মিয়ানমারের সাবেক জেনারেলের হুঁশিয়ারি
মিয়ানমারের সাবেক জেনারেলের হুঁশিয়ারি - ছবি : সংগৃহীত
দেশ ক্রমবর্ধমান হারে ভূখণ্ডগত, বর্ণগত ও ধর্মগত হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে দেশকে রক্ষা করতে পারবে, এমন প্রার্থীদের ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উ থিন সিন ।
মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উ থিন সিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে দেশ ক্রমবর্ধমান হারে ভূখণ্ডগত, বর্ণগত ও ধর্মগত হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে দেশকে রক্ষা করতে পারবে, এমন প্রার্থীদের ভোট দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট রোববার বলেন, ২০২০ সালে মিয়ানমার অভ্যন্তরীণ ও বাইরের- উভয় হুমকির মুখে পড়বে। এর কারণ হলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে বহিরাগতরা আমাদের দেশকে গ্রাস করতে চাইতে পারে। মনে হচ্ছে, দেশটি না জেনেই বুনো প্রাণীর গুহার দিকে যাচ্ছে।
নেপিডোতে ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) সদরদফতরে তার সম্মানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এই জেনারেল ওই অনুষ্ঠানে বলেন, সবার জানা রয়েছে যে এই দেশকে রক্ষা করছে যে সামরিক বাহিনী, তাকেই দুর্বল করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে বর্ণ, ধর্ম ও সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করার। সামরিক বাহিনী বিরামহীনভাবে জাতীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
সামরিক-সমর্থিত ইউএসডিপির চেয়ারম্যান ইউ থিন সিন ২০১০ সালের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পর ২০১১ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই নির্বাচনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি ও আরো কয়েকটি জাতিগত রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। তিনি ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর তিনি ইউএসডিপির প্র্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০১৯ সালটি পরিপূর্ণ ছিল সশস্ত্র সঙ্ঘাত, সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতির মতো খারাপ বিষয়ে। কিন্তু ২০২০ সালে দেশ বর্ণ ও ধর্ম এবং ভূখণ্ড হারানোর হুমকিতে পড়বে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে আমাদের সামনে ভালো সুযোগও আছে। এই বছরেই হবে বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচন।
তিনি বলেন, ভোট দেশের জন্য ভালো। কিন্তু এতে নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা যে লোককে বাছাই করব তিনি যেন নৈতিকতাসম্পন্ন, সুশিক্ষিত ও দেশের কল্যাণকামী হন। অধিকন্তু তিনি যেন আমাদের বর্ণ, ধর্ম ও সামরিক বাহিনীকে রক্ষঅ করতে সক্ষম হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইউএসডিপি নিজেকে বৌদ্ধধর্মের রক্ষক হিসেবে তুলে ধরছে। ২০১০ সালের নির্বাচনের পর ইউএসডিপি-নেতৃত্বাধীন সরকার চারটি বিতর্কিত বর্ণ ও ধর্মীয় আইনের একটি প্যাকেজ গ্রহণ করে। মা বা থার মতো কট্টর বৌদ্ধবাদীরা এই আইনকে সমর্থন করছেন।
দি ইরাবতী