈষয়িক অগ্রগতি। এর ব্যাপ্তি বুঝায় না পরিধি অনেক দীর্ঘ, এর সাথে অনেক বিষয় সম্পৃক্ত। যেমন মানুষ স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা ও সাধনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবে, যা উন্নত মানসিক চাহিদা।
সংবাদমাধ্যমের ওপর যাতে কোনো বাধাবিপত্তি আরোপিত না হয়। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের যে নীতি-নির্দেশনা রয়েছে সেসব শর্ত যাতে রক্ষিত হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু জীবনযাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা থাকা চাই । আজ দেশের নারীরা ইজ্জত সম্ভ্রম নিয়ে যে শোচনীয় পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সে অবস্থায় উন্নয়নের কোনো কথা বলা সাজে না। এমন সব বিষয় যখন নিশ্চিত হবে তখনই বলা যাবে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটছে। আজ যদি এসব বিষয় নিয়ে একে একে পর্যালোচনা করা হয় তবে এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে হবে- উন্নয়ন নিয়ে যে সোচ্চার বক্তব্য দেয়া হচ্ছে সেটা সর্বাংশে সঠিক নয়। আর গতানুগতিক বক্তব্য দেয়া হতে পারে বাচালতা।
রাষ্ট্রের স্বরূপ কী হবে? এ প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব আমাদের সংবিধানেই রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র’ আর সরকারব্যবস্থা হবে সংসদীয়; যে সরকারব্যবস্থা অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক। সংবিধানের এই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করার যাবতীয় উদ্যোগ আয়োজন করা সরকারের দায়িত্ব। এটি অত্যন্ত গ্লানির বিষয় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই অলঙ্ঘনীয় নীতি আজো এ দেশে পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা পায়নি। আর যে সংদীয় সরকারব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, তা বিশুদ্ধতার বিবেচনায় উত্তীর্ণ নয়। সংসদীয় ব্যবস্থার যে আদর্শিক অবস্থান তার তুলনায় এখানে যে শাসনব্যবস্থা এখন বিদ্যমান, তাকে অনেকটা কর্তৃত্ববাদিতার সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ বলা যায়। তাই সংবিধানের চেতনাকে সমুন্নত করা এবং সরকারব্যবস্থাকে তার আদর্শিক অবস্থানে প্রতিষ্ঠা করার যে চ্যালেঞ্জ, বর্তমান প্রশাসন গত বছর তা মোকাবেলার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই এটি এখনো একটি বিরাট ইস্যু হয়ে আছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবিধানের গণতান্ত্রিক চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।
খর্ব করা হয়েছে জনগণের ভোটদানের মৌলিক অধিকার। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন সমাগত। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সংবিধান বলেছে, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সব স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করবেন। কিছু দিন আগে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান উপজেলা পরিষদের যে নির্বাচন হয়েছিল, তা ছিল সম্পূর্ণ প্রহসনমূলক। সেখানে দেখা গেছে, ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির নগ্ন প্রদর্শনী। আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কোন ধারা প্রদর্শিত হবে, সেটা দেখা যাবে তখন। সেজন্য আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কী ভূমিকা রাখে, সেটাই মূল বিষয়। সামনে তাদের জন্য দু’টি পথ রয়েছে : গণতন্ত্র এবং পেশিতন্ত্র। কোনটার পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে?
এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির প্রার্থীরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসগুলোর নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নিয়েছে; পক্ষান্তরে বিএনপির প্রার্থীদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। আওয়ামী লীগের নেতারা বলে চলেছেন, তাদের পক্ষে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো জরিপ ব্যতিরেকে এমন হিসাব কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? তবে কি এ কথা ধরে নেয়া যায় না যে, এই হিসাব তারা মনে ধারণ করেন এবং নির্বাচনে এমন ফলের ব্যবস্থাই তারা নিশ্চিত করবেন। ইভিএম নিয়ে বিএনপি অন্যান্য দলের প্রার্থীরা ঘোরতর আপত্তি তুলেছেন। কিন্তু কে শোনে তাদের কথা? নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনমনীয়। অথচ এমন অভিমত রয়েছে যে, দেশের সাধারণ ভোটারদের পক্ষে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোট দেয়া সহজ হবে না। তাই ইভিএম নিয়ে কমিশনের একগুঁয়ে মনোভাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল নয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন হয়ে গেল সংসদের। আশা ছিল, এ বছর এই প্রথম ভোট গণতন্ত্রের জন্য শুভ বার্তা দিয়ে যাবে। নানা অনিয়ম অব্যবস্থা এবং এন্তার অভিযোগের পর এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে বটে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে পরাজিত হয়েছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের প্রধান অনুশীলন নির্বাচন; তবে শুধু নির্বাচন নয়, আমাদের সমাজ বাস্তবতার কারণে তার আগে সংযোজিত হতে হবে প্রশ্নমুক্ত কথাটি। নির্বাচন কমিশন যে ভোট করিয়েছে চট্টগ্রামে, সেটা প্রশ্নমুক্ত ছিল না। অথচ জনগণের পক্ষ থেকে লাগাতার দাবি আসছে, তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার একটিও গুণে-মানে উত্তীর্ণ নয়।
একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য ক্ষমতা-কর্তৃত্ব পুরোটাই দেয়া হয়েছে তাকে। এর পরও তারা যদি পক্ষপাতদুষ্ট হন তবে এটা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে, সেটাকে শুদ্ধ করতে হবে, যাতে যতদূর সম্ভব সৎ যোগ্য যারা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন, তেমন ব্যক্তিদের কমিশনের দায়িত্ব দেয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ndigantababor@gmail.com