নবজাতককে কখন গোসল করানো দরকার

ডা: মো: শহীদুল্লাহ | Nov 19, 2019 01:15 pm
নবজাতককে কখন গোসল করানো দরকার

নবজাতককে কখন গোসল করানো দরকার - ছবি : সংগ্রহ

 

নবজাতককে কখন গোসল দেয়া দরকার? জন্মের পরপরই? এক দিন পর, সাতদিন পর? এ নিয়ে মতভেদ বা বিতর্ক আছে। বিতর্ক থাকতেই পারে। কারণ জন্মের পরই শিশুর শরীর ময়লা হয়ে যায় না। ধুলো মাটিতে সে খেলা শুরুই করেনি। তার পোশাকও ময়লা হয়নি। সুতরাং এত শিগগিরই গোসল কেন? আবার জন্মকালীন শিশুর ত্বকে এক ধরনের কাই জাতীয় জিনিস একটু আধটু থাকতে পারে। অতএব গোসলটা একটু তাড়াতাড়িই দিতে হবে, এ কথা বলতে পারেন কেউ কেউ। অনেকে মনে করেন, নাভি থেকে নাড়ি শুকিয়ে খসে না পড়া পর্যন্ত পানিতে গামছা ভিজিয়ে শিশুর শরীর মুছে দেয়াই শ্রেয়। গোসলের প্রয়োজন নেই। আবার অনেকে বলেন, শিশুকে পানিতে ভিজিয়ে গোসল করালেও নাভিতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় না। গোসলের পাত্র ও পানি পরিষ্কার হওয়া চাই।

তবে গোসল দেয়া শুরু করার পর থেকে প্রতিদিনই নিয়মিত গোসল করানো প্রয়োজন পড়ে না। বরং প্রতিদিন গোসল করালে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তবে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে দেয়া ভালো। তা হলে মাথায় খুসকি জাতীয় জিনিস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গোসল করানোর সময় প্রথমে মুখমণ্ডল এবং সবশেষে মাথা ভিজানো উচিত। এতে শিশু তার শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারবে বেশি। গোসলের পর তোয়ালে বা অন্যান্য কাপড় দিয়ে ভালো করে শিশুকে ঢেকে দিতে হবে যেন তার ঠাণ্ডা না লাগে।

সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার জরুরি নয়। সাবানের কাজ ত্বকের তেল, চর্বি বা ময়লাকে আলগা করে দেয়া। তবে কুসুম গরম পানি আর গামছা দিয়েই ভালো করে পরিষ্কার করা সম্ভব। শিশুর ত্বকের পিএইচ ৫.৬ থেকে ৫.৮। পক্ষান্তরে সাবানের পিএইচ ৯ থেকে ১০ এর মধ্যে। ক্ষারধর্মী। তাই সাবান শিশুর ত্বকের কিছু ক্ষতি করতেও পারে। কোন সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে, তা শিশু থেকে শিশুতে ভিন্ন হতে পারে। পরখ করে ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে শরীরের কোনো এক জায়গায় একটু ব্যবহার করে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। যদি কয়েক ঘণ্টা পর ওই স্থানের ত্বকে কোনোরূপ পরিবর্তন না ঘটে, তা হলে ওই সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। সাবান-শ্যাম্পু লাগিয়ে ভীষণ জোরে ঘষাঘষি করা উচিত নয়।

গোসলের আগে তেল বা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু গোসলের পর তেল বা লোশন ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ তেল বা লোশন শিশুর শরীরের ত্বকের ঘর্ম গ্রন্থির ছিদ্রপথ বন্ধ করে দিতে পারে। এতে শরীরে দানা দানা ফুসকুরি বের হতে পারে।
লেখক : বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ,
কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ, ময়মনসিংহ।

Email: drshahidcm@gmail.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us