রাজনীতিতে কিসের ইঙ্গিত?
হাসিনা ও মোদি - ছবি : সংগ্রহ
বাংলাদেশের রাজনীতি বড় বিচিত্র। এর গতিপ্রকৃতি সব সময় বোঝা যায় না। এ দেশের রাজনীতিতে গত কয়েক দশকের যে ধারাবাহিকতা ছিল এখন আর তা নেই। এ রাজনীতি কোন হিসাব মেনে চলছে না। একটি দীর্ঘ মেয়াদি নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির যে চল এখানে চালু হয়েছে তা অভূতপূর্ব। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে কিংবা ইতিহাসের বইয়ে ভবিষ্যতে এগুলো হয়তো লেখা থাকবে। কিন্তু রাজনীতির এ গতিপ্রকৃতি কোথায় গিয়ে থামবে তা আন্দাজ করা মুশকিল। ২০০৯ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিপুল বিজয় নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়। সেই থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে একই দল দেশ পরিচালনা করছে। নিকট অতীতে এটি এক বিরল রেকর্ড। ২০০৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের রেখে যাওয়া একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন সরকার। মইন-ফখরুদ্দীন সরকার হিসেবে পরিচিত ওই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ। তারপর থেকে অদ্যাবধি তারাই দেশ পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনার আগে এই ভূমিকা উল্লেখ করার মানে হলো ধারাবাহিকতার যৌক্তিকতা তুলে ধরা। অর্থাৎ যে প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে আজ পর্যন্ত তার বিশেষ কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। দেশে-বিদেশে সমালোচনা কিংবা আলোচনা যাই হোক না কেন।
ভারত সফর ও দলে শুদ্ধি অভিযান
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে তার চার দিনের সফর শেষ করেছেন গত ৬ অক্টোবর। ৩ অক্টোবর তিনি দিল্লি যান এবং ৬ অক্টোবর দেশে ফেরেন। এই সফরটি ছিল দু’দেশের মধ্যে অতি উচ্চপর্যায়ের এমন এক সফর যে সম্পর্কে নানান রকম আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এই সফরে কী পেল সে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। এই সফরে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সাত চুক্তির মধ্যে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে প্রধানত: বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে এলপিজি গ্যাস রফতানি, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর, ত্রিপুরার সাবরুম শহরের জন্য ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি উত্তোলনের সুযোগ প্রদান, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে সমুদ্রসীমায় নজরদারির জন্য ভারতকে রাডার স্থাপন করতে দেয়া ইত্যাদি। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে দু’দেশের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণাও করেন এই সফরকালে। সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ভারত বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ককে যুগান্তকারী উল্লেখ করে এর ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অতীব গভীর তা বলাই বাহুল্য। দু’দেশের সম্পর্ক অতীতের দিনগুলোতে কখনো মধুর কখনো শীতল এইভাবেই চলে এসেছে। এর অবশ্য অনেক কারণও রয়েছে। সম্পর্কের এই কেমিস্ট্রির সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো ভারতের বিগ ব্রাদারসুলভ মনোভাব। একটি বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে যে উদার মনোভাব নিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট রাষ্ট্রগুলোর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা প্রয়োজন অতীতে ভারতীয় নেতৃত্ব তা দেখাতে না পারায় সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস সন্দেহ ঢুকেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান এ দেশের মানুষ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, কৃতজ্ঞতা জানায়।
কিন্তু এই রাষ্ট্রটির স্বাধীনভাবে টিকে থাকার প্রশ্নে ভারতের মনোভাব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। আর এ কারণেই ভারতের সাথে যেকোনো ধরণের চুক্তি কিংবা সম্পর্কিত বিষয়াদি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরণের সন্দেহের বাতাবরণ সৃষ্টি করে। এবারের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ এর বিনিময়ে কী পেল? ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সেখানে উদ্বেগ চলছে। সেখানকার প্রধানত : বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী এই নাগরিকপঞ্জির শিকার। বাংলাদেশের অতি নিকটবর্তী হওয়ায় এখানেও উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশ এমনিতেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে। তার ওপর আসামের রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা ৪৭ লাখ মানুষের দুশ্চিন্তা নতুন করে সঙ্কটের পূর্বাভাস দিচ্ছে। এবারের ভারত সফরে বিষয়টি উঠবে বলে আশা করা গিয়েছিল। বাস্তবে এর কিছুই হয়নি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারতের শক্তিশালী ভূমিকা আশা করেছিল বাংলাদেশ। সেখানেও প্রাপ্তিযোগ মেলেনি। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। তিস্তার সে সমস্যার আজো সমাধান হয়নি। উল্টো এবারে ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারের জন্য চুক্তি করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় যৌথ নজরদারির জন্য রাডার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। ফলে এসব চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অর্জন কতটুকু হলো তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী ভারত এই সফরে তার প্রাপ্যটুকু আদায় করে নিলেও সে তুলনায় বাংলাদেশের অর্জন সামান্যই।
আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়ে দলের ভেতরকার দুষ্টু ক্ষত দমনে উদ্যোগী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বারবার বলে এসেছেন। কিন্তু এই শুদ্ধি অভিযান কিভাবে শুরু হবে এবং দলের ভেতর থেকে তিনি এটা কতটা শুরু করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে সে কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ছাত্রলীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
এরপরই যুবলীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৪৮টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। যুবলীগের অন্তত ১০ জন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ, জি কে শামীম, সেলিম প্রধান প্রমুখ এখন জেলখানায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। ২২ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করা এবং স্থগিত করার ঘটনা ঘটেছে। এই গ্রেফতার ও শুদ্ধি অভিযান এখনো চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন এই শুদ্ধি অভিযান? এতে ঝুঁকিই বা কতটুকু?
