কী হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে?

নয়া দিগন্ত ডেস্ক | Jan 05, 2020 06:57 am
সোলাইমানি

সোলাইমানি - ছবি : সংগৃহীত

 

ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ইরাকের রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনায় আরেক ভয়াবহ যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। কেননা ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় এ হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদীও বলেছেন, এ আক্রমণের ফলে মধ্যপ্রাচ্য এবং তার বাইরেও যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও নড়েচড়ে বসেছে। তারা আশঙ্কা করছে, সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যেকোনো সময় পাল্টা হামলা করতে পারে ইরান। বিশেষ করে দেশটির দুই বড় শহর নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিশোধের অংশ হিসেবে হরমুজ প্রণালীতে ওয়াশিংটনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে তেহরান। তারা বলছেন, ইরানি সেনাবাহিনীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ উসকে দিয়েছে ওয়াশিংটন। এরইমধ্যে ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সোলাইমানিকে হত্যার একদিনের মাথায় ইরাকে নতুন করে ইরানি-সমর্থনপুষ্ট বাহিনীর ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না, তবে আমেরিকানদের জীবন বিপন্ন হলে চুপ করে থাকবে না। অন্য দিকে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল নিহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, বিশ্ববাসীর পক্ষে পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধের ধকল সহ্য করা সম্ভব নয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ইরান ও ইরাকের প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। খবর আলজাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, প্রেসটিভি, সিএনএনের।

সত্যি কি যুদ্ধ বাধতে পারে? : ইরাকের প্রধানমন্ত্রী যেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেনÑ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কি সত্যি যুদ্ধ বেধে যেতে পারে? ইরান ও আমেরিকার মধ্যে একটা যুদ্ধ লেগে যেতে পারে, এই সন্দেহ গত বছরখানেক ধরেই চলছিল, কিন্তু সেই সাথে যুদ্ধ এড়ানোর একটা চেষ্টাও তলে তলে চলছিল। ফ্রান্স এই দুই শত্রুর মধ্যে একটা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিল।

কিন্তু বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লিজ ডুসেট মনে করছেন, সোলাইমানি এবং ইরাকি শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীর (পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স) প্রধান আবু মাহদি আল মোহানদিসকে হত্যার পর যুদ্ধ এড়ানোর সেই চেষ্টা ধসে পড়বে সন্দেহ নেই। বিবিসির বিশ্লেষক জেরেমি বোওয়েন বলছেন, ইরানের হাতে আধুনিক রকেট ও মিসাইল আছেÑ কিন্তু এসব অস্ত্র যদি তারা মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য ব্যবহার করে তাহলে পরিস্থিতি বরং খারাপ হতে পারে। তারা যদি উপসাগরে মার্কিন জাহাজে আক্রমণ চালায় সেটাও প্রচণ্ড পাল্টা হামলা ডেকে আনতে পারে।

ইরানের তেল শোধনাগারগুলো পারস্য উপসাগরে উপকূলের পাশেই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বিপুল সামরিক ক্ষমতা- তাতে এগুলো খুব সহজ টার্গেটে পরিণত হবে। ফলে ইরান হয়তো প্রতিশোধ নিতে পারে ‘সামনের দরজা দিয়ে নয়, বরং পাশের জানালা দিয়ে অর্থাৎ ‘পরোক্ষ কৌশলে’, যা জেনারেল সোলাইমানি নিজে ব্যবহার করতেনÑ বলছেন জেরেমি বোওয়েন। তিনি বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো মনে করতে পারেন যে একটি নাটকীয় পদক্ষেপ দিয়ে তিনি ইরানকে ভয় পাইয়ে দিতে পারেন। হয়তো তিনি আশা করবেন যে তার মিত্র ইসরায়েল এবং সৌদি আরবও এখন বুঝবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখনও দাঁত-নখ আছে। তবে ইরান যে একটা কড়া জবাব দেবে না এটা অচিন্তনীয়। তবে কিছু ঘটলেও তা শিগগিরই নাও ঘটতে পারেÑ বলছেন মার্কাস।
ইরাকে এখন মোতায়েন আছে পাঁচ হাজার মার্কিন সৈন্যÑ যারা হয়তো একটা হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে। ইরান বা তার প্রক্সিরা যেসব লক্ষ্যে অতীতে আঘাত হেনেছেÑ তাদের কথাও ভাবা হতে পারে। কিন্তু এটাও খুবই সম্ভব যে ইরানি প্রতিক্রিয়া হয়তো বাঁধা ছকের বাইরে কিছু হতে পারে, হয়তো ইরান নিছক একটা হামলা করার জন্যই হামলা চালাবে না।

