গণতন্ত্রের বিচ্যুতিতে যা ঘটে
গণতন্ত্রের বিচ্যুতিতে যা ঘটে - ছবি : সংগ্রহ
বাংলাদেশের নির্বাচনীব্যবস্থা, বহুদলীয় অবস্থান, নাগরিক অধিকার, সরকারের সক্রিয়তা- এসব বিষয়ে অনেক সময় ধরে চলে আসা সঙ্কট নিয়ে যে হতাশা দেশে সৃষ্টি হয়ে আছে, অবস্থাদৃষ্টে তার অবসান সুদূরপরাহত বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক যেসব রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রয়েছে, তারা উল্লিখিত মানদণ্ডের নিরিখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিকব্যবস্থা নিয়ে যে ধারণা ব্যক্ত করেছেন, সেখানে এই জনপদে গণতন্ত্র অকার্যকর পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে করছেন।
অথচ এই দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ এর জন্য দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করেছে। তাদের এই অভিব্যক্তি দেশের সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়েছে, সেখানে প্রজাতন্ত্রকে বলা হয়েছে ‘একটি গণতন্ত্র’, মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীনতা, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের নিশ্চয়তা এবং প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে হবে। আর এসব সাংবিধানিক অধিকারের কোনো ব্যত্যয় বা অবমূল্যায়ন করা যাবে না। কিন্তু এখন এসব প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘিত হচ্ছে।
অথচ গণতন্ত্রের নাম বিকিয়েই চালিয়ে নেয়া হচ্ছে সব বিষয়। এমন আচরণ কোনোভাবেই শুদ্ধতার আলোকে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তা ছাড়া দেশের মালিক হচ্ছে এ জনপদে বসবাসকারী জনগণ। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার ব্যাপারটি আসলে একটি গুরুতর অপরাধ। জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতাসীন হওয়া এবং ক্ষমতার চর্চা করা, একটি অবৈধ এবং ত্রুটিপূর্ণ বিষয় হয়ে আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেশের চলমান শাসনব্যবস্থাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক বলে মনে করেন না। ক্ষমতাসীনরা শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্র বিদ্যমান বলে মনে করলেও সরকার প্রতিপক্ষ যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তারা কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি করে সত্যিকার জনপ্রতিনিধিদের শাসন কায়েমের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। সুশীল সমাজও দেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কথা বলে তাদের বক্তব্য-বিবৃতিতে হতাশা ব্যক্ত করছে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির যে চিত্র উপরে তুলে ধরা হলো তার লক্ষণগুলো নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। এটা সবারই জানা যে, গণতন্ত্রের প্রধান অনুশীলন হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জনগণের তথা ভোটারদের অধিকার, সেটা ইতোমধ্যে খর্ব করা হয়েছে। সত্যিকার নির্বাচন অবাধ-স্বচ্ছ ও প্রশ্নহীন হওয়াটাই সবার কাম্য। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে দেশবাসী যা দেখেছে, সেখানে কেন্দ্র জবরদখল, কৌশল অবলম্বন করা, অথচ যেখানে নীতি হচ্ছে- স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ক্ষমতাসীন হওয়ায়। এর বিপরীত ঘটার বিষয়টি হবে অনভিপ্রেত। আর এমন পদ্ধতিতে শুধু তারা বিজয়ী হয়, যারা ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তির অধিকারী। এরা জনপ্রতিনিধি তো নয়ই, তাদের যোগ্যতার বিষয়টিও পরিমাপ হয় না। এর ফলে রাষ্ট্রযন্ত্র তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে অক্ষম হয়। প্রশাসনের অদক্ষতা অযোগ্যতা এখন হাজার সমস্যার সৃষ্টি করেছে। যেহেতু এসব ব্যক্তি জনগণের দুয়ার হয়ে আসেনি, তাই তাদের কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। নিয়ন্ত্রণহীন এসব ব্যক্তির নানা ভুল ব্যত্যয় ঘটিয়ে থাকে। আর এর পরিণতি হচ্ছে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়া। যেকোনো দেশের ভাবমর্যাদা একটি অপরিহার্য বিষয়, এমনিতেই এই দেশের নানা বিষয়ে রয়েছে অনেক ঘাটতি। তাই এমন ঘাটতির সংখ্যা বৃদ্ধি করা বিবেচকের মতো কাজ হবে না।