শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে ইসলামফোবিয়া
শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে ইসলামফোবিয়া - ছবি : সংগ্রহ
গত ১৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। ৮৩.৭ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসের ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯৯৩ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত, সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে সাজিথ প্রেমাদাসা ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তিনি ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির প্রার্থী ছিলেন। আর রাজাপাকসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বিরোধী দল শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট থেকে। মোট ৩৫ জন এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তার ইমেজ সঙ্কটের কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত ছিলেন। দেশটিতে মোট দুই কোটি ২৯ লাখ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ সিংহলি বৌদ্ধ, ১৪ শতাংশ তামিল হিন্দু, ১০ শতাংশ মুসলমান এবং বাকিরা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
শ্রীলঙ্কায় এই অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পটভূমি ছিল অত্যন্ত জটিল। তিনটি খুবই সংবেদনশীল ইস্যু নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগে প্রভাবিত করেছে। প্রথম ও মূল ইস্যুটি হলো নিরাপত্তা ইস্যু। এই ইস্যুর প্রভাবেই বাকি দু’টি বিষয়; অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার প্রশ্ন সামনে এসেছে। ক. নিরাপত্তা : গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার তিনটি ক্যাথলিক চার্চে এবং তিনটি হোটেলে খ্রিষ্টানরা ‘ইস্টার সানডে’ উদযাপনের সময় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা করা হলে ২৬৯ জন নিরীহ নাগরিক নিহত এবং ৪০০ জনেরও অধিক আহত হন। এই হামলায় শ্রীলঙ্কার অপরিচিত একটি ইসলামী দলকে (ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত) দায়ী করে ওই দলের নেতাদের ধরপাকড় করা হয়। হামলার কয়েক দিন পর ‘আইএস’ দায় স্বীকার করেছে বলে পশ্চিমা মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞরা পরে প্রমাণ করেছেন যে, আবু বকর আল বাগদাদির ভিডিওতে বর্ণিত দায় স্বীকারের ঘটনা জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে (Saeed Naqvi, The Daily Star, 03 Nov, 2019)।
কিন্তু ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কার মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কোপানলে পড়ে যায়। অনেক এলাকায় তাদের বাড়িঘর, দোকানপাটে নির্বিচারে আক্রমণ করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ বা আলামত প্রকাশিত হয়নি যে, এই হামলা মুসলমানরা করেছে। তবুও শুধু ধারণার ওপর নির্ভর করে এর দায় মুসলমানদের ওপর চাপানো হয়েছে। এই সন্ত্রাসী হামলা পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। আর শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের মাঝে বড় এক বিভক্তি এনে দিয়েছে। এক দিকে তারা নিজেদেরকে নিরাপত্তাহীন মনে করছে, অন্য দিকে তাদের বিভক্ত করে দিয়েছে সাম্প্রদায়িকভাবে। এরই সূত্র ধরে শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা উগ্র বৌদ্ধবাদের উত্থানের পথ হয়েছে আরো সুগম।
যেহেতু সংখ্যাগুরু সিংহলিরা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সেহেতু সিংহলি বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের গোড়াপত্তন হয়েছে, যা সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। খ. প্রশাসন : ওই সন্ত্রাসী আক্রমণের মধ্য দিয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে যে, শ্রীলঙ্কার দেশ পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিরাজমান। কারণ, ওই হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্র্রযন্ত্র সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এমনকি পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এই সতর্কবাণী নিয়ে আলোচনা হলেও তা খোদ প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাই জানতেন না।
এভাবে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি হিসেবে এই সন্ত্রাসী আক্রমণ ঘটানো সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। অবশ্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিন ধরে চলমান। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী করার ঘোষণা দিয়ে তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছিল। তাদের এই দ্বন্দ্ব এক দিকে যেমন পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভয়াবহ স্থবিরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, অন্য দিকে নাগরিকরা ক্ষমতাসীনদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। গ. অর্থনীতি : ‘ইস্টার সানডে’ হামলায় শ্রীলঙ্কার নিম্নমুখী অর্থনীতি আরো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় খাত, পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে যায়।
হামলার আগের মার্চ মাসে যেখানে মোট দুই লাখ ৪৪ হাজার ৩২৮ জন পর্যটকের আগমন ঘটেছিল, সেখানে হামলার পর মে মাসে মাত্র ৩৭ হাজার ৮০২ জন পর্যটকের আগমন ঘটেছে শ্রীলঙ্কায়। পরে গত সেপ্টেম্বর নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে এক লাখ আট হাজার ৫৭৫ জনে দাঁড়ায়। কিন্তু সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর এর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যায়। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির একটি চিত্র আলজাজিরায় প্রকাশিত হয়েছে যা নিম্নরূপ :
