পাকিস্তান সীমান্তে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ভারতের
পাকিস্তান সীমান্তে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ভারতের - ছবি : সংগৃহীত
কয়েক বছরের নানা জটিলতার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী অবশেষে পাকিস্তান সীমান্তে (এলওসি) স্বনিয়ন্ত্রিত স্পাইক ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (এটিজিএম) মোতায়েন করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জরুরি ভিত্তিতে কেনা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারতে সরবরাহ করা হয়েছে।
পরিচয় প্রকাশ না করেই এক সেনা কর্মকর্তা জানান, শতাধিক তৃতীয় প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। এগুলো শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত জুলাই মাসে ইসরাইলের রাফাল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমসের কাছে ২৪০টি স্পাইস ও ১২টি লঞ্চারের অর্ডার দিয়েছিল। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কাছে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না। তারা ২০ বছরের মধ্যে অন্তত ৪০ হাজার ট্যাঙ্কবিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছে। ভবিষ্যতে মোতায়েনের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশীয়ভাবে তৈরি মানুষের বহনযোগ্য এটিজিএমের ওপর নির্ভর করবে। চলতি বছরের প্রথম দিকেই এগুলো পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বিশেষ জরুরি ব্যবস্থার আলোকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধানকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ৭১.৮ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার অনুমতি দেয়া আছে। তিনি এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে চলতি বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনাকর অবস্থায় নিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যবস্থা করেন।
ভারতের মানুষে বহনযোগ্য এটিজিএম হলো তৃতীয় প্রজন্মের ট্যাঙ্কবিধ্বংসী নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো উচ্চ মাত্রায় ট্যাঙ্কবিধ্বংস গোলা বহন করার উপযুক্ত। এমপিএটিজিএম আক্রমণের সক্ষমতা বাড়ায়। এগুলোর পাল্লা ২.৫ কিলোমিটার।
ভারত গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।
আল-মাসদার নিউজ
রুশ এস-৪০০ এর পরীক্ষা তুরস্কের
ডন
যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হুমকি উপেক্ষা করেই তুরস্ক সোমবার তার রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির পরীক্ষা শুরু করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ত্যাগ করার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অবরোধেরও হুমকি দিয়ে আসছে।
সোমবার তুর্কি অপারেটরদের প্রশিক্ষণ এবং নতুন আমদানিকৃত রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য আংকারার মার্টেড সামরিক ঘাঁটির চারপাশে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানসহ অন্যান্য বিমান মহড়া দেয়। গত জুলাইয়ে তুরস্কের এস-৪০০ অর্জন ন্যাটো জোটের অন্য দেশগুলোর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা ন্যাটো চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ ছাড়া এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তুরস্কের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এস-৪০০ কেনায় এখন পর্যন্ত তুরস্কের ওপর কোনো অবরোধ আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সিস্টেমটি সক্রিয় না করলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এড়ানো যেতে পারে।