সুড়ঙ্গের ওপারে আলো কোথায়?
সুড়ঙ্গের ওপারে আলো কোথায়? - ছবি : সংগ্রহ
সব কিছুরই একটি ভিত্তি থাকতে হয়। তা না হলে কিসের ওপর ভর করে দাঁড়াবে আর এগিয়ে যাবে? তাছাড়া যার কোনো ভিত্তি বা লক্ষ্য নেই, সে চলতে ফিরতে দিকভ্রষ্ট হবেই। দিক হারানোর জন্য সব এলোমেলো হওয়া ব্যতীত আর কোনো উপায় থাকে না তখন। এমন উদ্দেশ্যহীন হলে লক্ষ্যে পৌঁছা এবং সাফল্য অর্জন করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। তবে এটাও সত্য, লক্ষ্য অর্থবহ আর তাৎপর্যপূর্ণ হতে হবে। সে ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে, তবে তা হবে ‘সকলই গরল ভেল’। আর এটা সত্য যে, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মহৎ হলেও যে পথে তা অর্জনের চেষ্টা করা হবে এবং যারা সে চেষ্টা করবেন তাদের সঠিক পথ নির্বাচনের যোগ্যতা ও শুদ্ধতা একটি বড় বিবেচ্য বিষয়। আমাদের দেশে এসবের এখন বড় আকাল। নিজেদের যোগ্যতা ও পারঙ্গমতা নিয়ে বহু ক্ষেত্রে অহমিকায় ভোগা হয়ে থাকে। অথচ সাফল্যের সোপান হলো উদার মন নিয়ে সব বিষয় বিচার-বিবেচনা করে লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের জনৈক শীর্ষ নেতা বড় অপ্রিয় একটি সত্য কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে সৌজন্যের কোনো বালাই নেই। এর সাথে যোগ করা যেতে পারে- ‘সংযম, ধৈর্য এবং সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ রাজনীতিক এখন আর অভ্যস্ত নন।’ এর ফলে রাজনীতিতে আজ নানা বিপর্যয়-বিপত্তি। অথচ একটি দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি পরিবর্তন ও কল্যাণের জন্যই হয়ে থাকে রাজনীতি।
তবে এমন রাজনীতির জন্য নিবেদিত ও নিষ্ঠাবান এবং আদর্শের প্রতি অটল একদল নেতাকর্মীর অভাব আজ অত্যন্ত প্রকট। এসব কারণেই বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে মানুষের আক্ষেপের কোনো শেষ নেই। মানুষের কল্যাণের বিষয়টি সময়, স্থান ও কাল ভেদে কোনো পরিবর্তন হয় না। তা অর্জনের জন্য মত-পথের ভিন্নতা তেমন সমস্যা নয়। মানুষের চিন্তা-চেতনায় এমন ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে তা কোনো সঙ্ঘাতের বিষয় নয়। কোন মত ও পথে জাতির সমৃদ্ধি অর্জিত হবে, সে সিদ্ধান্ত ও পছন্দের সব এখতিয়ার মানুষের অভিপ্রায়ের ওপরই নির্ভর করে।
এ নিয়ে দ্বিমতের কোনো অবকাশ থাকতে পারে না। রাজনীতিকরা যদি নিজের মতকে সর্বোত্তম বলে ধরে নেন, তবে অহেতুক অহমিকা অবশ্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। এমন অগণতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে আমাদের ‘সকলই গরল ভেল’। রাজনীতির মধ্যে সৌজন্য ও ভব্যতার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে মত প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি সবাইকে চর্চা করার পরামর্শ দেয়ার আগে তা আত্মস্থ করতে হবে। তাহলেই নসিহত যথেষ্ট আছর করতে পারে। আজ দেশের রাজনীতির যে হাল অবস্থা- বিশেষ করে সৌজন্য ভব্যতার যে সঙ্কটের কথা বলা হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখানো এবং উদাহরণ সৃষ্টির বিষয়টি ক্ষমতাসীনদের প্রথমে করতে হবে। এখন তাদের যে আচার আচরণ লক্ষ করা যায় তাতে এমন কথা বলা ছাড়া ভিন্ন মন্তব্য করার উপায় নেই।
