যেভাবে ঘটেছিল বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি

গোলাম কিবরিয়া বরগুনা | Dec 30, 2019 04:38 pm
যেভাবে ঘটেছিল বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি

যেভাবে ঘটেছিল বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি - ছবি : সংগ্রহ

 

ভালো-মন্দ মিলিয়ে শেষ হতে চলেছে আরো একটি বছর। আর মাত্র দুদিন পর শুরু হবে নতুন বছর। নতুন বছর শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক দেশের আলোচিত সব হত্যাকাণ্ড। যেসব হত্যাকাণ্ড দেশের বিবেকবান প্রত্যেক মানুষের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রকে।

২০১৯ সালের আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা, এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে।

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা পুরো দেশবাসীকে নাড়িয়ে দেয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে “বন্দুকযুদ্ধে” নিহত হন।

এর পর তদন্ত করে গত ১ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত এ মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। আদালত এ আসামীদেও ২ভাগে ভাগ করেন,এদেও মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে ১ জানুয়ারি।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মোঃ হাসান (১৯), মোঃ মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মোঃ সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মোঃ মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর অন্য সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। তবে বাদি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চার্জ গঠনের জন্য ৮ জানুয়ারী নতুন দিন ধার্য করেছেন।
রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী (১৭), রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬), ওলিউল্লাহ অলি (১৬), জয় চন্দ্র সরকার চন্দন (১৭), নাইম (১৭), তানভীর হোসেন (১৭), নাজমুল হাসান (১৪), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫), সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ (১৭), মারুফ মল্লিক (১৭), প্রিন্স মোল্লা (১৫) রাতুল সিকদার জয় (১৬), আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।

এ মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে আসামি হিসেবে চিহ্নিত করতে গত ১৭ জুলাই বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, রিফাত শরীফকে বিয়ের আগে মিন্নি ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেন। ওই বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে রিফাতকে বিয়ে করেও নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি। রিফাত বিষয়টি জানতে পেরে নয়নের সঙ্গে মেলামেশা করতে নিষেধ করায় মিন্নি ক্ষুব্ধ হয়ে নয়ন ও মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীর সঙ্গে রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

ওসি মো. হুমায়ুন কবির (তদন্ত কর্মকর্তা) আদালতকে বলেন, রিফাত শরীফ মিন্নিকে বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পৌঁছে দিয়ে চলে যায়। তখন পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১ ও ২ নম্বর আসামী দ্বয়ের সহিত রিফাত শরীফকে হত্যার ছক করে মিন্নি রিফাত শরীফকে পুনরায় কলেজে ডেকে আনে।

অন্যদিকে এসব তথ্য ভিত্তিহীন দাবি করে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, প্রভাবিত হয়ে করা তদন্তে পরিকল্পিতভাবে মিন্নিকে গুরুত্বপূর্ণ আসামি বানানোর অপচেষ্টা চলছে। এখানে অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণই সাজানো। এ কারণেই তারা মামলার তদন্ত সংস্থার পরিবর্তন চান। তিনি আরো বলেন, মিন্নি যদি আবার রিফাতকে কলেজে ডেকে নেয়, তবে সে তো তার সঙ্গে বের হতো। একসঙ্গে বের না হওয়াতেই তো তারা সন্দেহ করছিল। এখন আবার বলছে, দ্বিতীয়বার সে ডেকে নিয়েছে!

রিফাত হত্যা মামলার এজাহারে ১০ সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে মিন্নি ছাড়াও রিফাতের দুই চাচা ও মঞ্জুরুল আলম জনসহ আরও ৯ জনের নাম আছে, যারা কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না। তাদের বেশির ভাগের বাড়ি লবণগোলা গ্রামে। রিফাতের বাড়িও ওই গ্র্রামে। দ্বিতীয় দফায় রিফাত মোটরসাইকেলে করে যখন ঘটনাস্থলে আসেন, তখন তার পেছনে বসা ছিলেন এক যুবক। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ওই যুবক নেমে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর রিফাতের ওপর হামলা হয়।

এ বিষয়ে নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, রিফাতের মোটরসাইকেলের পেছনে যে ব্যক্তি বসা ছিলেন তার নাম মনির। বরগুনা সদর বাজারের পৌর মার্কেটে মুদি-মনিহারি পণ্যের দোকান আছে তার। তিনি কলেজ রোডে তার বাড়ি যাওয়ার জন্য রিফাতের মোটরসাইকেলে করে আসেন। রিফাত কলেজের সামনে তাকে নামিয়ে দেয়ার পর রিকশায় করে চলে যাচ্ছিলেন মনির। ওই সময়ই তিনি রিফাতের ওপর হামলার ঘটনা দেখেন।

অন্যদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মিন্নির সঙ্গে এক তরুণ পাশ থেকে হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। নুরুল ইসলাম রনি নামের এ তরুণ বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। রনি বলেন, আমি বাসা থেকে বাজারে যাচ্ছিলাম। আমার সামনেই ওরা রিফাতকে ধরে নিয়ে মারতে থাকে। মিন্নি পেছন পেছন ছুটে গিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করে। একপর্যায় আমি দেখলাম ছেলেটাকে কুপিয়ে মেরে ফেলতেছে। আমি তখন ভয় না পেয়ে কাছে গিয়ে থামোনোর চেষ্টা করি। আমি বাড়ি থেকে কলেজে আসার পথে রিফাতের ওপর হামলা হতে দেখে তাদের থামাতে চেষ্টা চালিয়ে গেছি। হয়তো আমার সঙ্গে দুই একজন থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

