বাফার জোনে বিজয়ী তুরস্ক

মো: বজলুর রশীদ | Dec 19, 2019 05:25 pm
বাফার জোনে বিজয়ী তুরস্ক

বাফার জোনে বিজয়ী তুরস্ক - ছবি : সংগ্রহ

 

তুরস্ক যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সেফ জোনের চুক্তি করছিল, তখন রাশিয়ার বিশেষ দূত আলেকজান্ডার লাভরেন্টিভ একই বিষয় নিয়ে আঙ্কারায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিষয়টি পরীক্ষা করে দামেস্কে বাশার আল আসাদের সাথে দেখা করেছেন। তবে রাশিয়ার চিন্তাভাবনা অন্য রকম। সব কিছু নির্ভর করে, 'the return of all Syrian lands to the control of the Syrian Arabic Republic government''. রাশিয়ানরা এর আগেই কুর্দি ওয়াইপিজির সাথে কথা বলেছে। রাশিয়া আসাদ সরকার ও ওয়াইপিজির সাথে একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন। অবস্থা দেখে মনে হয় রাশিয়া প্রস্থানরত আমেরিকান সেনাদের শূন্যস্থান মানবিজ, কোবানি এসব পূরণ করতে চায় এবং সিরিয়ার সরকারি দলকে সহায়তা করার জন্য কুর্দিদের ব্যবহার করতে চায়। এ বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরব ও জাভেদ জরিফের সাথে ফোনালাপের পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় গত ১৭ অক্টোবর। রাশিয়া ও ইরান উভয়েই তুরস্ক ও সিরিয়াকে বৈঠকে বসাতে চায়।

উভয়ের মধ্যে বিরোধের পরিবর্তে যদি সমঝোতা হয় তবে অন্য শক্তিগুলো সেখানে আর সুবিধা করতে পারবে না। আর এই বৈঠকের রেশ ধরে তুর্কি-কুর্দি সমঝোতা হয়ে গেলে তো কথাই নেই। রাশিয়া বলছে, আজ থেকে ২১ বছর আগে তুরস্ক-সিরিয়া পিকেকের বিষয়ে যে চুক্তি করেছিল তার পথ ধরে যেন আবার আলোচনায় বসে। কিন্তু ওই চুক্তিতে পিকেকে কোনো ঘাঁটি সিরিয়ার মাটিতে করবে না, এমন সব কথা আদানা চুক্তিতে লেখা ছিল। বাস্তবে সিরিয়া পিকেকে যোদ্ধাদের নিজের কাজে খাটিয়েছে। রাশিয়া কেন তুরস্ককে ওই চুক্তির উদাহরণ দিচ্ছে, তা এখনো বোধগম্য হয়নি। তুরস্ক বেশ সজাগ বলে মনে হয়। তারা বলেছে, নিরাপত্তা ও ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট নিরীক্ষা করার পর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। তুরস্ক যদি রাশিয়ার সাথে ওয়াইপিজি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে পারে সেটি উত্তম হবে। রাশিয়ার জন্য বিপদ যে সেফ জোনে আমেরিকানরা থাকবে বহাল তবিয়তে।

এরদোগানের সাহসী পদক্ষেপ ও কুর্দিদের সাথে যুদ্ধে বিজয় বিশ্ব রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে এখন তুরস্ক বড়মাপের দেশ। অনেকে বলেছেন, তুরস্ক বড় ধরনের ‘রিস্ক’ নিয়েছে। আমেরিকার সৈন্যরা বাফার জোন থেকে সরে না এলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতে পারত। এরদোগান জানেন নেতৃত্ব ও রাজনীতিতে সাহস, ধৈর্য ও সময় বড় উপাদান। তুরস্ক সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিচালনার আরো একটি কারণ হলো তুর্কি সৈন্য সমাবেশে সিরিয়া বোমা বর্ষণ করে। সিরিয়া চায় না তার ভূখণ্ডে তুরস্ক আসুক। বিশ্ববাসীর মনে আছে, মাত্র একটি ভুলের জন্য, আসাদ বিদ্রোহীদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করার কারণে, সিরিয়ায় আগুন জ্বলেছে। আসাদ সবার সাথেই পাল্লা দিতে চায় কিন্তু এই ভদ্রলোকের এখন কিছুই নেই। এমনকি নতুন সংবিধানও রাশিয়া ড্রাফট করে দিয়েছে। রাশিয়ার সহায়তা ছাড়া বাসারের কিছুই করার নেই। বাসারকে ইরানও প্রচুর সহায়তা করছে।