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যেসব রাষ্ট্র নিজেকে দাবি করে, তাদের এই দাবির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে- অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। শুধু একটি লোক দেখানো নির্বাচন হলেই কেবল গণতন্ত্রের শর্ত পূর্ণ হবে না। কেননা, বিশ্বে এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে একনায়কতন্ত্র চলছে। সেখানেও কিন্তু লোক দেখানোর মতো নির্বাচন রীতিমতো হয়ে আসছে। সেসব দেশের একনায়করা তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা হিসেবে ভোটের আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক সমাজকেও তারা এভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকে। এমন নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীও রাখা হয় বটে, কিন্তু সেসব প্রার্থী সমঅধিকার নিয়ে কখনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। আইন-কানুনের বেড়াজাল এবং নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থার পক্ষপাতিত্ব, আর নির্বাচন আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীনদের প্রতি অনুরাগের বশবর্তী হয়ে প্রকৃত জনমতকে প্রতিফলিত হতে দেয় না। এসব কারণে উল্লিখিত দেশগুলোতে গণতন্ত্রের মৌলিক অনুশীলন নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। তারপরও দেখা যায়, গোটা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এমন নির্বাচন এবং বিজয়ীদের ব্যাপারে নানা প্রশস্তি গাইতে থাকে।
যেসব দেশ সহিহ শুদ্ধভাবে নির্বাচন করানো নিয়ে মাথা ঘামায় না, যেসব নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্যও একটি সংস্থা ও বিধি-বিধান থাকে। এসব সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে ক্ষমতাসীনদের প্রতি অনুগতদের মধ্য থেকে। এসব কর্তাব্যক্তি খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের নিয়োগকর্তাদের আশা-আকাক্সক্ষা অনুসারেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে। সেজন্য উপরওয়ালাদের সন্তুষ্টিই তাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে। তাদের এমন ভূমিকার কারণে জনগণের অভিপ্রায়ের কতটা প্রতিফলন ঘটবে সে বিবেচনা তারা করে না। তাদের নির্বাচনী কার্যক্রমকে যারা প্রশাসনিক সহায়তা দেয়, সেসব সরকারি আমলাদের এমন একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থার মধ্যে থাকতে হয় যে স্বাভাবিকভাবেই শুদ্ধ ও অশুদ্ধতার বিচার বিবেচনা করার সাহস দেখানো সম্ভব নয়। আর নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেসব বিধি-বিধান রয়েছে সেগুলোকে আপাতত নির্দোষ মনে হলেও এসব বিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কখনোই তার চেতনাকে সমুন্নত রাখার কোনো সদিচ্ছা লক্ষ করা যায় না। ফলে এসব দেশে যারা একবার ক্ষমতাসীন হন, তাদের আর সহজে ক্ষমতা ছাড়তে হয় না।
তা ছাড়া এমন সব দেশে যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠান কারানোর ক্ষেত্রে যে বিধি-বিধানের অনুসরণ করা হয় তা বস্তুত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের ইচ্ছা ও ব্যাখ্যা অনুসারে হয় তাতে বস্তুনিষ্ঠতার কোনো বালাই নেই। এভাবে যে পার্লামেন্ট গঠিত হয় তা প্রকৃতপক্ষে একটি রাবার স্ট্যাম্প। ফলে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা এমনই হয়ে থাকে যে, সেখানে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তার কোনো আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না। অথচ এসব পরিষদ রাষ্ট্রের একটি অবিচ্ছেদ অঙ্গ। সেগুলো যদি কার্যকর না হয়ে থাকে তবে খোদ রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে কেবল প্রশাসনকেই বোঝানো হবে। এভাবে চললে স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য বিনষ্ট হতে থাকবে। দেশ এভাবে এমন মাত্রায় চললে প্রশাসনের জবাবদিহিতার কোনো জায়গা থাকবে না। অথচ এটাই স্বাভাবিক, যে কারোর কাজ করতে ভুল হবে। কেননা কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। ভুল ধরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা না থাকলে সেখানে ক্রমাগত ভুল হতেই থাকবে।
তথ্য প্রকাশ করা নিয়ে ভয়ভীতির মধ্যে থাকে বলে ‘সেলফ সেন্সর’ করে সব কিছু জনসম্মুখে নিয়ে আসে। পক্ষান্তরে বানোয়াট তথ্যগুলোকে ফলাও করে তুলে ধরে। বিশ্বের এমন সব মেকি গণতন্ত্রীরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রয়াস চালায়।
যেখানে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র বহাল থাকে, সেখানে প্রকৃত জনমতের কোনো মূল্য নেই। যা কিছু তুলে ধরা হয়, তা মূলত কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন গাওয়ার শামিল। সাধারণ মানুষের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি প্রকাশের কোনো জায়গা থাকে না। ফলে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে গোষ্ঠীবিশেষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনই ঘটে থাকে। ভিন্নমতের কোনো ধার ধারা হয় না বলে ভিন্নমতের প্রতি চরম জুলুম নির্যাতন নেমে আসে।
