ভারতীয় অর্থনীতিতে ধাক্কা : ব্যর্থতা কোথায়?

নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগ্রহ
ভারতের অর্থনীতির দুরবস্থা আর লুকিয়ে রাখা গেল না। মোদির দ্বিতীয়বারের সরকার ক্ষমতায় বসার পর দ্বিতীয়বারের ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯) রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। এবারও জিডিপি আরো অর্ধশতাংশ কম। গত কোয়ার্টারে ছিল ৫ শতাংশ, সেই জিডিপি এবার হয়েছে আরো কম ৪.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এটা আগের তিন মাসের চেয়েও আরো কম। গত ২০১৬ সাল থেকে লুকিয়ে রেখে আড়াল করে না হলে, গণনার ভিত্তিবছর বদলানো বা অন্য কোনো ছলে আড়ালে দিয়ে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান নিয়ে যে খেলা করে আসছিল মোদি সরকার সেসব এবার আর অস্বীকার করার বা লুকিয়ে ফেলে পালাবার সুযোগ অনেক কিছুই আর থাকল না। তবে শেষে এসে এখন তর্কটা যেখানে ঠেকেছে তা হলো, জিডিপি ৪.৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে, সেটা তো লুকানোর নেই। তাই এখন বিরোধীদের সাথে তর্কের পয়েন্ট হলো, অর্থনীতি ধীরগতি বা শ্লথগতির এটা স্বীকার করে নিয়েও মোদির অর্থমন্ত্রী গলাবাজির পয়েন্ট হলো এটা অর্থনৈতিক ‘মন্দা’ নয়। পার্লামেন্টে এই তর্কই চলছে এখন।
রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে কাজের মূল কথাটা হলো মনিটরিং। উৎপাদনের সামগ্রিক এবং ঘুঁটিনাটিতেও তথ্য-পরিসংখ্যানে অর্থনীতি কমল না বাড়ল এটা যেকোনো রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নিয়মিত চোখে চোখ রাখা হয়। এই চোখ রাখা বা মনিটরিং ডাটা সংগ্রহের ব্যাপারটার একালের স্ট্যান্ডার্ড হলো প্রতি বছর এটা চারবার মানে প্রতি তিন মাস শেষের ডাটা সংগ্রহ করে পুরো হিসাবনিকাশ প্রক্রিয়া শেষ করা হয় একবার করে- এভাবে বছরে চারবার বা চার কোয়ার্টারে। আর প্রতি বছর এই চারবারের গড়টাই আবার বছরের জিডিপির মান বলে প্রকাশিত হয়। গতকাল ২৯ নভেম্বর ভারতের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বা কোয়ার্টারের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯) জিডিপির হিসাব প্রকাশিত হয়েছে। সেকেন্ড কোয়ার্টারের জিডিপি ৪.৫ শতাংশ। কিন্তু এর তাৎপর্য কী?
প্রথমত, বাইরে প্রকাশ্যে যা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এই অর্থে, কথাটা হলো, এক বিরাট ধরনের হতাশা ছেয়ে বসেছে সর্বত্র। ইংরেজি দ্যা প্রিন্ট পত্রিকা থেকে টুকে আনা কিছু তথ্য দেখা যাচ্ছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯ এই কোয়ার্টারে ম্যানুফ্যাকচারিং কমেছে ১ শতাংশ, কৃষিতে বেড়েছে মাত্র আড়াই শতাংশ, স্থাপনা-কাঠামো ৩.৩ শতাংশ ও বিদ্যুৎ বেড়েছে ২.১ শতাংশ, ইত্যাদি।
এসব আবার অবশ্যই হঠাৎ করে ঘটে না। কারখানা উৎপাদনের মধ্যে গত তিন মাস ধরে প্রাইভেটকার কোম্পানির অবিক্রীত গাড়ির তথ্য ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছিল বানের জলের মতো। অবিক্রীত গাড়ির সংখ্যা সেখানে দেখিয়েছিল বছরের উৎপাদিত ৪৫ শতাংশ গাড়িই অবিক্রীত।
