স্বপ্নার কাণ্ড : অর্ধডজন বিয়ে করে ধরা
স্বপ্নার কাণ্ড : অর্ধডজন বিয়ে করে ধরা - ছবি : সংগ্রহ
ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক স্বপ্না শরিফ (৩০) নামের এক নারী আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮। রোববার সন্ধ্যায় র্যাব-৮ এর সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কামার হাওলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার চানমিয়া শরিফের মেয়ে।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত স্বপ্না শরিফ প্রতারণার উদ্দেশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিয়ে করে কিছুদিন পরে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনি অর্ধ ডজন বিয়ে করেছেন।
এছাড়া ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর স্বপ্না ও তার সহযোগীরা ভুয়া র্যাব পরিচয় দিয়ে টাঙ্গাইলের বোয়ালি মাদ্রাসার ছাত্র নাজমুলকে (২৪) গ্রেফতারের নাটক সাজায়। সেই ঘটনায় ভিকটিম নাজমুলের বাবা মো. দলিল উদ্দীন টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্ত স্বপ্না গা ঢাকা দিলে আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে র্যাব -৮ রোববার সন্ধ্যায় গলাচিপা থানায় সোপর্দ করে।
৩ বছর ধরে নিখোঁজ সৌদি প্রবাসী মায়ের খোঁজ চান শ্যামা
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকে এক নারী শ্রমিক সৌদি আরবে গিয়ে গত তিন বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হওয়া ডলি বেগমের (৩৬) খোঁজ পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা-মা ও সন্তান। তিনি উপজেলার গণমানপুরুরা গ্রামের মো: দুলাল মিয়ার মেয়ে।
সরেজমিনে সোমবার তার বাড়িতে নিখোঁজের মা জোৎস্না আখতার জানায়, আজ থেকে ১৫ বছর আগে ডলিকে বরিশালের আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের বছরখানেক যেতে না যেতেই ডলির স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। তখন সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সেখান থেকে ডলির আশ্রয় মিলে বাবার বাড়ি হোসেনপুরে।
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এক আদম ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আজ থেকে ১১ বছর আগে গৃহ পরিচারিকা ভিসায় সৌদি আরবে যায় ডলি। সেখানে যাওয়ার আট বছর যাবত প্রতিদিনই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ির সাথে যোগাযোগ ছিল এবং প্রতি মাসেই মা-বাবা ও মেয়ের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাঠাতো।
কিন্তু গত তিন বছর ধরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে ডলির।
জন্মের আগেই বাবাকে হারানো ডলির রেখে যাওয়া মেয়ে শ্যামা আক্তার (১৪) মায়ের সাথে যোগাযোগ নেই। প্রতি নিয়তই নিরব কান্নায় তার চোখের জল শুকাচ্ছে। এখন সে স্থানীয় লুলিকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
নিখোঁজ ডলির বাবা দুলাল মিয়া (৮০) ও মাতা জোৎস্না বেগম (৭০) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।