ভয়ঙ্কর কামান কিনছে ভারত
ভয়ঙ্কর কামান কিনছে ভারত - ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র বুধবার প্রায় ১.০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যে গোলাবারুদ ও প্রাসঙ্গিক সরঞ্জামসহ ১৩টি এমকে ৪৫ অ্যান্টি-সারভেস ও অ্যান্টি এয়ার কামান ব্যবস্থা বিক্রির ছাড়পত্র দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের সহযোগী ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, এই বিক্রি প্রস্তাব কৌশলগত আঞ্চলিক অংশীদারের নিরাপত্তা জোরদার করায় তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সমর্থন করে।
মার্কিন কংগ্রেসকে মঙ্গলবার প্রস্তাবিত বিক্রির ব্যাপারটি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে ডিএসসিএ আরো জানায়, প্রস্তাবিত বিক্রিটি শত্রুর অস্ত্রব্যবস্থা মোকাবিলায় ভারতের বর্তমান চাহিদা পূরণ করবে, ভবিষ্যতের হুমকির বিরুদ্ধে ভারতের সামর্থ্য বাড়াবে।
ডিএসসিএ জানায়, এমকে-৪৫ গান সিস্টেমটি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অন্যান্য মিত্রের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপারি অ্যান্টি-সারভেস যুদ্ধ ও অ্যান্টি-এয়ার প্রতিরক্ষা মিশনের সামর্থ বাড়াবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই কামানটি তৈরী করেছে বিএই সিস্টেমস ল্যান্ড। কবে নাগাদ তা ভারতে সরবরাহ করা হবে সে তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনী ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ডেনমার্কের নৌবাহিনীতে এই কামান রয়েছে। এর পাল্লা ২০ নটিক্যাল মাইল (৩৬ কিলোমিটার)।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন ও দিল্লির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হাতের প্রতিরক্ষা ক্রয় বাড়াচ্ছে ভারত।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ২০০৮ সালে যেখানে ছিল শূন্য, সেখান থেকে ২০১৮ সালে দাঁড়ায় ১৫ বিলিয়ন ডলার।
হিন্দুস্তান টাইমস
৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে নেপাল-ভারত তুমুল বিরোধ
ভারত তার ভূ-রাজনৈতিক এলাকা নিয়ে যে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছ, তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী নেপালে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাঠমান্ডু সীমান্তের ৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ওপর দাবি জানিয়েছে, আর ভারত বলেছে, ওই ভূখণ্ড তার।
গত মাসে জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যকে দুই ভাগ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে প্রদর্শন করার জন্য যে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে ভারত, তাতে কালাপানি নামে পরিচিত ওই এলাকাটিকে ভারতের বলে দেখানো হয়েছ।
লিপুলেশ পাস থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালাপানি কৈলাশ-মানসরোবর যাত্রা ও ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের ট্রানজিট রুট।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি ১৭ নভেম্বর বলেন, কালাপানি এলাকা নেপালের এবং ভারতের উচিত সেখান থেকে অবিলম্বে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা।
ওলি বলেন, আমি কোনো দেশকে আমাদের এক ইঞ্চি ভূখণ্ডও দেব না। ভারতকে অবশ্যই এলাকাটি খালি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূখণ্ড থেকে ভারতের প্রত্যাহারের পরই কেবল সংলাপ হতে পারে।
ভারত বলেছে, নতুন মানচিত্রে ভারতের সার্বভৌম এলাকা নিখুঁতভাবে চিত্রিত হয়েছে এবং তারা নেপালের সাথে সীমান্ত পরিবর্তন করেনি।
ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রাভিশ কুমার চলতি মাসের প্রথম দিকে বলেন, নতুন মানচিত্রে নেপালের সাথে আমাদের সীমান্তে কোনো পরিবর্তন দেখানো হয়নি। নেপালের সাথে সীমান্ত আঁকা হয়েছে বিদ্যমান ব্যবস্থার আলোকে।
রাওয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এটি নেপাল সরকারের কাছ থেকে আসা দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য, এটি সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য নয়। কালাপানি ভারতের অখণ্ড অংশ ও তেমনই থাকবে। আমি আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির প্রশমন ঘটবে।
কৈলাশ মানসরোবর রুটে ৩,৬০০ মিটার উঁচুতে কালাপানির অবস্থান। এটি ভারতের উত্তরাখন্ড ও নেপালের সুদুরপশ্চিম প্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত। ১৯৬২ সাল থেকে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এখানে মোতায়েন রয়েছে।
নেপাল ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে ১৮১৬ সালের সুইগুলি চুক্তির অধীনে মহা কালি নদীকে ভারতের সাথে নেপালের পশ্চিম সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়।
চুক্তিটিতে পর্বতরেখার কথা উল্লেখ নেই। আর ব্রিটিশ জরিপকারীরা এরপর যেসব মানচিত্র প্রকাশ করেন তাতে নদীটির উৎস একেক সময় একেক রকম দেখানো হয়েছে।
নেপাল দাবি করছে যে ভূখণ্ডটির পশ্চিম দিকে থাকা স্থানে থাকা নদীটি প্রধান মহা কালি নদী। এ কারণে এটি নেপালের মধ্যে পড়ে। ভারত দাবি করছে, কালাপানি ভূখণ্ডের পূর্ব দিকে থাকা পর্বতরেখাটি তার। এ কারণে কালাপানিও তার।
উভয় দেশ তাদের দাবির পক্ষে মানচিত্র তৈরী করছে ওই এলাকাকে নিজের করে দেখিয়ে।
আইএএনএস