তাইওয়ান প্রণালীতৈ চীনা রণতরী : টার্গেট কে?

তাইওয়ান প্রণালীতৈ চীনা রণতরী : টার্গেট কে? - ছবি : সংগৃহীত
চীন তাদের দেশীয়ভাবে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী ‘নিয়মিত’ প্রশিক্ষণের জন্য তাইওয়ান প্রণালীতে পাঠিয়েছিল এমন খবর সোমবার বেইজিং নিশ্চিত করেছে।
তাইওয়ান প্রণালীতে বিমানবাহী রণতরী পাঠানো আঞ্চলিক হুমকি বলে তাইপে বেইজিংকে দায়ী করার পর চীন এ কথা জানায়।
সরকারি এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একাউন্টে চীনের নৌবাহিনী মুখপাত্র চেং দিউই বলেন, ‘ এই রণতরী পাঠানোর কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না। তাইওয়ানের সাথে উত্তেজনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেও এটি পাঠানো হয়নি।’
বিক্ষোভ দমাতে হংকংয়ে চীনা সৈন্য মোতায়েন
গার্ডিয়ান
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের চীনবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভাকারীদের অবরোধ করে রাখা রাজপথ খুলে দিতে চীনা সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে আরো উত্তেজনা সৃষ্টি হবে।
একসময়ের ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে, যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। ৯ জুন হংকংয়ে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে একপর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবি। সোমবারের বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির অনেক সেনা সদস্য এখন হংকংয়ে অবস্থান করছে। টিশার্ট ও শর্টস পরে তারা কলুনে নিজেদের ব্যারাক থেকে হংকং বাপ্টিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। সেখানেই বিক্ষোভকারীদের দমনে ব্যারিকেড স্থাপন করেছে পুলিশ।
বিগত পাঁচ মাস ধরে চলা আন্দোলনে বেশ কয়েকবার চীনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। হংকংয়ে পিএলএর’র ১২ হাজার সেনা অবস্থান করছে। শুধু ত্রাণকার্যে কিংবা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে স্থানীয় সরকার চাইলে তারা যুক্ত হওয়ার এখতিয়ার রাখে। বিগত ২২ বছরে রাজপথে শুধু একবারই সেনাবাহিনীকে ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। সেটা গত বছর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।
এবার সেনা মোতায়েনের পর বিক্ষোভকারীরা এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেয়, আজকের শুদ্ধি অভিযান কালকের সরকার পতন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হংকংয়ের প্রতিশ্রুতি স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী এই কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’ হংকং নিজেদের আসল রূপ দেখাতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন সরাসরি যুক্ত হয়ে এই পরিস্থিতিতে আরো ঘোলাটে করার সম্ভাবনা কম। কারণ এতে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠবে এবং চাপ আসবে। তারা হয়তো হংকং পুলিশের পেছনে থেকে তাদের সহায়তা করবে।