যেভাবে ক্যান্সার রোধ করতে পারে ফুলকপির পাতা
ফুলকপি - ছবি : সংগ্রহ
মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি অথবা এ জাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।
ফুলকপি ও ফুলকপির পাতায় ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান পাওয়া গেছে। গবেষকেরা ফুলকপির পাতাশাক ও ফুলকপিতে আইমো থায়োসায়ানেটস নামক রাসায়নিক পদার্থ পেয়েছেন। এটি দেহে সৃষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থের স্বাভাবিক বিষক্রিয়া মুক্ত করে শক্তি জোগায় বলে জানা গেছে। এ থেকে বোঝা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপির মতো শাকসবজি খেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি অথবা এ জাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।
ইঁদুরের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে ফুলকপির কচি পাতা শাক থেকে সংগৃহীত আইসের থায়োসায়ানেটস নির্যাস প্রয়োগে ওদের বুকের টিউমারের আকার ও সংখ্যা কমেছে, যা ক্যান্সারে রূপ নেয়ার আশঙ্কা ছিল।
ফুলকপির কচি পাতায় প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ক্যালসিয়াম, খাদ্যশক্তি ও আয়রন আছে। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কালো কচু শাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ, সবুজ কচু শাকের চেয়ে প্রায় তিন গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমি শাকের চেয়ে ছয়গুণ, পুঁই ও পাট শাকের চেয়ে সাতগুণ, পালং ও ডাটা শাকের চেয়ে আটগুণ, মুলা শাকের চেয়ে ২৫ গুণ ও গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি আছে। ফুলকপির পাতাশাকে সবুজ কচু শাকের চেয়ে ৪৫ গুণ, ডাটা শাকের চেয়ে দেড়গুণ, কলমি শাকের চেয়ে ১০গুণ, মুলা শাকের চেয়ে ১২গুণ, ও পালং শাকের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি আয়রন আছে। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুল কপির পাতা শাকে মোট খনিজ পদার্থ ৩.২ গ্রাম, আঁশ ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে।
ফুলকপিতে আয়রনের পরিমাণ আলু, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন ও টমেটোর চেয়ে বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণও আলু, বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, মুলাশাক, লাউ, বেগুন ও মটরশুটির চেয়ে বেশি থাকে। ফুলকপিতে ড্যালিন নামক মানুষের প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে ক্যালসিয়াম ৪১ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫৭ মিলি গ্রাম ভিটামিন এ, ৫১ আইইইসহ সব ভিটামিন রয়েছে।
মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি অথবা এ জাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।