সাকিবকে কি সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে?
সাকিবকে কি সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে? - ছবি : সংগ্রহ
বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে তিনি যদি অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করেন, তবে তার এক বছরের শাস্তি কমানো হবে। সেক্ষেত্রে তিনি ২০১৯ সালেই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। তবে আপাতত তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ থাকছেন।
তিনি কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং করেননি। তার কাছে আসা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথা আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাননি। এটাই তার অপরাধ। তবে তা আরো বেশি গুরুতর বলে মনে হয়েছে, তিনি একাধিকবার কাজটি করেছেন। তার কাছে কয়েকবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তিনি কোনোবারই তা প্রকাশ করেননি। ফলে বড় ধরনের কলঙ্ক পড়ে গেল তার ক্যারিয়ারের ওপর। বাংলাদেশের ক্রিকেটও কলঙ্কিত হলো।
এখন প্রশ্ন হলো তাকে কি সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে?
না। সাকিব যে অপরাধ করেছেন, তার শাস্তি সর্বনিম্ন ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর। অর্থাৎ তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়নি।
সব ধরণের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)। তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনে আইসিসি নিষেধাজ্ঞা দেয় বলে জানিয়েছে আইসিসি ক্রিটেট ডটকম। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে না জানানোর কারণেই এই শাস্তি আরোপ করা হলো ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
তবে, দোষ স্বীকার করার কারণে, ১ বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসির পক্ষ থেকেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যে তিন অভিযোগে সাকিব নিষিদ্ধ হয়েছেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রি দেশীয় সিরিজের সময় সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয়া হয়ে ছিলো। সাকিব সে আমন্ত্রণ গ্রহণ না করলেও সঠিক সময় আকসুকে জানাতে ব্যার্থ হয়েছেন।
২. ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ওই ত্রি দেশীয় সিরিজেই দ্বিতীয়বার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে ছিলেন সাকিব। প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়বারও তিনি এই কথা আকসুকে জানাতে ব্যার্থ হয়েছেন।
৩. ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল আইপিএলে হায়দারবাদ বনাম কিংস ইলিভেন পাঞ্জাবের মধ্যে ম্যাচ চলাকালে সাকিবের কাছে তৃতীয় বারের মতো ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব আসে। কিন্তু সাকিব এই প্রস্তাবের কথাও আকসুর কাছে গোপন করেছেন।
সাকিবের বিরুদ্ধে আনা তিন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ (বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে) চলাকালে দুইবার জুয়ারিরা তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি বিষয়টি আইসিসিকে অবগত করেননি। একই বছরের ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সান রাইজেস হায়দ্রাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও জুয়ারি তার সাথে যোগাযোগ করেছিল, সে ব্যাপারেও আইসিসিকে অবগত করেনি সাকিব।