আসলে ভারতের জিডিপির পরিসংখ্যান হিসাবে এর ধারাবাহিক পতনের শুরু হতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে। মানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ কোয়ার্টার জানুয়ারি-মার্চে থেকে, সেবারই ছিল শেষ উঁচা জিডিপি ৮.১ শতাংশ। এর পর থেকে গত দেড় বছর ধরে চলছে টানাভাবে ওই শেষ উঁচু জিডিপি-ই পতনের কাল। এটাই ধারাবাহিকভাবে প্রতি কোয়ার্টারে কমতে কমতে এসে এবার হয়েছে সাড়ে চার শতাংশ। এর আগের কোয়ার্টারে (এপ্রিল-জুন ২০১৯) ভারতের জিডিপি ছিল ৫ শতাংশ।
জিডিপিকে আবার উপমহাদেশের ভিত্তিতে ভাগ করে দেখে এর ভিন্ন কিছু তাৎপর্য বুঝা যেতে পারে। যেমন, এখানে বলে রাখা যায়, এশিয়ান জিডিপি হিসাবে সাড়ে চার শতাংশ হওয়ার অর্থ এটা খারাপ জোনের মধ্যে পড়ে যাওয়া মনে করা হয়। সে হিসাবে পাঁচ বা এর বেশিকে শতাংশকে ভালো জিডিপির শুরু মনে করা হয়। তুলনায় ইউরোপ-আমেরিকায় চার শতাংশ জিডিপি হয়ে যাওয়া মানে এটা খুবই ভালো উন্নতি। সাধারণত ইউরোপ-আমেরিকা এক-দুই শতাংশের জিডিপিতে আটকে থাকে। মূল কারণ পুরনো কলোনি মালিক রাষ্ট্রের অর্থনীতি বা উন্নত অর্থনীতির আমেরিকা বলতে এরা আসলে সম্পৃক্ত বা স্যাচুরেটেড অর্থনীতি বলে, তাই এটা যা আছে তাতে টিকে থাকতে পারা সেটাকেই অনেক সাফল্য মনে করা হয়।
তুলনায় এশিয়ান যেকোনো অর্থনীতি মানেই ওর অর্থনীতি থেকে উদ্বৃত্ত-পুঁজি কয়েক শত বছর ধরে পাচার হয়েই চলে গেছে, এমন অর্থনীতি। এ কারণে একালে স্বাধীন হওয়া দেশে অবকাঠামো ও উৎপাদনের ব্যাপক পিছিয়ে থাকা ঘাটতি মেটাতে বিদেশি পুঁজি ধারে নিয়ে তা সুদসহ ফেরত দিয়েও এসব রাষ্ট্রের অনেক আগানো পটেনশিয়াল থাকে। এরই থ্রেসহোল্ড জিডিপি মানে ন্যূনতম পা-রাখার জায়গা হলো ৫ শতাংশ জিডিপি। যোগ্য নেতৃত্ব পেলে এরা এর চেয়েও অনেক উপরে উঠতে পারে। কিন্তু এসব দেশের জিডিপিকে ন্যূনতম আট শতাংশের উপরে না নিতে পারলে বিরাট পরিবর্তনের স্বপ্ন আশা করা, স্বপ্ন দেখা অবান্তর। আবার ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে যেমন চীন, ১৯৯০-২০০৭ এই সময়কালে অনেক বারই ডাবল ডিজিট বা ১৩.৬ শতাংশ পর্যন্ত নিজের জিডিপি উঠিয়েছিল।
আবার ওদিকে আরেক ফেনোমেনা দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে বাইরে থাকা হাত ঢুকিয়ে দেয়া, বিভিন্ন দেশে অনেক বেশি হতে দেখা যাচ্ছে। এতে আজকাল তথ্য-পরিসংখ্যান সাজিয়ে-বানিয়ে নেয়া হচ্ছে অনেক বেশি। অনেকের দাবি এর মূল কারণ হলো, ভোট বা পপুলার রাজনীতি। মানে এই প্রবক্তারা বলতে চায় রাজনীতিতে ‘পপুলারিটি’ বা ভোটের রাজনীতি আজকাল এতই প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে- অর্থাৎ এরা বলতে চাচ্ছে আগে এটা এত বড় বিষয় ছিল না। এই প্রবক্তারা যেন বলতে চায়, আগে পাবলিক অনেক রয়েসয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত নিতো। আর এখন হয়েছে উলটো। সত্যই, খারাপ পারফরম্যান্স বা খারাপ অর্থনীতিতেও তথ্য ঠিকঠাক লুকিয়ে রেখে অনেক শাসক অনেকদূর তথ্য আড়াল করে কাটিয়ে দিতে পারে ও পারতে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য আমাদের নিজের দেশে ভোট না হলেও এখানে পপুলারিটি মানে মিথ্যা যেকোনো কিছু পরিসংখ্যান দাবি করার সুযোগ কত বেশি- সেটাই বুঝানো হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের মতোই ভারতেও তথ্য-পরিসংখ্যান লুকানোর একটা ভালো উপায় হলো, গণনার ভিত্তিবছর বদলে দেয়া।
