গোতাবায়ার পাকিস্তান কানেকশন : অস্বস্তিতে ভারত!
গোতাবায়ার পাকিস্তান কানেকশন : অস্বস্তিতে ভারত! - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের সাথে শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসার সম্পর্ক কেবল চীনের সাথে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মাধ্যমেই নয়, পাকিস্তানের সাথে তার যোগাযোগের মাধ্যমেও পরীক্ষিত হবে।
পাকিস্তানের সাথে শ্রীলঙ্কা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার সময় ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে তরুণ সেনা অফিসার হিসেবে রাজাপাকসাকে অফিসারদের একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। তারপর এলটিটিইর সাথে যুদ্ধের সময় তার ভঅই মহিন্দ ছিলেন প্রেসিডেন্ট, তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ওই সময় শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিল পাকিস্তান সামরিক বাহিনী।
ভারতের মতো পাকিস্তানও রাজাপাকসার জয়ে দ্রুত অভিনন্দন জানিয়েছিল এবং আশা করেছে যে কলম্বোর নতুন পরিস্থিতি পাকিস্তানের ব্যাপারে আগেকার কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্গে কাশ্মির প্রশ্নে ভারতকে সমর্থন করেছিলেন, ২০১৬ সালে ইসলামাবাদ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করেছিলেন। এখন রাজাপাকসার আমলে শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান নীতি কী হয়, তা দেখার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শিগগিরই বিক্রমাসিঙ্গেকেসরিয়ে দেয়া হতে পারে বলে কলম্বো থেকে সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, রনিল বিক্রমাসিঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ। পাকিস্তানের প্রতি তার মনোভাব এখনো শীতল রয়ে গেছে। সাজিথ প্রেমাদাসা নির্বাচনে জয়ী হলে তা হতো পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয়কর। পাকিস্তানের জন্য গোতাবায়ার জয় নিশ্চিতভাবেই ইতিবাচক ঘটনা।
গত দশকে লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলামের (এলটিটিই) সাথে গৃহযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহসহ শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। দি নিউজ অব পাকিস্তানের তথ্যানুযায়ী, ২০০৮ সালের আগস্টে এলটিটিই ঘাঁটিগুলোতে বিমান হামলায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পাইলটেরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিযানে নির্দেশনা দিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কয়েকজন অফিসারকেও কলম্বো পাঠানো হয়েছিল।
ইকোনমিক টাইমস