ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধানের সতর্কবার্তা
ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধানের সতর্কবার্তা - ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান চিফ এয়ার মার্শাল রাকেশ কুমার সিং ভাদুরিয়া বলেছেন, অস্ত্রশস্ত্র দেশে উৎপাদন করার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, এখন এর সমাধান দরকার। এজেন্ডা আজতকে বক্তৃতকালে বিমান বাহিনীর প্রধান বলেন, এসব কর্মসূচির পেছনে থাকা উদ্দেশ্য ভালো, কিন্তু কাজের গতি খুবই মন্থর।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুরো মেক ইন ইন্ডিয়া ও অস্ত্রশস্ত্রের দেশে উৎপাদন নিয়ে কথার কথা অনেক হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য ভালো, কিন্তু বাস্তবে কাজ হচ্ছে খুবই ধীর গতিতে।
ভাদুরিয়া বলেন, অস্ত্রশস্ত্র দেশে উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একই লক্ষ্যে কাজ করলে সফলতা আসবে। আমরা আমাদের সমর্থন দিয়েছি। ডিআরডিওকে সময়মতো নক্সা করতে হবে, পিএসইউকে যথাযথ উৎপাদন মান নিশ্চিত করতে হবে, বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে হবে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার কথা উপস্থাপন করে এয়ার চিফ মার্শাল ভাদুরিয়া বলেন, ভারতের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পকে জোরদার করার দিকে নজর দেয়ার এখনই সবচেয়ে ভালো সময়।
তিনি বলেন, আমরা রাফাল ও এস-৪০০ কিনেছি। আমাদেরকে এখনই জঙ্গি বিমানের প্রয়োজন মেটাতে হবে। স্থানীয়ভাবে বিমান ও অস্ত্র উৎপাদনের দিকে আমাদের নজর দেয়ার এখনই সেরা সময়। তিনি বলেন, দূর পাল্লার ও নিখুঁত অস্ত্র নির্মাণের জন্য এজেন্সিগুলোর উচিত হবে স্টিলথ প্রযুক্তি, আধুনিক সেন্সর, ডাটা ফিউশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হওয়া।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিক বিমান থাকাটা সবসময়ই ভালো বিষয়। নিজস্বভাবে উৎপাদিত বিমান থাকলে আমরা আমাদের প্রয়োজনের আলোকে যেকোনো সময় তা আধুনিকায়ন করতে পারি।
ইন্ডিয়া টুডে
ভারতের নতুন সেনাপ্রধান নারাভান
এনডিটিভি
নতুন সেনাপ্রধান পেতে যাচ্ছে ভারত। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভান দেশটির পরবর্তী সেনাপ্রধান হতে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান। তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
তিন বছর সেনাপ্রধান দায়িত্ব পালন শেষে ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বিপিন রাওয়াত। অবসরে যাওয়ার পর বিপিন রাওয়াত ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। এই পদটি সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চলছে। তেমনটা হলে তিনি হবেন দেশটির প্রথম প্রতিরক্ষাপ্রধান। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পেতে যাওয়া মনোজ মুকুন্দ গত সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হন। পেশাগত দিক থেকে তিনি বেশ দক্ষতার অধিকারী।
এই দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডারের প্রধান ছিলেন। চীনের সাথে ভারতের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত দেখভাল করে ইস্টার্ন কমান্ড। ১৯৮০ সালের জুনে শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে (সপ্তম ব্যাটালিয়ন) কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন মনোজ মুকুন্দ।
প্রায় চার দশকের সামরিক চাকরি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে ছিলেন তিনি। পেয়েছেন অনেক পদকও।