সরকারের কর্মপদ্ধতি ও কর্মনীতি নিয়ে ভিন্ন মত পোষণকারীদের বিরোধিতা করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তাকে কোনোভাবেই চর্চা করতে দেয়া হচ্ছে না এ দেশে। ভিন্ন মতকে যুক্তিতর্ক ও উদাহরণ দিয়ে জবাব দেয়াটাই হচ্ছে ভব্যতা। এখন বিরোধী মতকে অগ্রাহ্য করে সেখানে পেশিশক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যায়ভাবে। স্বাধীন ও ভিন্ন মত পোষণের কারণে এমন করার পর তার প্রতিউত্তরে কোনোভাবেই শান্তিশৃঙ্খলা আশা করা যায় না। আর যদি এমন ঘটে, স্বাভাবিকভাবেই সামগ্রিক পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে পড়বে। আর উত্তাপ-উত্তেজনা কোনোভাবেই ব্যক্তিজীবন এবং রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থায় মঙ্গল আনতে পারে না। সেজন্য শান্তি বা স্বাভাবিকতাই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। স্বাভাবিকতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে সৃষ্টি বিকশিত হয়। কিন্তু এই অবস্থা কেউ উপলব্ধি করছে না- এমন কথা বলা যাবে না। কিন্তু তার পরও দেশে আজ সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে না। দুর্ভোগ দুর্দশা এবং নানা দুর্যোগের কারণে মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা আর সম্ভব নয়।
অথচ সমাজ ও রাষ্ট্রের যারা দায়িত্বশীল তারা এ দায়িত্ব নেয়ার আগে এর জন্য অনেক যাঞ্ঝা করেছেন আর শান্তি কল্যাণের শত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মানুষকে। সেসব অঙ্গীকারের প্রতি তাদের এখন বিশ্বস্ততা কতটুকু? এই খতিয়ান নেয়া দু’কারণে গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের ভোগান্তির মাত্রাটা কতটা বৃদ্ধি পেল, আর এজন্য তাদের সাফল্য ব্যর্থতা খতিয়ে দেখার যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেই সংগঠনটি এখন কতটা সক্ষমতার সাথে এ কাজটি করছে। এই দুটো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক দায়িত্ব পালন নিয়ে বহু অভিযোগ আপত্তি উঠেছে।
যে রাষ্ট্রে তিন অঙ্গের দু’টি যদি অভিযুক্ত হয়ে পড়ে তবে নির্দ্বিধায় বলতে হবে তাদের সেই দুই অঙ্গের আশু পরিবর্তন প্রয়োজন। সে জন্যই আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় দুই প্রতিষ্ঠানকে পরিবর্তন করার কথা উঠতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় করণীয় কী, তার বিধিব্যবস্থা দেশের প্রধান ও সর্বোচ্চ আইন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তার বিধিবিধান অনুযায়ী এখন পথ হচ্ছে, সবাই আবার জনগণের দ্বারে গিয়ে এটা বলা যে, পুরাতনের অবসান তথা ঝরে যাওয়ার সময় এসে গেছে। এখন নতুনের আবির্ভাবের সূচনা করতে হবে। পরিবর্তনের ব্যাপারে বিলম্ব হলে মানুষের ক্ষতি ও ভোগান্তি বৃদ্ধি পাবে। এজন্য দরকার হবে ক্লান্ত পুরাতনের আত্মোপলব্ধি। তাদের বিবেক বিবেচনা জাগ্রত করতে হবে। বুঝতে হবে তাদের সরে যাওয়া বা পতিত হওয়াই উচিত, কেননা দায়িত্বের ভার তারা আর বহন করতে পারছেন না, ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। তাই পুরনোর বিদায়ের আয়োজনটা যত দ্রুত হবে তত সবার জন্যই ভালো।
গণতান্ত্রিক সমাজে নেতা বাছাইয়ের যে প্রক্রিয়া তা জনগণের মত নেয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বাংলাদেশ নিজেকে গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে থাকে। এ দাবি যথার্থ হওয়ার পেছনে যে শর্তগুলো রয়েছে, সে আলোকে আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ত্রুটি রয়ে গেছে।