সাল প্রবৃদ্ধির হার ২০১৫ ৫ শতাংশ ২০১৬ ৪.৫ শতাংশ ২০১৭ ৩.৪ শতাংশ ২০১৮ ৩.২ শতাংশ ২০১৯ ২.৭ শতাংশ অর্থনীতির এই করুণ দশা অবশ্যই সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শক্ত প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া, ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকার বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। তাদের মোট বৈদেশিক ঋণ ৩৪.৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার, যা জিডিপির প্রায় ৩৯ শতাংশ। সব মিলে শ্রীলঙ্কার ঋণ হলো ৬৯.৫ বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ৭৮ শতাংশ।
এমন একটি আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে ‘ইস্টার সানডে’ হামলা-উত্তর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন নাজুক পরিস্থিতিতে। এর সাথে আরো কিছু কারণ যুক্ত হয়, যাতে করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাজিথ পরাজিত হন।
কারণগুলো হলো : (ক) শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা ‘ইস্টার সানডে’ হামলার ঘটনায় তদানীন্তন ক্ষমতাসীনদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। (খ) অপর দিকে, গোতাবায়া রাজপাকসের ওপর জনগণ তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট আস্থাবান বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল গোতাবায়া রাজপাকসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, যে সময় তারই বড়ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে ছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। এই সময়টায় ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত নৃশংস সামরিক অভিযানের মাধ্যমে গোতাবায়া দুর্ধর্ষ তামিল গেরিলাদের পরাজিত করে কয়েক দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নির্মূল করেছিলেন। ফলে তার ওপর জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে। (গ) ‘ইস্টার সানডে’ হামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়, তৎকালীন সরকারের সর্বপর্যায়ে ব্যর্থতা ছিল। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার কোন্দল চরম আকার ধারণ করায় জনগণ প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে পড়ে। (ঘ) যেকোনো কারণেই সন্ত্রাসী হামলা হোক না কেন, এর ফলে পুরো দেশে বৌদ্ধ সিংহলি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটেছে।
তবে জাতীয়তাবাদের এই উত্থান জাতিকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলে। ভোটের হিসাবে দেখা যায়, সিংহলি অধ্যুষিত জেলাগুলোতে রাজাপাকসে বিপুল ভোট পেয়েছেন আর তামিল ও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বেশি ভোট পেয়েছেন প্রেমাদাসা। (ঙ) সাজিথ প্রেমাদাসার বাবা প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসা ১৯৯৩ সালে তামিলদের হাতে নিহত হলেও তিনি উদারনৈতিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু রাজাপাকসে জাতির নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় সংখ্যাগুরু সিংহলি সম্প্রদায় তাকেই সমর্থন দিয়েছে। (চ) নিরাপত্তা প্রশ্নে শ্রীলঙ্কায় এক ধরনের ইসলামভীতি সৃষ্টি হয়েছে। এই ভীতি থেকে জন্ম নিয়েছে বৌদ্ধদের উগ্রবাদ এবং সিংহলি জাতীয়তাবাদ। সম্প্রদায়ভিত্তিক এই জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদ রাজাপাকসের জয়লাভের ব্যাপারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। (ছ) শ্রীলঙ্কাবাসীর আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর সাথে যোগাযোগের প্রশ্নেও মেরুকরণ ঘটেছে।
রাজাপাকসে ‘চীনপন্থী’ বলে পরিচিত হলেও প্রেমাদাসা ভারতপন্থী বলে অভিহিত। কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধে বিভিন্নভাবে ভারতের সংশ্লিষ্টতায় শ্রীলঙ্কার জনগণের ভারতের প্রতি তিক্ততা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার এই নির্বাচন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রেমাদাসা ‘চীনপন্থী’ হওয়ায় ভারত এ ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে মনে হয়। কারণ, চীনের বিশাল বিনিয়োগ ঘটেছে শ্রীলঙ্কার অবকাঠামো উন্নয়নে। ফলে শ্রীলঙ্কার প্রচুর ঋণ রয়েছে চীনের কাছে। ২০১৭ সালে চীন শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর ঋণের বিনিময়ে গ্রহণ করেছে এবং জিবুতিতে একটি লজিস্টিক ঘাঁটি স্থাপন করে তাদের নৌবাহিনীর রসদ অব্যাহত রাখার জন্য। এতে করে ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে পড়ছে। তা ছাড়া, রাজাপাকসের বিজয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সংশ্লিষ্টতা অনেক বেড়ে যাবে, যা ভারতের মোটেও কাম্য নয়। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রাজাপাকসেকে স্বাগত জানালেও তিনি বলেছেন, শ্রীলঙ্কার এই নির্বাচনের ফলাফল ভারত মহাসাগরে ‘স্বাধীন ও মুক্ত’ ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলতে পারে।
গোতাবায়ার বিজয় সার্বিক মূল্যায়নে শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর বিজয়। সাজিথ ফলাফল মেনে নিয়ে রাজাপাকসেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে নতুন প্রেসিডেন্টকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। তার প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। সিংহলি বৌদ্ধ এবং তামিল-হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিশ্বাসের যে চিড় ধরেছে, তাকে খুব দ্রুতই ‘মেরামত’ করতে হবে। সাথে সাথে নিরাপত্তার ব্যাপারে জনগণের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। শ্রীলঙ্কার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি দৃশ্যমান করতে হবে। তবেই জনগণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুফল পাবেন বলে আশা করা যায়। আর যদি উগ্র বৌদ্ধবাদের উত্থানের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার লাগাম টেনে না ধরা যায়, তবে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ সমস্যা বাড়তেই থাকবে, যা জাতির জীবনে শান্তিকে সুদূরপরাহত করে তুলবে।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং পিএইচডি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।