এদিকে মামলার ১ নম্বর আসামি বন্ধুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের মা শাহিদা বেগম বলেন, ঘটনার পর যে ভিডিও ফুটেজটি বের হয়, সেটা একজন মোবাইল ফোনে (ধারণ) করছে। কে, কিভাবে এমন ভিডিও করল? আবার সারা দিন পর সন্ধ্যায় কেমনে এডা বাইরে আইল, এইটা কেউ খোঁজে না। আমার মনে হয় এইটা একটা ষড়যন্ত্র।
আসামীদের জবানবন্দির পাশাপাশি মোবাইল ফোনের কললিস্ট, ধারালো অস্ত্র, মোবাইল ফোনসেট, কল রেকর্ডসহ ২০ ধরণের আলামত পরীক্ষার জন্য জব্দ করা হয়েছে।

আপত্তিকর ভিডিওটি মিন্নির নয় :
আপত্তিকর একটি ভিডিও ক্লিপ। এ হাত ঘুরে ও হাতে। ছোট থেকে বড়, পরিবার থেকে পরিবারে, বন্ধু থেকে বন্ধুর কাছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রিফাত হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহের আরেকটি অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। খুনিচক্র ও তাদের দোসররা এই ভিডিও নিহত রিফাতের স্ত্রী ও হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নির নামে চালানোর চেষ্টা করলেও তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কারণ ইতোমধ্যে প্রমাণ মিলেছে, ভিডিওটিতে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তিনি মিন্নি নন। ভিডিওটির পুরুষ চরিত্র, যাকে নয়ন বন্ড হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে সেটাও অন্য কেউ।

তবে, পুলিশ প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমকে বলা হচ্ছে, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ভিডিওটির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আদালতে মিন্নির ১৬৪ ধারার জবানবন্দির আলোকে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এই খুন। মিন্নির এমন কিছু আপত্তিকর তথ্য জনৈক হেলালের মোবাইল ফোনে ছিল, যেটি খুনের ঘটনার দুই দিন আগে রিফাত জোর করে হেলালের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

আপত্তিকর ভিডিওটি নয়ন ও মিন্নির বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছিল। ভিডিও থেকে স্থিরচিত্র তৈরি করে তা নয়নের পরিবারসহ অন্তত ১৫ জনকে দেখানো হয়েছে। তারা সবাই বলেছে যে ওই দুটি ছবির কেউই নয়ন কিংবা মিন্নি নয়। আপত্তিকর এই ভিডিওটি ছড়িয়ে মিন্নির প্রতি বরগুনায় জনরোষের সৃষ্টি করা হয়েছে। রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিওটি দেখে মিন্নিকে যারা সাহসিকা বলেছিল, তাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ভিডিওটি পাঠিয়ে মিন্নির বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা চালানো হয়। ফলে মিন্নির প্রতি জনমত পাল্টে যেতে থাকে। মিন্নির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে মিডিয়ার কর্মীদের কাছেও সেটি পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বরগুনার স্থানীয়রা যখন মিন্নির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নেতিবাচক ভাবছে, ঠিক সেই সময় রিফাত খুনের আরো একটি ভিডিও উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়। সেটি ভাইরাল হওয়ার পর খুনের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততা জনগণের মুখে মুখে প্রচার হতে থাকে। সেই অবস্থায় হঠাৎ করেই নয়ন বন্ডের মা খুনের জন্য মিন্নিকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। পরদিন রাতে রিফাতের বাবা সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন।

বরগুনার সাংসদ পুত্র সুনাম দেবনাথ খুনের ঘটনার পরই মিন্নিকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছিলেন, মিন্নিই ভিলেন। শুধু তাই নয়, মিন্নিকে ভিলেন বানাতে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। সুনাম দেবনাথ অনুসারীদের নিয়ে তাতে অংশ নিয়ে মিন্নিকে গ্রেফতারের জন্য বক্তব্য দেন। এর পরপরই রিফাত খুনের মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের শনাক্তকরণের কথা বলে প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে পুলিশ বাসা থেকে নিয়ে যায়। পুলিশ লাইনসে টানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মিন্নিকে তার স্বামী হত্যার মামলায় আসামী করা হয়। পরদিন আদালতে মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। তারপরও পুলিশ মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়।

নয়ন বন্ডের প্রতিবেশী একটি পরিবারের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা বলেন, ওই ভিডিওতে যাকে নয়ন বলা হচ্ছে আসলে সে নয়ন নয়। মিন্নিকেও তারা দেখেছেন। কিন্তু ভিডিওর ওই নারীর সঙ্গে মিন্নির চেহারার মিল নেই।

দুই মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি থেকে যাকে নয়ন বলা হচ্ছে, তার ছবি স্টিল করে ব্যাকগ্রাউন্ডসহ কেটে সেই স্থিরচিত্র নয়নের মা শাহিদা বেগমকে দেখানো হয়। এক পলক দেখেই তিনি বলেন, এটি নয়নের ছবি নয়। এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকেশনও তিনি এর আগে দেখেননি। নয়নের মায়ের দাবি, নয়নের কক্ষে ওর বন্ধুরা নিয়মিত আড্ডা দিত। বিয়ের আগে মিন্নি প্রায়ই আসত। বিয়ের পর মাঝেমধ্যে আসত। তার দাবি, মিন্নি ছাড়া তার বাসায় নয়নের সঙ্গে অন্য কোনো নারী আসেনি। ওর কোনো বন্ধুও নারী নিয়ে তার বাসায় আসেনি।

তারপরও পুলিশের একাধিক কর্তাব্যক্তি একটি বলেছেন, নয়ন যে কক্ষে থাকত সেখানে গোপন ক্যামেরা লাগানো ছিল। নয়নের সঙ্গে তার কক্ষে ধারণকৃত অন্তত ১০টি মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও তারা উদ্ধার করেছেন। সেখানে মিন্নির সঙ্গে নয়নের আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ভিডিওটি সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us