কোন দিকে যাবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা?
কোন দিকে যাবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা? - ছবি : সংগ্রহ
ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর আল কুদস শাখার প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর সৃষ্ট উত্তেজনার অবসান ঘটার আগেই নতুন করে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে আমেরিকান বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ভুলবশত একটি ইউক্রেনীয় যাত্রীবাহী বিমান আঘাত করার ফলে ১৭৬ যাত্রীর প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা নতুন করে বাড়ছে। সোলাইমানি হত্যার দায় নিয়ে চাপের মুখে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরনো টুলসগুলো আবার সক্রিয় করতে শুরু করেছে।
প্রাথমিকভাবে যাত্রীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের কথা অস্বীকার করেও পরে এর দায় স্বীকার এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধানের ক্ষমা প্রার্থনা ও প্রেসিডেন্ট রুহানির ‘অমার্জনীয় ভুলের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ পুরো ঘটনায় তেহরানকে এক রক্ষণশীল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। এ সুযোগে বিক্ষুব্ধ ইরানিদের দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক দুর্ভোগের ক্ষতকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যথারীতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন এবং ইরানে শাসন পরিবর্তনের পুরনো অভিপ্রায় বাস্তবায়নে অর্থনেতিক অবরোধকে আরো কঠোর করছেন।
নতুন করে সৃষ্ট এই উত্তেজনা আবারো যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে চলে যায় কি না সেই আশঙ্কায় আশপাশের মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, দুই পক্ষ তাদের কৌশলগত অবস্থান থেকে একটুও বিচ্যুত হয়নি। ইরান চাইছে, ইরাক থেকে আমেরিকান সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেয়া হোক। ইরানের আটককৃত সম্পদ অবমুক্ত করা হোক। ইরানে শাসন পরিবর্তনের মার্কিন অ্যাজেন্ডা পরিত্যাগ করা হোক। মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেন সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোতে আমেরিকান সম্পৃক্ততা বন্ধ করা হোক। এর মধ্যে প্রথম দুটি অ্যাজেন্ডা হলো ইরানের জন্য অনেকটাই নন-নেগোসিয়েবল।
অন্য দিকে, মার্কিন য্ক্তুরাষ্ট্র দৃশ্যত শর্তহীন আলোচনার কথা বললেও কার্যত আগের কৌশলগত লক্ষ্যগুলো থেকে একটুও বিচ্যুত হয়নি। সব ধরনের অবরোধ বজায় রেখেই ওয়াশিংটন আলোচনায় বসতে চায় তেহরানের সাথে। আর একদিকে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি, অন্য দিকে শাসনবিরোধী বিক্ষোভে ইন্ধন জোগানোর মার্কিন কৌশল অব্যাহত রয়েছে। ইরাকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার ইরাকি সংসদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, দেশটিতে আমেরিকার খরচ করা সব টাকা ফেরত দিতে হবে, নইলে ইরাকের উপরও ইরানের মতো মার্কিন অবরোধ আরোপ করা হবে। সেই সাথে কানাডা ও ইউক্রেনকে দিয়ে বিমান বিধ্বস্ত করার ইস্যুতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সবচেয়ে উত্তেজনাকর হলো- কাসেম সোলাইমানির একই স্টাইলে আল কুদস বাহিনীর আরো জেনারেলকে হত্যার পরিকল্পনার কথা ফাঁস হয়েছে।
বাগদাদে যেদিন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে আমেরিকা হত্যা করে, সেদিনই ইয়েমেনে তৎপর ইরানের কুদস ফোর্সের শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডার আবদুর রেজা শাহলাইকে আমেরিকা হত্যার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টে। পত্রিকাটি বলেছে, ইরানি কুদস ফোর্সের শীর্ষ পর্যায়ের এই কমান্ডার ইয়েমেনে তৎপর ছিলেন এবং ইয়েমেনে হুতি আনসারুল্লাহ যোদ্ধা এবং তাদের সমর্থিত সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করছেন।
ইরান বলছে, কুদস ফোর্সের এই কমান্ডারকে আমেরিকা যদি সত্যিই হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে, তাহলে এখন জেনারেল সোলাইমানির হত্যার বিষয়ে মার্কিন দাবি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। সোলাইমানি আমেরিকার বিরুদ্ধে বড় রকমের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মার্কিন প্রশাসন যে দাবি করেছে, তা এখন মিথ্যা বলে প্রমাণিত হচ্ছে। আর সেই সাথে আমেরিকা কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব ধ্বংস করতে চাইছে বলেই পরিষ্কার হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, নতুন করে সৃষ্ট উত্তেজনার গতি কোন দিকে যাবে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সঙ্ঘাত কি অনিবার্য হয়ে উঠবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্য বা অন্য কোথাও যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে না চাইলেও ট্রাম্পের সামনে যে অভিসংশন চাপ ও নির্বাচন রয়েছে, তাতে একটি জাতীয়তাবাদী উত্তেজনা তার ভোট প্রাপ্তির জন্য সহায়ক হতে পারে। ফলে সর্বব্যাপী যুদ্ধ না হলেও একটি সীমিত যুদ্ধ ট্রাম্প চেয়ে বসতে পারেন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলো ইসরাইলের নেতানিয়াহু সরকার। নেতানিয়াহুর সামনের আরো একটি নির্বাচন সমাগত। ছয় মাসের কাছাকাছি সময়ের মধ্যে তৃতীয়বারের এই নির্বাচন হচ্ছে সরকার গঠন করতে না পারার কারণে। ইসরাইলেও উগ্র জাতীয়তা চাঙ্গা করার জন্য এক যুদ্ধ নেতানিয়াহুর জন্য সহায়ক হতে পারে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিশেষ সহকারী বুসাইনা শাবান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী ইসরাইলের দেয়া পরিকল্পনাগুলো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অন্ধভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি ইসরাইলের দৈনিক হারেৎজ পত্রিকায় একটি রিপোর্টের উল্লেখ করে বলেন, ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। ইসরাইলের দুজন কর্মকর্তাকে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করতে আগ্রহী এবং এ জন্য তিনি কংগ্রেসের অনুমতি নেবেন না।