ভারত সীমান্তে গ্রাম, ক্যান্টনমেন্ট, সামরিক অবকাঠামো চীনের : টার্গেট কী?
ভারত সীমান্তে গ্রাম, ক্যান্টনমেন্ট, সামরিক অবকাঠামো চীনের : টার্গেট কী? - ছবি : সংগৃহীত
চীনা সেনাবাহিনী লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) কাছে গ্রাম নির্মাণ করছে, ক্যান্টনমেন্ট সম্প্রসারণ করছে। এসব সমন্বিত আদর্শ গ্রাম নির্মাণের লক্ষ্য হলো সীমান্ত এলাকায় সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে বিশাল বিশাল আবাসিক কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। এগুলোতে বাস্কেটবল ও ভলিবল কোর্টসহ খেলাধুলা ও বিনোদন সুবিধাও থাকছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বৈত ব্যবহারের বিষয়টি মাথায় রেখেই এসব কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।
তবে মনে হচ্ছে, এগুলোতে এখনো কেউ বসবাস করছে না, ফলে খালিই পড়ে আছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনী ও বেসামরিক লোকজন সবাই এখানে বসবাস করতে পারবে। উত্তেজনার সময় ভূমির ওপর দাবি জোরদার করতেও এগুলো ব্যবহৃত হতে পারে। তারা সামরিক ক্যান্টনমেন্টগুলোও সম্প্রসারণ করছে।
এসব স্থানে পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও আছে। এসব স্থান চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির ঘনিষ্ঠ নজরে রয়েছে।
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের ধারণায় মতপার্থক্য থাকার কারণে সীমান্তে এ ধরনের নির্মাণ নিয়ে ভারত ও চীনা সৈন্যদের টহলের সময় মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এলএসিতে এ ধরনের দুই ডজনের বেশি সমন্বিত গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামের বেশির ভাগই আছে অরুনাচল ও সিকিমের বিপরীতে পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরে।
সমন্বিত গ্রামগুলোর কাছে হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
চীনা এলাকার উপজাতীয় ও যাযাবত লোকজনের বাস করার জন্য নির্মাণ করা এসব গ্রামের সাথে নবনির্মিত চার লেনের রাস্তাও সংযুক্ত রয়েছে।
একটি সেনা সূত্র জানায়, এটা তুলনামূলকভাবে নতুন ধারণা। তবে এর পেছনে কী কাজ করছে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ এগুলো এলএসির খুব কাছে, খালি চোখেই দেখা যায়।
অন্যদিকে ভারতীয় এলাকায় এলএসির কাছে লোকজনকে বসবাস করতে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ভারত এ ধরনের কিছু এলাকা পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়ার কথা ভাবছে।
চীন তাদের এলাকা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিলেও ভারত তা থেকে অনেক দিন ধরেই সরে থাকছে।
সীমান্তের উভয় পাড়েই লোক বসতি খুবই বিরল। তবে চীনারা এসব এলাকাকে জনবহুল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে এসব এলাকায় রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা ভারত সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে। কয়েকটি মেগা প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং কয়েকটির নির্মাণকাজ চলছে।
ইন্ডিয়া টুডে
মহারাষ্ট্রের পর এবার ঝাড়খণ্ডেও বিপাকে বিজেপি
এনডিটিভি ও ওয়ান ইন্ডিয়া
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে দীর্ঘ দিনের জোট শিবসেনার সাথে সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করেছে বিজেপি। এবার ঝাড়খণ্ডেও নির্বাচন ইস্যুতে এক রকম বিপাকে পড়তে যাচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন এই দল। রাজ্যটিতে আগামী ৩০ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জোটসঙ্গী আজসু পার্টি এবং লোক জনশক্তি পার্টিকে (এলজেপি) নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিজেপি। কেননা চিরাগ পেশওয়ানের এলজেপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে রাজ্যটিতে মাত্র একটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সেখানেও পরাজিত হয়।
তবে এবারের নির্বাচনে মোট ৫০টি আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। অথচ প্রাথমিকভাবে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে তারা জানিয়েছিল, আসন্ন নির্বাচনে তারা মাত্র ছয়টি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সেই আসনগুলো হলোÑ হুসেইনাবাদ, নালা, বারকাগাঁও, জারমুন্ডি, পাঙ্কি এবং লাতেহার।
এ দিকে এলজেপি প্রধান চিরাগ পেশওয়ান এক টুইট বার্তায় জানান, ‘আমরা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আসন্ন নির্বাচনে দল থেকে ৫০টি আসনে প্রার্থী দেয়া হবে। যে তালিকা খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’