এ জনপদে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনকে যদি বিশ্লেষণ করা হয় তবে দেখা যাবে, কত ব্যাপকভাবে নির্বাচনের বিশুদ্ধতা ও যথার্থতা বিনষ্ট করা হয়েছে। যেমন নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, সেসব ব্যক্তির মত-পথের ভেদে তাদের নিজস্ব কথাগুলো প্রচারে সবার সমান নিরাপত্তা ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সর্বশেষ সেই নির্বাচনে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন তো করেইনি; বরং তারা পক্ষপাত করেছে। তা নির্বাচনী বিধিবিধানের চরম বরখেলাপ। এমন ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করার পথ-পদ্ধতি রয়েছে, অর্থাৎ যে বিধিব্যবস্থা রয়েছে, সেখান থেকে কোনো প্রতিকার লাভ করা যায়নি। তাছাড়া সে নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এভাবে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নস্যাৎ হলে, সংবিধানে প্রশাসনের সর্বপর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেয়ার যে মৌলিক নীতি রয়েছে, তা লঙ্ঘন বা অগ্রাহ্য করা হবে।
দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্র চর্চা নিয়ে যে হতাশাব্যঞ্জক অবস্থা সৃষ্টি হয়ে আছে, তার অবসানের পথ-পদ্ধতি অনুসরণ করবে কে? এর কোনো সহজ উত্তর নেই। কারণ যারা করতে পারেন, অর্থাৎ যে যোগ্য দক্ষব্যক্তিদের দ্বারা এটা সম্ভব, তাদের এ দায়িত্বে আসার সব পথ-প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তাই সুড়ঙ্গের শেষপ্রান্তে আলোর কোনো রেখা আজো দেখা যাচ্ছে না। অকর্মণ্য আর স্বেচ্ছাচারীরা আমাদের সমাজে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তাদের কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে চরম এক পরিস্থিতি। যেখানে হরদম চলছে অন্যায় অবিচার আর অপকর্ম। তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে অমানবিকতার এক দীর্ঘ নিকষ রজনী এখন আর যেন পোহাচ্ছে না। দুর্বৃত্তদের প্রভাব প্রতিপত্তি এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, নীতি নৈতিকতার যুগের যেন অবসান ঘটেছে। সমাজের এই অবর্ণনীয় দুর্দিনে মানুষের জানমাল সম্ভ্রম সব খোয়া যাচ্ছে। ঘরের ভেতরেও এখন আর কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষ ঘরেই নিয়ত আক্রান্ত ও নিগৃহীত হচ্ছে। তাই পথেঘাটে হরদম নারী নিগৃহীত হচ্ছে, তার অমূল্যধন সতীত্ব হরণ করা হচ্ছে। কালে ভদ্রে এসবের বিচার হয় বটে, কিন্তু এজন্য যে সময়ক্ষেপণ চলে, তা প্রকৃতপক্ষে বিচার না হওয়ারই নামান্তর। এমন বিচারহীন সমাজে স্বাভাবিক কারণে দুষ্কর্ম বিস্তার লাভ করে।
সমাজ থেকে দুষ্কর্মকারীদের তণ্ডব প্রতিহত করার দায়িত্ব যাদের তাদের বেশির ভাগের যেন চলতশক্তিটুকুও হ্রাস পেয়েছে। তাদের বিবেচনায় অপরাধ কতটা মারাত্মক সেটা বিচার্য নয়, বরং অপরাধীর পেছনে প্রভাব প্রতিপত্তি ক্ষমতা কতটা, সেটাই দেখা হচ্ছে। তাই দুষ্টের দমন করার সর্বজনীন যে নীতি, তা এখন কার্যকর হয় না। মনে হচ্ছে, সেসব দিন যেন পার হয়ে গেছে, নীতি ও নীতিবাক্যের গুরুত্ব পাওয়ার দিন বুঝি অতীত হয়ে গেছে। যে সমাজের পরিস্থিতি এমন, সেখানে মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার আর থাকতে পারে না। অথচ বিশ্বের সভ্য সমাজে মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়ই সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে যদি আমরা যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্ব দিতে সক্ষম না হই, তাহলে বিশ্বসভায় সভ্য হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
