তোলপাড়! স্বামী গোসল না করায় তালাক চাইলেন স্ত্রী

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Jan 10, 2020 05:34 pm
তোলপাড়! স্বামী গোসল না করায় তালাক চাইলেন স্ত্রী

তোলপাড়! স্বামী গোসল না করায় তালাক চাইলেন স্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

 

তোলপাড় করা ঘটনা! ঘটনা ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা। সেখানে এক বিরল বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখন তোলপাড় সৃষ্টি করে চলেছে। স্বামীর নোংরা স্বভাবে বিরক্ত হয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন স্ত্রী৷ কী সেই নোংরা স্বভাব?‌ পাটনার মহিলা কমিশনের দপ্তরে অভিযোগপত্রে দায়ের করা হয়েছে, রোজ তিনি গোসল করেন না। আর ব্রাশও করেন না নিয়মিত৷ প্রত্যেক দিনের বদলে ১০–১০ দিন বাদে গোলস করেন৷ এমন অভিযোগে বিবাহবিচ্ছেদ আগে কখনো শোনেনি মহিলা কমিশন।

জানা গেছে, স্বামীর এই নোংরা আচরণের জন্যই মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ স্ত্রী সোনি দেবী। তিনি বৈশালী জেলার দেসরি অঞ্চলের নতুন গ্রামে বসবাস করেন৷ ২০১৭ সালে বিয়ে হয় তাদের৷ সোনি দেবী জানান, বিয়ের আগে থেকে তারা একে অপরকে চিনতেন না৷ বিয়ের মণ্ডপেই প্রথম দেখা হয়েছিল তাদের৷ বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে এসেই স্বামীর এই নোংরা স্বভাবের কথা জানতে পারেন৷

সোনি দেবীর অভিযোগ, স্বামী মণীশ রাম ঠিক করে কথা বলতে পারতেন না৷ সব সময়ে গ্রামীণ ভাষায় কথা বলতেন৷ এখন তাদের মধ্যে আর স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক নেই৷ মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে দুই মাসের সময় দেয়া হয়েছে৷ স্বামী মণীশ রাম যাতে নিজেকে শুধরে নেন।

গাছে নারী ফল!‌ 
একটি গাছ। আর সে নারী দেহের আকারে ফল ফলায়!‌ বিশ্বাস করাটা মুশকিলেরই বটে। গাছের সঙ্গে মানবদেহের একটা সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা মানুষ বহুবার করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে এমন মানুষেরও সন্ধান আমরা পেয়েছি, যাদের গাছ মানুষ হিসেবে চেনে লোকে। কিন্তু গাছে মানুষ হয়ে আছে, এমনটা কি হতে পারে?‌ পুরোপুরি রক্ত মাংসের না হলেও, নারীর আকারে ফল হয় এই পৃথিবীরই একটি গাছে, এমন দাবি অনেকের। থাইল্যান্ডের একটা গ্রামে বৌদ্ধদের পুরাণ যেন সত্যিই বাস্তবকথায় রূপ নিয়েছে। সেখানে একটি গাছে ফল হচ্ছে, যে ফলগুলো একেবারে নারীদেহের মতো। আসলে এর সঙ্গে জুড়ে আছে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ পুরাণের একটি গল্প।

‘‌হিমাফন’‌ বলে এক জঙ্গলে দেবতা ইন্দ্র পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী ভেসানতারা একদিন খাবারের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকজন পুরুষ প্রাণী তাকে আক্রমণ করে।

নারীদেহ দেখেই সেই পুরুষদের হিংসাত্বক প্রবণতা প্রকাশ পায়। এই ঘটনার পর ইন্দ্রদেব অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তিনি জঙ্গলে ১২টি গাছ তৈরি করেন। তার নাম দেন ‘‌নরিফোন’‌। সেই গাছ নারীর দেহের আকারে ফল ফলাতে শুরু করে। নারীর মুখ ভেসানতারার আদলেই তৈরি হয়। এরপর থেকে ভেসানতারা খাবারের সন্ধানে বেরোলে সেই কামুক পুরুষ প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে যেত ফলগুলো দেখলেই। তারা ভাবত ফল নয়, এগুলোই আসল ভেসানতারা। আর সেই সুযোগে ইন্দ্রের স্ত্রী নিরাপদে ঘরে ফিরতেন। এখানেও শেষ না। সেই ফলগুলো তারা নিজেদের ঘরে নিয়ে গিয়ে সম্ভোগ করত। তারপর টানা চার মাস ঘুমিয়ে থাকত এবং দুর্বল হয়ে পড়ত তাদের সব শক্তি। অর্থাৎ, নারীকে রক্ষা করতে সেই নারী শরীরের টোপ দিয়েই কাজ আদায় করেছিলেন থাই দেবতা ইন্দ্র।

এই গাছ নাকি সেই পুরাণকেই সত্যি করেছে। নারী ফলের ভারে তার ডাল নুয়ে পড়ছে। ফলগুলো হুবহু নারী শরীরের আকারের। যদিও ভিডিও ফুটেজ দেখে সকলে এই ঘটনাকে বিশ্বাস করতে চাননি। ‌


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us