গত নভেম্বরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বৈরী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪৪৪ কিলোমিটার লম্বা ও ৩০ কিলোমিটার সিরিয়ার ভেতরের জায়গা সেফ বা বাফার জোন হিসেবে ধরে রাখার স্বীকৃতি আদায় করেছেন। সেই সাথে আরো ১৩টি বিষয় যুক্ত আছে। এই চুক্তিতে তুরস্কই বিজয়ী হয়েছে। চুক্তির এসব বিষয় ও ধারাগুলো প্রতিপালিত হলে তুরস্ক-সিরিয়া, তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উজ্জীবিত হবে এবং ন্যাটো জোটে আবার প্রাণ ফিরে আসবে। ওয়াশিংটন ওয়াইপিজি, যা পিকেকে সিরিয়ান গ্রুপের সমর্থিত, সেফ জোন থেকে সরাতে না পারলে অপারেশন পিস স্প্রিং আবার যাত্রা শুরু করবে। সে যাত্রা হবে নির্মম। নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন একটি বিষয় ট্রাম্প চাইবেন না। তা ছাড়া ওয়াশিংটন ফোরাত নদীর পাড় থেকে সরে এসে সেফ জোনে প্রবেশ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বৈকি? যুক্তরাষ্ট্র এত দিনের বন্ধু ওয়াইপিজির ওপর চাপ প্রয়োগ করবে বা অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করবে। এ ছাড়া ট্রাম্পের কোনো গতি নেই।

একটি কথা উল্লেখ করার মতো, যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান মিডিয়া নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। দু’টি পত্রিকা বলেছে, ১৩ পয়েন্ট চুক্তি অবমাননাকর ও আমেরিকার পরাজয়। এখন তুরস্কবিরোধী অবরোধের বিল কংগ্রেসে রয়েছে। কয়েক দিন আগে সেটি পাসও হয়েছে। সিএনএনে বসে বোল্টন হয়তো এসব মিডিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে। যদি এটা প্রমাণিত হয় তবে বোল্টনের জন্য আরো খারাপ দিন অপেক্ষা করছে। পত্রিকা দু’টি যদিও সমালোচনা করেছে, তার পরও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যে সঠিক ভূমিকা ও ‘ইন্টারেস্ট’ কী হবে তার দিকনির্দেশনা দেয়নি বা দিতে পারেনি। ওবামার আমল থেকেই সিরিয়ায় আমেরিকার পদক্ষেপ সমন্বিত ছিল না।

যদিও হিলারি ক্লিনটন জোরালো ভাষায় বলতেন, ‘আসাদকে আমরা এক দিনও ক্ষমতায় দেখতে চাই না।’ যুক্তরাষ্ট্র যতবার সিরিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছে তা মূলত ইসরাইলি আক্রমণকে সহায়তামূলক; এখনো তাই। নির্বাচনের আগে তুরস্কের সাথে সমঝোতা ও ন্যাটো জোটকে শক্তিশালী করাই যুক্তরাষ্ট্রের মতিগতি। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ওয়াইপিজিকে সহায়তা বন্ধ করেই আমেরিকাকে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। আমেরিকা সে দিকেই হাঁটছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক ১৭ অক্টোবর ঐতিহাসিক চুক্তি ও অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ওভাল অফিস এই বিষয়ে মিডিয়াকে অবহিত করে। এই চুক্তির মূল কথা হলো : (ক) তুরস্ক জরুরিভাবে অস্ত্রবিরতি শুরু করবে (খ) উভয় দেশ ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর হেফাজত করবে (গ) আইএসের বিরুদ্ধে উভয় দেশ একাট্টা (ঘ) যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও তুরস্ক একত্রে কাজ করা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তির জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও, নিরাপত্তা পরামর্শক রবার্ট ও ব্রাইয়েন এবং এদের একদল দক্ষ ও নিবেদিত ডিপলোম্যাট সহায়তা করেছেন। তুরস্ক ১২০ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় যাতে ওয়াইপিজি যোদ্ধারা তুর্কি এলাকার সেফ জোন ছেড়ে চলে যায়।