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে তৈরি সমীকরণে মনে হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে একটি যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠা অস্বাভাবিক নয়। তবে এই যুদ্ধ শুরু করা হলে তার পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটিই হলো কথা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ইরানের সাথে যদি সঙ্ঘাত শুরু হয়, তাহলে তার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়বে। এ ধরনের সঙ্ঘাতের ফলে সারা বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে। মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রথম দিনে সৌদি আরব পৌঁছে শিনজো আবে এ কথা বলেছেন। তিনি সেখানে পৌঁছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করেন। শিনজো আবে পরিষ্কার করে বলেন, ইরানের মতো দেশের সাথে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়লে শুধু আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে না, বরং সারা বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা এবং শান্তি বিঘ্নিত হবে।
নতুন পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রক্সি বাহিনীগুলোর সংশ্লিষ্টতায় সঙ্ঘাত বাঁধানো হলে সেটি কিছুটা সীমিত পরিসরের হতে পারে। জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহকে দিয়ে আইএসের নতুন করে উত্থানের থিউরি বাজারে ছাড়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সহায়তায় এ ধরনের একটি বাহিনী ইরাক-সিরিয়ায় সক্রিয় করে তোলা হতে পারে। কিন্তু এ অঞ্চলে প্রতাপের সাথে রুশবাহিনী অবস্থান করায় সে ধরনের চেষ্টা অঙ্কুরে নষ্টও হতে পারে। আর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে অনিবার্যভাবেই রাশিয়ার যুক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতোমধ্যে রুশ কর্মকর্তারা তেমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। আর এই সঙ্ঘাত অব্যাহত থাকলে তা পারমাণবিক সঙ্ঘাতে রূপ নিতে পারে।
সব কিছু মিলে চাপ দিয়ে যে ইরানকে নত করা যাবে না তা ইরানি কর্মকর্তাদের কিছু বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর প্রতি তেহরানের ঘনিষ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সিরিয়ার পুনর্গঠনের সময়টিতে সে দেশের সরকার ও জনগণের পাশে থাকবে তেহরান। প্রতিরোধ আন্দোলন এখন মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রতিষ্ঠিত মতবাদ ও সংলাপের বিষয়ে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমেরিকা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করার মাধ্যমে এ অঞ্চলে মোতায়েন নিজের সেনাদের জীবনকে বিপদাপন্ন করে তুলেছে। মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এ অঞ্চলের একটি চলমান প্রক্রিয়ায় পরিণত হওয়া উচিত।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানির বক্তব্যেও একই ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের সম্পূর্ণভাবে বহিষ্কার করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পশ্চিম এশিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার না করলে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি এবং টেকসই নিরাপত্তা কখনোই আসবে না।
দুই দেশের বিরোধ ও সঙ্ঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পরমাণু চুক্তি। ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটরাই শুধু নয়, ইউরোপীয় মিত্ররাও এ ব্যাপারে ট্রাম্পের সাথে একমত নয়। আর এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে অনমনীয়ভাবে ভিন্ন মত পোষণ করেন ইরানি নেতারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে বলেছেন, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি আমেরিকাকে কুর্নিশ করে এই সমঝোতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে লিখেছেন, টানা ২০ মাস ধরে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ আমেরিকার আধিপত্যকামী নীতির সামনে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করার কারণে এই সমঝোতা আজকের অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির পক্ষে এখনো পরমাণু সমঝোতাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তা করতে হলে তাদেরকে আমেরিকার সামনেই সাহস করে ওই সমঝোতায় নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে সমঝোতা আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি এখনো মনে করেন, ইরানের সাথে পরমাণু সমঝোতা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি। জন কেরি ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়া এখন আমেরিকাকে ছাড়াই এ সমঝোতা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কারণ, এ দেশগুলো জানে, ইরানের পরমাণু সমঝোতা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি।
ট্রাম্পের চুক্তি থেকে সরে আসার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান ২০১৯ সালের ৮ মে পরমাণু সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেয়া কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে। সর্বশেষ ইরান ঘোষণা করে, দেশটি এখন থেকে পরমাণু সমঝোতার বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলবে না। তবে ইউরোপীয়রা তাদের কথা রাখলে তেহরান এ সমঝোতার ভিত্তিতে নিজের প্রতিশ্রুতিগুলো আবার বাস্তবায়ন করা শুরু করবে।
শেষ পর্যন্ত পরমাণু সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার অর্থ হবে- উত্তেজনা আবার যুদ্ধে দিকে মোড় নেয়া। এ ধরনের শঙ্কার কারণে চুক্তি স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় দেশগুলো এটিকে রক্ষার চেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তান, কাতার ও কুয়েতের মতো ইরানও প্রতিবেশী দেশগুলোর উত্তেজনা প্রশমনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে প্রচেষ্টা কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটিই হলো দেখার বিষয়। তা না হলে যুদ্ধ, সহিংসতা ও সঙ্ঘাতের মধ্য দিয়ে নতুন এক মধ্যপ্রাচ্যের সৃষ্টি হতে পারে।