এবার টার্গেট সিনহা!
এস কে সিনহা - ছবি : সংগ্রহ
এবার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ফলে তিনি এখন বিদেশে থাকলেও মারাত্মক বিপদে পড়ে যাবেন। যুদ্ধাপরাধী মামলার সময় তিনি মিডিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তবে ২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে বিচারপতি সিনহা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।
রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এস কে সিনহা বর্তমান কানাডায় রয়েছেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।
গত ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে গোপনে পাচার করেছেন।
অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেখা হয়েছে, তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো: শাহজাহান, সেখানকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
এদের মধ্যে মাহবুবুল হক চিশতী কারাগারে রয়েছেন।
তার আগে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবের চার কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে এ বছরের ১০ জুলাই এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে বিচারপতি সিনহা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রথমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তার আশ্রয় না পেয়ে পরে কানাডায় প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় চান।
তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেননি। টাকা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে তিনি বিবিসি বাংলাকে এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন।
সূত্র : বিবিসি