ভারতের নৌবাহিনী কি পারবে

মানু পাব্বি | Jan 17, 2020 10:17 pm
ভারতের নৌবাহিনী

ভারতের নৌবাহিনী - ছবি : সংগৃহীত

 

গুরুতর বাজেট সঙ্কটে পড়ে ভারতীয় নৌবাহিনী যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনাকাটা থেকে পিছিয়ে আসছে। বেশ কিছু পরিকল্পনায় কাটছাট করা হয়েছে এবং এতে নৌবাহিনীর ভবিষ্যত কয়েকটি প্রকল্প গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপর্যুপরি বেশ কয়েকটি বাজেটে নৌবাহিনীর চাহিদা পূরণ হয়নি। ফলে এই যৌক্তিকরণ প্রক্রিয়া এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি বছরের বাজেটে নৌবাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ৪১,২৫৯ কোটি রুপি। অথচ এই বাহিনীর জন্য সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছিলো ৬৪,৩০৭ কোটি রুপি। কর্মকর্তারা বলছেন যে, এই বাজেট দিয়ে নতুন কেনাকাটা দূরের কথা এরই মধ্যে যেসব চুক্তি সই হয়েছে সেগুলোর অর্থ পরিশোধ করাও কঠিন হবে।

নৌবাহিনীর সূত্র এই পত্রিকাকে বলে, বাজেটের কারণে মাইন কাউন্টার মেজার্স ভেসেল সংখ্যা ১২ থেকে ৮ করা হয়েছে। এই কাজের অর্ডার দেয়া হয়েছিলো গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে। চুক্তি হয়েছিলো ৩২,০০০ কোটি রুপির। তা এখন কমে আসবে।

একইভাবে কামভ কেএ৩১ আর্লি ওয়ার্নিং হেলিকপ্টার কেনার কথা ছিলো ১০টি, এখন সংখ্যা কমিয়ে ছয়টি করা হয়েছে। এয়ারক্রাফট কেরিয়ারের মতো মতো বড় জাহাজে এগুলো মোতায়েনের কথা ছিলো। এগুলো মোতায়েন করা গেলে ধেয়ে আসা শত্রু বিমান অনেক দূর থেকেই শনাক্ত করা যাবে।

এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩,৬০০ কোটি রুপি। গত নভেম্বরে নৌবাহিনীর পি৮আই নজরদারি বিমানের সংখ্যা কমিয়ে ১০ থেকে ৬ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এগুলো কেনার কথা রয়েছে। এই খাতে ব্যয় ধরা হয়ছিলো ২১,০০০ কোটি রুপি।

সূত্র জানায় যে, নৌবাহিনী মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ক্যাডেট ট্রেনিং শিপ প্রগ্রাম বন্ধ করে দিচ্ছে।

আরেকটি বড় যে চুক্তির বিপর্যয় ঘটেছে তা হলো ২০,০০০ কোটি রুপিতে চারটি ল্যান্ডিং প্লাটফর্ম ডক কেনা। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের এই চুক্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ভারতের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ বেসরকারি ডকইয়ার্ডে নির্মাণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলো ২০১৩ সালে। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে এই প্রকল্পে অচলাবস্থা দেখা দেয়। ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।

প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পার্লামেন্টকে জানিয়েছে যে এই যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার বিষয়টি অবাক করার মতো কিছু নয়। কারণ তহবিল স্বল্পতা সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নৌ বাহিনী এরই মধ্যে এয়ারক্রাফট কেরিয়ার, মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল, ল্যান্ডিং প্লাটফর্ম ডক, ও ফ্লিট সাপোর্ট শিপের স্বল্পতায় ভুগছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী ২০২৭ সালের মধ্যে ২০০ যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিলো। এরই মধ্যে ওই সংখ্যা ১৭৫টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাজেট সঙ্কটের কারণে সংখ্যাটি আরো কমে কিনা এখন সেটি দেখার বিষয়।

সূত্র : ইকোনমিক টাইমস

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us