মোদির কাছে সাহায্য চাইলেন পাকিস্তানি নেতা!
আলতাফ ও মোদি - ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট নেতা আলতাফ হোসইন তাকে ও তার সহকর্মীদের আশ্রয় ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অনুরোধ করেছেন।
পুলিশ আলতাফ হোসাইনের জামিনের শর্ত শিথিল করার পর প্রথম প্রকাশ্য বক্তৃতায় এমকিউএম নেতা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ফেরেন এবং বিভিন্নভাবে তাকে সাহায্য করার অনুরোধ করেন।
এমকিউএম নেতার বিরুদ্ধে ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসেস (সিপিএস) মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী জুনে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। জামিনের শর্ত হিসেবে তার পাসপোর্ট এখনো ব্রিটিশ পুলিশের কাছে রয়েছে। আদালত অনুমতি না দিলে তাকে কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেয়া হবে না। বিচার শেষ হওয়ার আগেই ভারতে অবস্থান করার অনুমতি দিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে আইনজীবিরা।
অনলাইনে হাজার হাজার লোকের দেখা বক্তৃতাটিতে এমকিউএম নেতা বলেন, তিনি ভারত সফর করতে চান, কারণ তার দাদা সেখানেই কবর দেয়া হয়েছে। এমকিউএম প্রতিষ্ঠাতা ভারত সরকারের কাছে করা অনুরোধে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি তাকে ভারতে আসতে দেন, তাকে ও তার সহকর্মীদের আশ্রয় দেন, তবে তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে ভারতে যেতে প্রস্তুত। কারণ তার দাদার কবর রয়েছে ভারতেই। তিনি বলেন, আমার দাদাকে সেখানে কবর দেয়া হেছ। আমার স্বজনদের কবরও রয়েছে সেখানে। আমি চাই সেখানে তাদের কবর জেয়ারত করতে।
মোদির কাছে আবেদনে আলতাফ হোসাইন বলেন, ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট করাচিতে তার সম্পদ, বাড়ি ও অফিস নিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার যদি তাকে আশ্রয় দিতে না পারে, তবে যেন তাকে সহায়তা করে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ মামলার রায় দেয়ার পরপরই আলতাফ হোসাইন বক্তব্য রাখেন। হোসাইন বলেন, মোদির বর্তমান সরকারের হিন্দু রাজ কায়েমের অধিকার রয়েছে। আর আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ও অন্যান্য ভারতীয় রাজনীতিবিদের যদি ভারতকে ভালো না লাগে, তবে তারা পাকিস্তানে অভিবাসন করতে পারে।
আলতাফ হোসাইন তার বক্তৃতায় বাবরি মসজিদ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন।
এমকিউএম নেতার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের আগস্টে করাচিতে তার সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতার মাধ্যমে পাকিস্তানে সহিংসতায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেয়ার কারণে তার সিনিয়র সহকর্মীদের বেশির ভাগই তাকে ছেড়ে গেছেন। এসব বক্তৃতা করাচির একসময়ের সবচেয়ে পরাক্রান্ত লোকটির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, করাচির মুহাজিদের মধ্যে আলতাফ হোসেনের বিপুল প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। একসময় তাকে করাচির মুকুটহীন সম্রাট বিবেচনা করা হতো। তার মদতে করাচি পুরোপুরি অচল হয়ে গিয়েছিল, সন্ত্রাসের নগরীতে পরিণত হয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই তাকে এখন অসহায় মনে হচ্ছে।
দি নিউজ