প্রবাসীদের স্ত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এইডস ভাইরাস!
প্রবাসীদের স্ত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এইডস ভাইরাস! - ছবি : সংগ্রহ
বাংলাদেশের প্রান্তিক বিভাগ সিলেট অঞ্চলে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরে নতুন করে ৪৯ জন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী ও তাদের স্বজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, প্রবাসে থাকাকালীন ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকা ও বিদেশ যাওয়ার আগে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত কাউন্সিলিং না হওয়ায় এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। দেশে আসার পর তাদের কাছ থেকে স্ত্রীদের মধ্যেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
সিলেট বিভাগে এইচআইভি আক্রান্তদের নিয়ে বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টার কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠান দুটির তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত বিভাগে ৯৫১ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৫০১ জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত সেবা নিচ্ছেন।
২০১৮ সালের নভেম্বরে বিভাগে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৩৬ জন।
এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রম (পিএমটিসিটি) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেন জানান, ২০১৩ সালে সিলেটে এআরটি সেন্টার কাজ শুরু করে। এরপর থেকে এইডস রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা থেকে শিশুর শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় ওসমানী এবং মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এ পর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের সেবার আওতায় ৫৬ জন এইচআইভি আক্রান্ত মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, ‘এইচআইভি আক্রান্ত মানুষদের সেবা দিতে চিকিৎসকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এসব মানুষকে সেবা দিয়ে আমাদের চিকিৎসকরা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সিলেট বিভাগের রোগীরা সারা বছর এ হাসপাতাল থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধসহ অন্যান্য সেবা নিয়ে থাকেন।’
সূত্র : ইউএনবি
সৌদি কর্তৃপক্ষ নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেবে : সচিব
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের দেশে কর্মরত বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭ অক্টোবর রিয়াদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সৌদি শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে তৃতীয় জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- নারী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এ সংক্রান্ত আইটি প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট কর্মী, দুই দেশের রিক্রটিং এজেন্সি ও নিয়োগকর্তার পূর্ণ ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য যুক্ত করা হবে, যে কর্মীরা কাজ ত্যাগ করেছেন তাদের পুলিশ পুনরায় নিয়োগকর্তার কাছে হস্তান্তর করবে না এবং কর্মী যত দিন কর্মরত থাকবেন তত দিন তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ ও সৌদি রিক্রটিং এজেন্সি বহন করবে।
গত চার বছরে ৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন এবং তারা সৌদি নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
২০১৮ সালে প্রায় ১ হাজার ৫০০ নারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন সেন্টার।
সূত্র : ইউএনবি