ইতোমধ্যে নানা বিবেচনায় বাংলাদেশ বহু ক্ষেত্রে তার ঈপ্সিত মান রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। যেমন- দুর্নীতি অনিয়মকে প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় একটি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশ হিসেবে তার নিজের নাম মুদ্রিত করে নিয়েছে। দেশের মানুষ নানা দিক থেকে আজ অধিকারবঞ্চিত। দেশের সব মানুষের জন্য জাতীয় লক্ষ্য হচ্ছে তার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক প্রয়োজন পূরণের সুব্যবস্থা করা। এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে। পক্ষান্তরে এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারি হিসাব মতে, বাংলাদেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ দরিদ্র এবং তারা সহায় সম্বলহীন। অপর দিকে, সমাজের একটি অংশ বেলাগাম অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সহায় সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তো নেয়া হয় না; বরং তাদের সুরক্ষা দেয়া হয়ে থাকে নানাভাবে।
সমাজের এই ক্রান্তিকালের অবসানে আশ্বাস দেয়া হয় বটে; কিন্তু এমন প্রতিশ্রুতি বহুবার উচ্চারণ করা সত্ত্বেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। আসলে আজ প্রশাসনের যে হাল, তাকে দিয়ে পরিস্থিতিকে উল্টে দেয়ার মতো বড় উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়। কেননা সমাজকে যে অপছায়া ঢেকে ফেলেছে তা অপসারণ করতে হলে, একটা বড় আয়োজনের প্রয়োজন। অপরাধীদের শেকড়-বাকড় মাটির এতটা গভীরে প্রোথিত যে, তাকে উপড়ে দেয়ার কাজটি সহজ নয়। এজন্য সর্বব্যাপী কঠোর শুদ্ধি অভিযানের আবশ্যক। আর যারা এই অভিযান পরিচালনা করবেন, তাদের অবশ্যই শুদ্ধতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
কারণ ‘সরিষায় ভূত’ থাকলে তা দিয়ে কাজ হবে না। আর শুদ্ধতার অভিযান যে অত্যাবশ্যকীয়, তা বলার দরকার পড়ে না। কেননা কর্তৃপক্ষ নিজেই উপলব্ধি করছে যে, এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান কতটা জরুরি। আর তাছাড়া সম্প্রতি এটা বলা হয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকার কথা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উচ্চারিত হয়েছে। তবে এই অভিযানের যে গতি, তা নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে ঢের সময়ের প্রয়োজন। এত দীর্ঘ সময়ে অভিযানে ক্লান্ত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক। যাই হোক, যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা অনেক দীর্ঘসময় অতিবাহিত করেই শুরু করা হয়েছে। তবে কিছু না হওয়ার চেয়ে এমনটা অন্তত মন্দের ভালো। এ অভিযান দুর্নীতির বিরুদ্ধেই শুরু করা হয়েছে; তবে দেশে আরও যে সব সমস্যা রয়েছে, তা দূরীভূত করার জন্য বিস্তৃত শুদ্ধি অভিযান শুরু করাই সময়ের অনিবার্য দাবি এবং জাতির প্রত্যাশা। আশা করি, অবিলম্বে এটা কর্তৃপক্ষ উপলব্ধি করবে।
ndigantababor@gmail.com