এই চুক্তিতে ১৩টি ধারা রয়েছে, যেগুলোর কারণে এরদোগান বৈশ্বিক রাজনীতির নেতৃত্বে চূড়ায় আরোহণ করতে পরেছেন। চুক্তির ধারাগুলো সংক্ষেপে- ১. ন্যাটোর সদস্য হিসেবে উভয় দেশ উভয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে; তুরস্কের দক্ষিণের সীমান্তে তুরস্কের আইনগত নিরাপত্তা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিয়েছে; ২. ভূখণ্ডগত কারণে, সিরিযায়, নির্দিষ্টভাবে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় উভয় দেশের যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে; ৩. তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো অঞ্চলগুলো রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; ৪. উভয় দেশ জানমাল রক্ষা, মানবাধিকার, ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করার বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করল; ৫. তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর সিরিয়ায় আইএস বা দায়েশের কর্মকাণ্ড দূর করতে একমত পোষণ করল; ৬. উভয় দেশ একমত পোষণ করে যে, কাউন্টার টেররিজম অপারেশন শুধু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই পরিচালিত হবে এবং যেখানে লুকিয়ে আছে, আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে তাদের গোলাবারুদ, যানবাহন ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে, সেখানে পরিচালিত হবে; ৭. সেফ জোনে যেসব অধিবাসী রয়েছে তাদের সবার নিরাপত্তার জন্য তুরস্ক বদ্ধপরিকর থাকবে, জনসাধারণ ও তাদের অবকাঠামো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। ৮. উভয় দেশ সিরিয়ার রাজনৈতিক ঐক্য ও এলাকাগত অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে এবং ইউএনএসসিআর ২২৫৪ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে। ৯. উভয় পক্ষ নিরাপদ অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা এবং তুরস্কের নিরাপত্তার গুরুত্বকে প্রাধান্য দেয়। তাই ওয়াইপিজির ভারী অস্ত্রগুলো নিয়ে নেয়া যুদ্ধের কৌশলগত এলাকাগুলো থেকে তাদের সরিয়ে দেয়া। ১০. নিরাপদ জোন প্রাথমিকভাবে তুরস্ক কার্যকর করবে; পরে উভয় পক্ষ বিভিন্ন দিক বাস্তবায়ন করবে। ১১. ওয়াইপিজির সদস্যরা ১২০ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপদ এলাকা ত্যাগ করবে এবং তুরস্কের অপারেশন বন্ধ থাকবে। ১২. একবার তুরস্কের অভিযান ‘অপারেশন পিস স্প্রিং বন্ধ হলে তুরস্কে আর কোনো অবরোধ, ১৪ অক্টোবরের প্রশাসনিক আদেশ, সম্পদ অবরোধ, কিছু কর্মকর্তার আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এসব প্রত্যাহার করা হবে। ১৩. উভয় পক্ষ চুক্তির ধারাসমূহ বলবৎ রাখার জন্য একই সাথে কাজ করবে।

