গর্ভবতী অব্স্থায় বিয়ের পর অস্বীকার! এই সন্তান নিয়ে কোথায় যাবেন তিনি
গর্ভবতী অব্স্থায় বিয়ের পর অস্বীকার! এই সন্তান নিয়ে কোথায় যাবেন তিনি - ছবি : সংগ্রহ
কোলে কন্যা সন্তান নিয়ে অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন মাছুরা খাতুন নামের এক অসহায় মা। বিয়ের পর স্বামীর ঘরে স্থান পেলেও ১৫ দিনের মাথায় গর্ভবতী মাছুরা খাতুন স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে বাবার বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। এখন মাছুরা খাতুন তার কন্যা সন্তান নিয়ে অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন। এলাকার মোড়ল মাতুব্বরদের কাছেও বিচার পাননি মাছুরা খাতুন।
এলাকাবাসী জানান, ৮ মাস পূর্বে মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে উজ্জল হোসেনের সাথে প্রতিবেশী সলেমান সদ্দারের শিশু কন্যা মাছুরা খাতুনের (১৪) ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহরের মাধ্যমে বিয়ে দেন এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ মেম্বারসহ এলাকার মোড়ল মাতুব্বররা।
কিন্তু বিয়ের ১৫ দিন পার না হতেই স্বামী উজ্জল ও তার মা সালেহা খাতুর গর্ভবতী বৌমা মাছুরা খাতুনকে পিটিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর পর থেকে তারা আর গর্ভবতী মাছুরা খাতুনের খোজ খবর নেন না।
মাছুরা খাতুন জানান, এক বছর পূর্বে আমার সাথে প্রতিবেশী উজ্জল হোসেনের সম্পর্ক হয়। উজ্জলের সাথে দৈহিক সম্পর্কের কারণে আমি যখন ৫ মাসের গর্ভবতী হয়েপড়ি। এঘটনায় গ্রামের এক শালিসে আমার স্বামী উজ্জল সম্পর্কের ঘটনা স্বীকার করে। তখন আমাকে এলাকার মেম্বার ও মোড়ল মাতুব্বররা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহরের মাধ্যমে উজ্জলের সাথে আমার বিয়ে দেন। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় আমাকে মারপিট করে তাদের বাড়ীথেকে বের করে দেয়।
পরে আমি আমার গরিব অসহায় বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। দুই মাস হলো আমার সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে। কিন্তু আমার স্বামীসহ কেউ আজ পর্যন্ত আসেনি। এমনকি কোনো খোঁজখবর পর্যন্ত নেইনি।
এব্যাপারে উজ্জল হোসেনের বাড়িতে গেলে উজ্জল বা তার বাবা মমিনুর রহমারকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। উজ্জলের মা সালেহা খাতুন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
ইউপি সদস্য ও এলাকার মোড়ল আব্দুল আজিজ মেম্বার জানান, আমি শুনেছি উজ্জল তার বাচ্চার জন্য জামা কাপড় কিনে পাঠিয়েছে। আর কী হয়েছে তা আমার জানা নেই।
কালিয়াকৈরে সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হত্যার আড়াই মাস পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ফরিদা বেগম পাবনার আতাইকুলা থানার শ্রীপুর গ্রামের মুনসুর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
বুধবার সকালে উপজেলার চান্দরা খাজারড্যাগ এলাকার মৃত আতাবউদ্দিন দেওয়ানের বাগানবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ফরিদা বেগম (৩৫) নামে ওই গৃহবধূর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মুনসুর আলী (৫৫), তার প্রথম স্ত্রী রেখা বেগম (৩৮), ছেলে স্বপন মিয়া (২০) এবং বাগানবাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা বেগমকে (খুদি) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, মনসুর পেশায় চান্দরা খাজারড্যাগ এলাকার মৃত: আতাবউদ্দিন দেওয়ানের বাগানবাড়ীর কেয়ারটেকার। আড়াই মাস আগে মুনসুর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখে- স্ত্রী অন্যের সাথে পালিয়ে গেছে বলে অপপ্রচার চালায়।