অর্থনীতির পরিসংখ্যান গণনা প্রক্রিয়ায় বিরাট অংশটাই তুলনামূলকভাবে বলা হয় এমন ভাষ্য। অর্থাৎ কোনো কথা বলার সময় তাতে কোনো একটা বছরকে ভিত্তি বছর ধরে এর ধারণা তৈরি করে কথা বলা হয়। কিন্তু এখনকার প্রবল প্রচলন হলো ভিত্তি বছর কিভাবে কোন বছরকে ধরলে আমার আমলের পরিসংখ্যানগুলো বেশি দেখাবে, ঔজ্জ্বল্য হয়ে উঠবে সেভাবে ভিত্তি বছর বদলে নেয়া হচ্ছে। এটা আমাদের দেশে হচ্ছে, মনমোহনের আমলে অভিযোগ ছিল, মোদির আমলে সে অভিযোগ আরো বেশি।
সে যাই হোক, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদিকে অর্থনীতিতে প্রথম নেতি প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয় ‘ডিমনিটাইজেশন’ নিয়ে। মানে প্রচলিত ভাষায় যাকে মোদির পাঁচশ ও হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা বলা হয়। এটা ছিল অর্থনীতিতে নেতি প্রতিক্রিয়া-পরিস্থিতিকে যেন মোদি নিজেই ডেকে নিয়েছিলেন। যেন বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ধরে ফেলতে পারবেন, আর তাতে একক হাতে বিরাট ছক্কা মেরে দেবেনই, এই মিথ্যা লোভে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে অর্থনীতিতে বিরাট ইতি ফলাফল এসেছিল কিনা বা লাভালাভ এসেছিল কি না বা অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল ইত্যাদি এমন কোনো কিছু কি না? জবাব হলো- না, এমন কোনো কিছুই আসেনি, এমন কোনো কিছু মোদির কপালে জোটেনি। উলটো ভারতের অর্থনীতি প্রবলভাবে ধাক্কা খেয়েছিল। সেই থেকে মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর কখনো তার কোনো অর্থনৈতিক সাফল্য আছে এ কথা বলতে পাবলিকলি সামনে যায়নি।
‘ইনফরমাল সেক্টর’ বলে একটা কথা আছে। অনেক ঝকমারি কথা মনে হলেও আসলে তা নয়। ফরমাল সেক্টর অর্থ, একটা গ্রামে যদি একটা গাড়ির কারখানা বসিয়ে ৬০০ লোককে কারখানার ভেতরে শ্রমিক হিসেবে নেয়া যায় তবে ওই এলাকায় একজন শ্রমিক পিছু ছয়টি করে মোটামুটি প্রায় আরো ছত্রিশ শত লোকে বিভিন্ন কাজ পাবে, এটা ধরা হয়। এতে ৬০০ জনের ফরমাল চাকরি হলে, মানে পরিকল্পিতভাবে কাজ সৃষ্টি করলে এতে আরো অপরিকল্পিত বাকিরা (ছত্রিশ শত) ইনফরমাল শ্রমিক হিসেবে কাজ পাবে। এদের মধ্যে বাদামভাজা বেচা অথবা শ্রমিকদের ভাত রান্নার লোক, কিংবা চা দোকানি, সবজি বা মুদি দোকানি বা হকার ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার লোক হবে।
মোদির ডিমনিটাইজেশনের ঘোষণায় সয়লাব করা কাজ হারিয়ে ‘বলি’ হয়ে গিয়েছিল ভারতের এই ইনফরমাল সেক্টর। ভারতের শিল্পে অগ্রসর রাজ্য বলতে মুম্বাই, গুজরাটকে ধরা হয়। এ কথার আরেক প্রমাণ হলো, এখানের নিম্ন মধ্যবিত্তের হাতে ২০১৬ সালের আগে আয়-ইনকাম ভালো হওয়াতে কিছু বাড়তি সঞ্চয়ও আসত। আর তা আসত বলেই সেই সূত্রে কলকাতার স্বর্ণকারেরা প্রতি ওস্তাদ সাথে তার ছয় সগরেদকে নিয়ে মুম্বাই বা গুজরাটে সেখানে দোকান দিয়ে বসতে দেখা যেত। স্বর্ণকার