ট্রাম্পের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার আহ্বান মার্কিন সিনেটরের : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধের নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত সিনেটর টিম কেইন। গত শুক্রবার মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় এ আহ্বান জানান। তিনি ওই বার্তায় লিখেছেন, পরমাণু সমঝোতা নামে একটি কার্যকর কূটনৈতিক চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে আসা এবং ইরানের সাথে আবার সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ার কারণে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। তিনি আরো লিখেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করার পাশাপাশি আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে এবং শত্রুদেরকে জোট পাকানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বক্তব্য রেখেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই শহরে আতঙ্ক : দেশটির দুই বড় শহর নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে। গত শুক্রবার ভোরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি তার দুই পরামর্শকসহ বাগদাদে নিহত হন। তারপর গোটা বিশ্বে থাকা মার্কিনিরা হামলার ভয়ে আতঙ্কিত। ইরাকসহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে মার্কিনিদের চলে আসার পরামর্শ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছে, তাদের শহর যেকোনো ধরনের হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, শহরে হামলা হতে পারে এ রকম কোনো বিশ্বস্ত ও নির্দিষ্ট তথ্য তাদের কাছে না থাকলেও শঙ্কা বিবেচনায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। লসঅ্যাঞ্জেলেসে পুলিশি হামলার পরপরই টুইটারে এক সতর্কবার্তায় জানায়, এখনো কোনো নির্দিষ্ট হামলার ঝুঁকি আসেনি। তবে ইরানের সাথে ঘটনা কোনদিকে যাচ্ছে তা সার্বক্ষণিক নজরদারি ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ অবস্থা জানতে আমরা আঞ্চলিক, কেন্দ্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখছি।

তেল সরবরাহে হুমকি : কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর বৈশ্বিক তেল সরবরাহের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেলের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ। এরই মধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রতিশোধের অংশ হিসেবে হরমুজ প্রণালীতে ওয়াশিংটনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে ইরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ইরান প্রতিশোধের হুমকি দেয়ায় হামলা সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ হরমুজ প্রণালী। এই ব্যস্ততম সমুদ্রপথে হামলা হলে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তেল সরবরাহ ও বিশ্ববাজারে।

ইরান ও ওমানের মধ্য দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার সরু পথ হরমুজ প্রণালী দিয়েই বিশ্বের সামুদ্রিক তেল বাণিজ্যের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়। এ ছাড়া পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো ধরনের সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য পথটি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। পথটির ওপর ইরাক, কুয়েত, বাহরাইন ও কাতারের সব বন্দর, আরব আমিরাতের বেশির ভাগ বন্দরসহ সৌদি আরবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

বাস্তবসম্মত হোক আর না হোক হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়া হলে অবশ্যই তা বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের শীর্ষ তেল আমদানিকারক দেশগুলো এই পথের ওপরই বেশি নির্ভর করে থাকে। হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়া হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এশিয়ার দেশগুলো। কারণ এই পথ দিয়ে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর। এশিয়ার প্রায় ৮০ শতাংশ তেলের জোগান দেয় এই নৌপথ। তাই পথটি বন্ধ করা হলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে।
চলমান হুমকির কারণে যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশ্বের অর্থনীতিতে ব্যাপক সঙ্কট দেখা দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন বলছে, ওমান ও পারস্য উপসাগরের সাথে সংযুক্ত হরমুজ প্রণালী হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু। এই প্রণালীর নিরাপদ সরবরাহ ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতি চলতে পারে না।

জ্বালানি তেল বিশ্লেষণ সংস্থা ভরটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, হরমুজ প্রণালী দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পরিবহন হয়। এই ভৌগোলিক পরিসীমায় ইরানি নৌবাহিনীর প্রবল দাপট রয়েছে।

আরেক ধকল সামলানো সম্ভব নয়Ñ জাতিসংঘ : বর্তমান ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এটি এমন একটি মুহূর্ত যখন নেতাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে। বিশ্ববাসীর পক্ষে পারস্য উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধ সহ্য করা সম্ভব নয়। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের পক্ষে তার একজন মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। বিবৃতিতে অবশ্য জেনারেল সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়নি।
তেহরানের পক্ষ থেকে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যেকোনো পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থাকতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের সাথে এক ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এ দিকে সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইরানের মানুষ। এ হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজপথে নেমে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। আমেরিকা নিপাত যাক স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে তেহরানের রাজপথ। সরকারি সংবাদমাধ্যম বলছে, এ দিনের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে কোটি মানুষ।

যুদ্ধ ঠেকাতেই সোলাইমানিকে হত্যাÑ দাবি ট্রাম্পের : শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে হামলায় সোলাইমানির ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন এ রিপাবলিকান। ফ্লোরিডার অবকাশযাপন কেন্দ্র মার-আ-লগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব বলেছেন। কাসেম সোলাইমানিকে মারা হয়েছে ‘যুদ্ধ ঠেকাতে, আরেকটি শুরু করতে নয়’, ভাষ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এ সময় ট্রাম্প আরো বলেন, দিল্লি ও লন্ডনে আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল এই কুদস বাহিনীর।

এ দিকে ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সোলাইমানিকে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিলিশিয়া বাহিনীর কনভয়ে ফের বিমান হামলার খবর দিয়েছে। বাগদাদের উত্তরে ক্যাম্প তাজির কাছে ওই হামলায় ইরানপন্থী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) ছয়জন নিহত হয়েছে বলে ইরাকি সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us