নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে যা বললেন সাকিব
সাকিব - ছবি : সংগ্রহ
বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি। তবে তিনি ভুল স্বীকার করে নেয়ায় তাকে এক বছর নিষিদ্ধ থাকতে হবে। ২০২০ সালে তিনি আবার ক্রিকেট খেলতে পারবেন।
শাস্তির খবর শুনে সাকিব আল হাসান আইসিসির ওয়েবসাইটকে বলেন, যে খেলাটিকে আমি ভালোবাসি, সেখানে নিষিদ্ধ হয়ে আমি চরমভাবে দুঃখিত। তবে আমি এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছি। কারণ আমি বিষয়টি অবহিত করেনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইসিসি এসিইউর মূল অংশ বাস্তবায়নে খেলোয়াড়দের ওপরই ভরসা করে থাকে। কিন্তু আমার কর্তৃব্য পালন করিনি।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের খেলোয়ার ও ফ্যানদের বেশির ভাগের মতো, আমিও চাই ক্রিকেট খেলা হোক দুর্নীতিমুক্ত থাকুক। আমি আইসিসি এসিইউ দলের সাথে কাজ করার অপেক্ষায় আছি তাদের শিক্ষা কর্মসূচিকে সমর্থন দিকে, তরুণ ক্রিকেটাররা যাতে আমার মতো ভুল না করে তা নিশ্চিত করতে।
সাকিবের শাস্তির বিষয়ে যা বললেন পাপন
তথ্য গোপনের অভিযোগে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার সামনে সাকিব আল হাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ নিয়ে ঢাকার ক্রিকেট পাড়ায় যখন তোলপাড় তখন এ বিষয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নিজ বাসভবনের সামনে দাড়িয়ে তিনি বলেছেন, সাকিবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনও বিসিবিকে কিছু জানায়নি আইসিসি।
পাপন বলেন, ‘সাকিবের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানি না। কিছু না ঘটলে কিভাবে জানাবো আপনাদের? বিসিবিতে যাচ্ছি, সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবো।’
তবে দুপুর নাগাদ মিরপুরে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আনুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, আইসিসি এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে কিছুই জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। তিনি বলেন, ‘বিসিবিকে এখন পর্যন্ত আইসিসি কিছু জানায়নি।’
দুপুরের দিকে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমরাও এটা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছি। বিসিবির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা বলছে, আইসিসির পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে যাই হোক- বিষয়টি নিয়ে আমরা আজকের মধ্যেই আইসিসিকে চিঠি দেবো।’
ম্যাচ ফিক্সিং-এর প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসিকে না জানানোয় সাকিব যে শাস্তি পেতে যাচ্ছেন, তা বিসিবিও জেনেছে অন্তত ১৫ দিন আগে৷ এ নিয়ে সাকিব ও বিসিবি সভাপতির একাধিক বৈঠকও হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকার একজন সাংবাদিক।
খেলোয়াড়দের আন্দোলনের কিছুদিন আগে দুবাইয়ে আইসিসির একটি বোর্ড মিটিং হয়৷ সে মিটিংয়েই বিসিবি সভাপতি ও সিইওকে সাকিবের ফিক্সিং-এর প্রস্তাব গোপনের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়ার তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়৷
আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট- আকসু গত দুই বছর ধরেই এ নিয়ে তদন্ত করছে৷ তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল তা জানানো হয়েছে বিসিবিকে৷ এখনও সাকিবের শাস্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি না পেলেও তিনি যে শাস্তি পেতে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত সবাই৷