ওস্তাদ-সাগরেদেরা নিয়মিত কলকাতায় পরিবারে টাকা পাঠাতে পারত। মানে সব পক্ষেরই আয়-ইনকাম ভালো চলছিল। কিন্তু সবই ডুবে গিয়েছিল ‘ডিমনিটাইজেশনে’। কারণ সবারই আয়-ইনকাম এলোমেলো হয়ে যায়। বিশেষ করে বাড়তি কাজ বা আয়ের সুযোগ যেখানে ছিল সেখানে সব, সবার আগে ছেঁটে পড়েছিল। তাই ওস্তাদ-সাগরেদেরা সবকিছু গুটিয়ে কলকাতায় ফিরে যেতে হয়। অর্থাৎ ফরমাল কাজ দিতে পারে অর্থনীতি ডিমনিটাইজেশন করে ইনফরমাল কাজ-চাকরিটাও খেয়ে ফেলেছিল।
ভারতের অর্থনীতির এক মূল সমস্যা হলো, এখানে ফরমাল সেক্টরে যে কাজ পেল পরের ছয় প্রজন্মের সন্তানও হয়তো আর ফরমাল চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। কষ্ট করে একটা টার্ম অর্থনীতি ভালো চললেও পরেরবার এটা শেষ, ঢলে পড়বেই। মনমোহনের আমলে তাই হয়েছিল। দ্বিতীয়বার কংগ্রেস-জোট আবার জেতার পর অর্থনীতির সব শেষ। আবার মোদি প্রথমবারই দু’বছর পরে (২০১৬) খারাপ দিন চলে এসেছিল। আর এখন তো খারাপ দিন শুরু হয়ে গেল সম্ভবত।
এদিকে, গতকালই মনমোহন সিং এক বিরাট বাণী দিয়েছেন মোদিকে। সেটা ঠিক বিরোধী রাজনীতিকের বক্তব্য নয়, যেন পেশাদার অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরামর্শ, এমন মানে দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার এক পরামর্শ দলিল। না অবশ্যই, সব সমস্যার ধনন্বরি সমাধান মনমোহন বা তার কংগ্রেস দলের কাছে এখন আছে অথবা তাদের আমলেও হাতে ছিল ব্যাপারটা তা একেবারেই নয়। বরং মনমোহনের দ্বিতীয় টার্মের যে অর্থনৈতিক ধস নেমেছিল, দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো সমাধান সে সময় মনমোহনের হাতেও ছিল না। কেবল মোদি তখন উলটো মনমোহনের বদলে তিনিই পারবেন কারণ গুজরাট চালানোর অভিজ্ঞতা তার আছে এই ভুয়া আশ্বাস তৈরি করে তিনি পরে ক্ষমতায় জিতে আসতে মনমোহনের সেই ব্যর্থতাকে পুঁজি করতে পেরেছিলেন কেবল।
গতকালের মনমোহনের সেই লিখিত বক্তৃতার সার কথাটার একটা শিরোনাম হলো ‘ভয়ের রাজত্ব’। মনমোহন আসলে অভিযোগ তুলে বলছেন যে, মোদি এখন ভারতে এক ‘ভয়ের রাজত্ব’ সৃষ্টি করে রেখেছেন। অনুবাদ করা সেই দু’লাইন হলো এরকম :
‘উল্লেখযোগ্য ভয় ও অবিশ্বাস আছে অর্থনীতিতে নানান অংশগ্রহণকারীদের মনে। রাষ্ট্রের থেকে তুলনামূলক স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন, গণমাধ্যম, বিচারব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষগুলো, তদন্ত-গোয়েন্দা দফতরগুলো ইত্যাদি। এদের ওপর জনআস্থার সবকিছু ক্ষয়ে গেছে। আমাদের সমাজের এক গভীর অনাস্থা, চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা ভয় ও অসহায়ত্ববোধ -এসবের বিষাক্ত মিশ্রণে আমাদের অর্থনৈতিক তৎপরতার দমবন্ধ হয়ে আসছে, আর তা থেকেই অর্থনৈতিক উন্নতিও।’
অর্থাৎ মূলত এক পলিটিকো গভীর অভিযোগ তুলে মনমোহন মোদিকে ভালো বিধিঁয়েছেন।
কিন্তু তবু সেটা আসল কথা নয়। কারণ, আগামী আরো চার বছর তাহলে মোদি-আরএসএস নির্বাচন করবে কীভাবে, কী হাতে নিয়ে? আরো বেশি করে হিন্দুত্ববাদ- মানে এনআরসি, সিটিজেনশিপ, গরু বা লিঞ্চিং ইত্যাদির তাণ্ডব দিয়ে! তাই কি?
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com