এসব স্থানে কোথাও লোক দেখানো বিরোধী দলও থাকে এবং তাদের অধিকারের বাহ্যত স্বীকৃতিও থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের চলতশক্তি রহিত করে রাখা হয়। নানাভাবে এসব বিরোধীদলের কার্যক্রমকে প্রশাসনের মাধ্যমে স্তব্ধ করে দেয়াটা সাধারণ রেওয়াজ বলেই মনে করা হয়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রতি শুধু এমন সব আচরণই নয়, তাদের বিরুদ্ধে ছলছুতা করে আদালতে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে তাদের হয়রানি করা হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে মানুষ উৎসাহ হারিয়ে ফেলে এবং ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেমন নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ আর আগ্রহী হয় না। ভোটের প্রতি কোনো আস্থা বিশ্বাস বজায় থাকে না।
এজন্য অবশ্য কর্তৃপক্ষের কোনো আক্ষেপ অনুশোচনা লক্ষ করা যায় না। বরং ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে সাধারণের নিরাসক্তিকে তাদের জন্য কল্যাণকর মনে করা হয়। কিন্তু আখেরে জনগণের এমন নির্লিপ্ততা রাষ্ট্র কোনো দুর্যোগের সম্মুখীন হলে তখন তাদের একাই সব কিছু মোকাবেলা করতে হয়। অথচ রাষ্ট্র ও জনগণের অভিন্ন সত্তাই কাম্য হওয়া উচিত। এমন সব স্থানে জাতীয় ঐক্য বলে কিছুর অস্তিত্ব বজায় থাকে না। কেননা জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে প্রতিটি দেশের মানুষের মধ্যে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে সমঝোতা ও একমত হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোতে ক্ষমতাসীনরা তাদের সাথে ভিন্নমত পোষণকারীদের প্রতি জাতীয় ঐক্য রচনার জন্য পরস্পর ‘দেয়া নেয়া’র নীতি গ্রহণ না করায় সব ক্ষেত্রে দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজনের একটি শক্ত দেয়াল তৈরি হয়ে যায়। পক্ষান্তরে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সব জাতীয় মৌলিক প্রশ্নগুলো বৃহত্তর সংলাপের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় ও নিষ্পিত্তিতে পৌঁছার নীতি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে জাতীয় ঐক্যের কোনো ফাটল বা সঙ্কট দেখা দেয় না। এর পাশাপাশি গণতন্ত্রের অনুসারী দেশগুলো রাজনৈতিক দলসমূহ তাদের নিজস্ব মত পথ ধরে এগিয়ে গিয়ে বহুমতে অপূর্ব এক সম্মিলন ঘটিয়ে থাকে; যা যুগপৎ শক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ও সংশ্লিষ্ট জাতির অনুপম বৈশিষ্ট্যের রূপায়ণ ঘটায়। এমনটি সব মাত্রায় দেশকে সম্মুখে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগায়।
রাষ্ট্রব্যবস্থার যে স্বরূপ নিয়ে কথা বলা হলো সেগুলোর যেসব অনিবার্য উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে; তার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির বিস্তৃতি। বিভিন্ন সময় এমন খবর প্রকাশ পায় যে, নানা দেশে অতীতে যারা ক্ষমতাসীন ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করার বিষয় সামনে এসেছে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলে।
এর পরিণতিতে তাদের নানা ধরনের সাজা হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নিয়মিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিয়ে অনিয়ম এবং দুর্নীতিবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। যেসব দেশে যত বেশি জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হয়ে থাকে সেখানে বস্তুত দুর্নীতি অনিয়মের বিস্তার দেখা যায়। শুধু কোনো ব্যক্তিবিশেষ নয় সঙ্ঘবদ্ধভাবে ক্ষমতার আশপাশে যারা থাকে তাদের মধ্যেই দুর্নীতির প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু উপরের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে আইন ও প্রশাসন এখানে অসহায় হয়ে পড়ে। প্রশাসনের আনুগত্য নিয়ে নানা ব্যত্যয় লক্ষ করা যায়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা নীতিগতভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও যেখানে কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার ক্ষমতায় থাকে সেখানে কর্মকর্তাদের সরকারেরই আনুগত্য করতে হয়। তাই স্বাধীন এবং ন্যায়পরায়ণতার দায়িত্ব পালন করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। আর চতুর কর্মকর্তারা তখন নীতিজ্ঞানের পরোয়া না করে নিজস্ব তরক্কির জন্য, উপরের সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করে। এর ফলে তারা পুরস্কৃত হলেও সৎ দক্ষ কর্মকর্তাদের কোনো পদোন্নতি ঘটে না। এভাবে প্রশাসন চাটুকারদের আস্তানায় পরিণত হয়।
ndigantababor@gmail.com