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, অবশ্যই এতে সরকারের জন্য নিজ দলের মধ্যে নতুন করে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু একাধারে ক্ষমতায় থাকার কারণে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতিতে যেভাবে রাষ্ট্র এবং সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল তাতে এই পদক্ষেপ নেয়া ভিন্ন আর কোনো উপায়ও ছিল না। সরকার তার ইমেজ রক্ষা এবং ভবিষ্যতের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে ঝুঁকিপূর্ণ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বয়ং সরকারপ্রধান বলেছেন, দেশে আর কখনোই যাতে এক এগারোর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান জারি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ নিয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নদিকে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যেটাই হোক এই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কোন জায়গায় গিয়ে থামবে তা না দেখে এর পরিণাম সম্পর্কে আন্দাজ করাটা কঠিন। সন্দেহ নেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে সরকারের ভেতরে ও বাইরে একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে উঠেছে। এরা অর্থে-বিত্তে এতটাই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জের।
আশার কথা হচ্ছে সরকার সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। এখন এটা অব্যাহত রাখা এবং কারা কারা এর আওতায় আসছে সেদিকে দৃষ্টি রাখাটাই কর্তব্য। সরকার যদি এই অভিযান অব্যাহত রাখেন এবং মুখ না দেখে অভিযান চালাতে পারেন অবশ্যই এর একটা ইতিবাচক ফল তারা লাভ করবেন। আর যদি নতি স্বীকার করেন এবং সব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন তবে এর ফলাফল তাদের জন্য সুখকর নাও হতে পারে। কোনো কোনো সমালোচক এটাও বলার চেষ্টা করছেন যে সরকারের ভেতরকার অসন্তোষ যাতে আরো প্রকট আকার ধারণ না করে সেজন্যই এই অভিযান শুরু হয়েছে। তবে যে সমালোচনাই হোক, সবাই এটা বোঝার চেষ্টা করছে যে এই অভিযান কোথায় গিয়ে ঠেকে।
চলতি মাস আরো অনেকগুলো ঘটনার জন্য আলোচিত হয়ে থাকবে। ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। ভোলায় ২০ অক্টোবর পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চারজন ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রাণ গেছে। এ দুটি ঘটনায়ই বাংলাদেশের চলমান অসহিষ্ণুতার এক নগ্ন প্রকাশ। দীর্ঘদিন আমাদের সমাজ মানসে যে ঘৃণার বীজ বপন করা হয়েছে যে, হিংসা ছড়ানো হয়েছে এবং অসহিষ্ণুতার আগুন জ্বালানো হয়েছে- এসব ঘটনা তারই প্রকাশ।
আলোচিত দুটি ঘটনায়ই সরকার দ্রুততার সাথে অ্যাকশানে গেছে। আবরার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসবই আশার কথা। ভালো কথা। কিন্তু বুয়েটের ছাত্র হলগুলোতে আবরারের ঘটনাই কিন্তু প্রথম নয়। ছাত্রলীগের নির্যাতনে বহু শিক্ষার্থী আজো ক্যাম্পাস ছাড়া হয়ে আছে। হলগুলোতে টর্চার সেল খুলে ছাত্র নির্যাতন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এসব চলছে বহুদিন ধরেই। দেশের বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অবস্থা চলছে বছরের পর বছর ধরে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদা কেলেঙ্কারিতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে পদ খোয়াতে হয়েছে। আবরারের ঘটনাটি ছিল দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী। তার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসই ঘটনাটিতে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। সেটি ছিল নির্দোষ সমালোচনার। ভারতের সাথে সরকারের অসম চুক্তির বিষয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরার। আবরারকে এই কারণেই ভিন্নমতের মানুষ হিসেবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। যা এদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকেও নিয়ে গেছে নতুন এক মাত্রায়। আবরারকে বলা হচ্ছে তাই দেশের জন্য আত্মউৎসর্গকারী বীর শহীদ। তার এই আত্মত্যাগ ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণাদানকারী হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
মেননের উল্টো যাত্রা
১৯ অক্টোবর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ক্ষমতাসীন ১৪ দলের অন্যতম শরীক রাশেদ খান মেনন বরিশালে পার্টির এক সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি বিগত নির্বাচনে জনগণ আমাকেসহ কাউকেই ভোট দেয় নাই...।’ রাশেদ খান মেননের এই হঠাৎ উল্টো যাত্রা আওয়ামী লীগকে খানিকটা বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। দেশে দীর্ঘ দিন ধরেই এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের চর্চা চলছে বেশ জোরেসোরে। অভিনব এই গণতন্ত্রের বড় সিপাহসালার ছিলেন রাশেদ খান মেননের মতো বামপন্থী থেকে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের দীক্ষা নেয়া ব্যক্তিরা। তার এই উল্টো যাত্রাকে অনেকেই অনুশোচনা হিসেবে বর্ণনা করলেও ক্ষমতাসীন দলে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাশেদ খান মেনন হয়তো মন্ত্রী থাকলে এ কথা বলতেন না।