ঐতিহাসিক এই চুক্তির পর রাশিয়ার অবস্থান কী হতে পারে? ইরানও কিভাবে নেবে? রাশিয়া সিরিয়াকে নিজের উঠোনঘর মনে করে। বাশার আল আসাদের পেছনে তারাই দেশ পরিচালনা করছে। তুরস্ক রাশিয়ার সাথেও আলাপ আলোচনা করেছে এবং চুক্তিতে সই করেছে। তুরস্ক একই সময়ে দু’টি সুপার পাওয়ার নিয়ে রাজনীতি করছে এবং দু’টিকে ধরে রাখতে চাইছে। কেউ আউট হলে যেন অন্যটি ধরে রাখা যায়। এরদোগান বলেছেন, তিনি রাশিয়ার সাথে যেকোনো চুক্তি করবেন, শর্ত শুধু একটা- ওয়াইপিজিকে সেফ জোন ও তুরস্ক অধিকৃত এলাকা থেকে দূরে রাখা। নিরাপত্তার জন্য তুরস্ক চিন্তিত। বিশেষ করে ওয়াইপিজি ঘাঁটি তাল রিফাত ও মানবিজে যেন না থাকে। মস্কো এখন পিকেকে/ওয়াইপিজিকে রক্ষার কাজ শুরু করেছে। এতে রাশিয়া-তুরস্কের মধ্যে আবার বৈরিতা শুরু হতে পারে। আসাদ সরকার পিকেকের এলাকার দখল নিয়েছে এতে তুরস্ক মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। কেননা জায়গাটি সিরিয়ার এবং সেখানে পিকেকে নেই। তুরস্ক সব সময় সিরিয়ার অখণ্ডতা চেয়েছে। সিরিয়া নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে শান্তিতে থাকুক এমনটি তুরস্ক চায় এবং এই কাজে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত। ২১ বছর আগে সম্পাদিত আদানা চুক্তির আলোকে রাশিয়া চায় তুরস্ক-সিরিয়া বৈঠকে মিলিত হোক। পুতিন যদি এই নিশ্চয়তা দেন যে, ওয়াইপিজি মানবিজ, কোবানি বা তাল রিফাতে কোনো অপারেশন চালাবে না তাহলে শান্তির আবহ ফিরে আসতে পারে।

ইরাকের উত্তপ্ত রাজনীতির কারণে বহুদিন ধরে কুর্দি সমস্যার কোনো বাস্তব সমাধান হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার ও কুর্দিদের মধ্যকার সমঝোতা আলোচনা হয়নি। ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর কুর্দি রিজিওনাল সরকার ও বাগদাদের সাথে সমাধানমূলক উল্লেখযোগ্য কোনো বৈঠক হয়নি। কুর্দি রিজিওনাল সরকারপ্রধান এখন ওই বৈঠক করার ও চলমান সঙ্কটের সুরাহার জন্য চাপ দিয়েছে আর জনগণ দুর্নীতি ও নিম্নমানের জীবনযাপনের অভিযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এখন কুর্দি-ইরাক বা ইরবিল-বাগদাদ চুক্তি হলে তার বৈশিষ্ট্য কী হবে তা পরিষ্কার নয়। বাগদাদের দাবি অনুসারে কেআরজির অধীন তেলকূপ ও পাইপলাইন ইরাক প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে মনে হয় না। তেল বিক্রি ও বিপণনের ক্ষেত্রে কুর্দিরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং করতে চায়। ইরাক এ বিষয়টি তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার বিপরীত মনে করে। ২. কুর্দিরা সংবিধানের ১৪০ নম্বর ধারার প্রয়োগ চান যেখানে কিরকুক, মসুল ও দিয়ালার কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধের অবসান হয়। বাগদাদ ওসব পরিত্যাগ করে আলাপ চালাতে চায়। ৩. ইরাকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ পদ্ধতি অনুমোদন করেন না। তারা মনে করেন, এতে ইরাকের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। বাফার জোনে তুরস্ক এখনো বিজয়ীর বেশে; তবে কুর্দি সমস্যা আরো জটিলতর হচ্ছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us