জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমান : পাকিস্তানের বিশেষ সাফল্য
জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমান - ছবি : সংগৃহীত
জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমানে বিশেষ সাফল্য লাভ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) কামরা ডিসেম্বরের শেষ দিকে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জন্য প্রথম ব্যাচের আটটি দুই আসনবিশিষ্ট জেএফ-১৭বি থান্ডার বিমান নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। এটি দেশটির প্রতিরক্ষা সামর্থ্য ব্যাপকভাবে বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের সহযোগিতায় এই বিমান নিজের দেশেই উৎপাদন করছে পাকিস্তান। এই বিমান নিয়ে পাকিস্তানের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।
গত বছর তথা ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর কামরায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই বিমানগুলো প্রথমবারের মতো প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মুজাহিদ আনোয়ার খান, এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর দেয়া বিবৃতি অনুসারে, ২০১৯ সালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার সময়ের মধ্যেই মাত্র পাঁচ মাসের রেকর্ড সময়ে আটটি দুই আসনবিশিষ্ট জেএফ-১৭ বিমান তৈরির কাজ সফলভাবে শেষ করায় খান পিএসি কামরা এবং তাদের চীনা অংশীদারদের অভিনন্দন জানান।
তিনি আরো বলেন যে, জেএফ-১৭ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘মেরুদণ্ড’ এবং ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ক্ষেত্রেও’ এগুলোর সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তান ওই সময় দাবি করেছিল যে, বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানগুলো জেএফ-১৭ ব্লক টু বিমান থেকে বিভিআরএএএম মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল। সে সময় ভারতের একটি মিগ-২১ বিমান ভূপাতিত হয় এবং বিমানের পাইলট অভিনন্দনকে আটক হয়। তবে ভারত দাবি করে আসছে যে এফ-১৬ দিয়ে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান বরাবর দাবি করে আসছে যে ওই দিন তারা এফ-১৬ বিমান উড়ায়নি। পাকিস্তান পরে পাইলটকে মুক্তি দেয়।
জেএফ-১৭বি বিমানের একটি অ্যাটাক ও একটি ট্রেইনার ভার্সান থাকবে। দুই আসনের বিমানের প্রথম প্রটোটাইপ তৈরির কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালের শেষ দিকে এবং ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো এটি আকাশে ওড়ে। বিমানের গভীর ডোরসাল স্পাইন রয়েছে এবং এক সিটের জেএফ-১৭ বিমানের চেয়ে এর জ্বালানি বহনের সক্ষমতা বেশি।
ডিসেম্বরে বিমান বাহিনী যে আটটি বিমান পেয়েছে, সেটার পর ২০২০ সালে তারা আরো ১৪টি জেএফ-বি বিমান এবং ২০২১ সালে আরো বিমান পাবে। পিএসির চেয়ারম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিমানের আরেকটি ভার্সান জেএফ-১৭ ব্লক থ্রি গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের প্রথম সফর পরিচালনা করেছে।
জেএফ-১৭ ব্লক ওয়ান এবং টু ভার্সানে চীনের লাইসেন্সকৃত ক্লিমভ আরডি-৯৩এমকে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্লক থ্রি ভার্সানের জন্য আরডি-৯৩এমএ বা চীনা ডাব্লিউএস-১৩ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে।
আরেকটি প্রতিযোগী হলো লিওনার্দোর গ্রিফো-ই এইএসএ রাডার সিস্টেম। ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনী অন্তত ৫০টি জেএফ-১৭ ব্লক থ্রি বিমান তৈরি করবে।