ফেরিওয়ালা থেকে প্রধানমন্ত্রী

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Dec 11, 2019 05:08 pm
সানা মারিন

সানা মারিন - ছবি : সংগ্রহ

 

কঠিন রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলেই আসে উন্নতির পথ। এই ধারণাকেই বাস্তব রূপ করে দেখিয়ে সানা মারিন। মাত্র ৩৪ বছরে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীর নজির গড়ছেন তিনি।

কিন্তু এই নজির গড়ার জন্য তাকে বহু চড়াই-উতরাই পেরতে হয়েছে। সানা ফিনল্যান্ডের খুবই সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসছে।আর পাঁচটা শিশুর মতো ছিল তার বেড়ে ওঠে।

খুব ছোট বয়সেই মা-বাবা বিচ্ছেদ দেখেছেন তিনি। মায়ের কাছেই তিনি পরে বেড়ে ওঠে। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে তাকে কাটাতে হয়েছে।পরিবারিক সচ্ছলতা বাড়াতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে একটি বেকারিতে কাজ করেন তিনি। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাময়িকী বিক্রি করে খরচ চালাতেন।

পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়া কখনই তা প্রকাশ্যে আসতে দেননি। একসময় তিনি বিষয়টি নিয়ে হীনমন্যতাবোধে ভুগতেন। সানাই তার পরিবারের একমাত্র সদস্য যিনি স্কুলজীবন শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে পা রেখেছেন।

মাত্র ২০ বছর বয়সে রাজনীতিতে তিনি যোগ দেন। এর দু'বছরের মধ্যে তিনি রাজধানী হেলসিংকির উত্তরে টামপিরি শহরের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে হেরে যান। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয় পাশাপাশি কাউন্সিলরদের নেতা হয়ে যান। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর।

কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর দেশটির মধ্য-বামপন্থী দল সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে (এসডিপি) তার দ্রুত উন্নতি হতে থাকে। ২০১৫ সালে এমপি নির্বাচিত হন। দলে বামপন্থী নেতা হিসাবে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে।দলের জন্য তার কর্মকাণ্ড শীর্ষ নেতা অ্যান্তি রিনের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। অ্যান্তি রিনের ডেপুটি হিসাবে যোগ দেয়ার পাশাপাশি খুব কাছের পাত্র হয়ে ওঠেন। সানার আগে রিন ছিলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।

২০১৮ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন অ্যান্তি রিন।শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকে। সেই সময় ফিনল্যাণ্ডে নির্বাচন প্রচার চলছিল। রিনের অসুস্থতায় দলের নির্বাচনী প্রচারের লাগাম নিজের হাতে নিয়ে ছিলেন সানা। পরে অ্যান্তি রিন সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার দলও নির্বাচনে জয়লাভ করে। নতুন মন্ত্রিসভায় পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান সানা।

কিন্তু ডাক ধর্মঘটের জেরে দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অ্যান্তি রিন। এর পর অবশ্য দলের আস্থাভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন সানা মারিন।২০১৫ সালে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলে ছিলেন, এক শিশু হিসাবে তিনি নিজেকে অদৃশ্য ভাবতেন। কারণ নিজের পারিবারিক গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারতেন না।

তিনি বলেন, আমি একটি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। ফিনল্যান একটি শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্র না হলে আমি সফল হতে পারতাম না, সামনে এগিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ত।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us