গ্রিস-ইসরাইল মোকাবিলায় তুরস্ক-পাকিস্তান সামরিক জোট!
গ্রিস-ইসরাইল মোকাবিলায় তুরস্ক-পাকিস্তান সামরিক জোট! - ছবি : সংগৃহীত
চলতি সপ্তাহে গ্রিসের আঞ্চলিক পানিসীমার মধ্যে তুরস্কের সামরিক মহড়ায় পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে (গত কয়েক দিনের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়) ইসরাইল ও মিসরের সাথে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের মগড়ায় পাকিস্তান নৌবাহিনীর অলিভার হ্যাজার্ড পেরি-শ্রেণির ফ্রিগেট আলমগীর অংশ নেয়। এতে কাসতেলোরিজো ও উত্তর রোডসে গ্রিসের আঞ্চলিক পানিসীমা লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এর এক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর পি-৩ বিমান এজিয়ান ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় অনুষ্ঠিত ডোগু আকদেনিজ মহড়ায় অংশ নেয়। এখানেও কাসতেলোরিজো ও রো’র ওপর দিয়ে গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। অ্যাথেন্স এর বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের কাছে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে।
গ্রিসের প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো পাকিস্তানের লঙ্ঘনকে তুরস্কের এই প্রয়াসের প্রমাণ বিবেচনা করে যে সে এই অঞ্চলে নিঃসঙ্গ শক্তি নয়।
আঙ্কারা ও ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তান উপকূলের ভারত মহাসাগরে দ্বিপক্ষীয় মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এপর তা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় চলে যায়।
পাকিস্তানের ফ্রিগেটটি মেডেটেরিয়ান শিল্প নামে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় তুর্কি মহড়ায় অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখানে তুর্কি নৌবাহিনী তার শক্তি প্রদর্শন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে অন্যান্য আঞ্চলিক দেশের পাশাপাশি ইসরাইলের সাথেও সহযোগিতা বাড়াচ্ছে গ্রিস। গ্রিস ও ইসরাইল নিরিস কোড নামে একটি সামরিক মহড়ায় সহযোগিতা করছে। এতে ইসরাইলি নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র নৌকা ও এর বিশেষ বাহিনীর একটি ইউনিট অংশ নেয়। এই মহড়ার পর গ্রিক ও ইসরাইলি বাহিনী একটি যৌথ মহড়ায় অংশ নেয়। এর কোড নাম হয় মিনোটর অফ ক্রিট।
এদিকে তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী ফাতিহ দোনমেজ শুক্রবার বলেছেন যে তার দেশ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে চতুর্থ ড্রিল করা শুরু করেছে। সাইপ্রাসের বিদ্যুৎ যোগানদাতা হিসেবে আঙ্কারা বিভক্ত দ্বীপে তুর্কি সিপ্রিয়টের অধিকার রক্ষা করবে। তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে চতুর্থ ড্রিলের কাজ চালাচ্ছি। আমরা হাইড্রোকার্বন না পাওয়া পর্যন্ত ড্রিল অব্যাহত রাখব।
ইকাতিমেরিনি.কম
অস্থিরতায় ইন্ধন জোগালে ভয়াবহ পরিণতি : ইরান
রয়টার্স
ইরানের সাম্প্রতিক অস্থিরতায় মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইন্ধন জুগিয়েছে বলে প্রমাণ হলে তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি। শনিবার তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের কিছু দেশের জানা উচিত যে, যদি এমন কোনো সূত্র মেলে যেখানে তাদের মাধ্যমে ইরানে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে বোঝা যায়, তাহলে তারা সহজে বাঁচতে পারবে না। পেট্রলের দাম বৃদ্ধির জেরে দেখা দেয়া প্রাণঘাতী এ সহিংসতা উসকে দেয়ার জন্য তেহরান এর আগে ইরানের নির্বাসিত বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইসরাইলের মতো ‘বিদেশী শত্রু সংশ্লিষ্ট দুর্বৃত্ত’দের দায়ী করেছিল ।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরানের অর্থনীতি ধসিয়ে দিতে দেশটির ওপর আরোপিত পুরনো নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করে ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটনের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়ে আসছে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইসরাইল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনেও এই দেশ দুটির হাত আছে বলে ধারণা তেহরানের। জাহাঙ্গিরির বক্তব্যে দেয়া হুঁশিয়ারিও মূলত তাদেরই প্রতি ।
ইরানের সরকার পেট্রলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিলে নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুরুর দিকে বিক্ষোভ কয়েকটি এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে শতাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কারমেনশাহতেই অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি