কেন প্রয়োজন?
খালেদা জিয়া - ছবি : সংগ্রহ
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সাংবিধানিক বিরোধী দলের অপরিহার্যতা কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বর্তমান সময়ে তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করা যাচ্ছে। দেশের চারদিকে এখন যে অব্যবস্থা, অনিয়ম, দুর্নীতি, দুরাচারে ছেয়ে গেছে, ক্ষমতাসীন দল এবং প্রশাসনের যেখানেই হাত দেয়া হচ্ছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে নানা কেলেঙ্কারি। গত দশ বছর এ দেশে আসলে প্রকৃত কোনো সাংবিধানিক বিরোধী দল নেই। ক্ষমতাসীনেরা একতরফাভাবে প্রশাসন চালিয়ে আসছেন। সব কিছু হয়েছে তাদের মর্জিমতো। এ নিয়ে কোনো জবাবদিহি বা জিজ্ঞাসাবাদ কিছুই করা হয়নি। এই লাগামহীন ‘স্বাধীনতার’ ফলে এখন দেখা যাচ্ছে, এর মূল্য রক্ষিত হয়নি; বরং একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা সমাজে কায়েম হয়েছে। এমন শাসনব্যবস্থায় মানুষের অধিকার খর্ব হয়েছে, আর অপার স্বাধীনতা পেয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এখন এসব দুর্বৃত্তের যথেচ্ছাচারে সমাজে পচন ধরেছে। এই পচনের পুঁতিগন্ধে মানুষের শ্বাস নেয়া হয়ে পড়ছে কষ্টকর।
সাংবিধানিক বিরোধী দলের যে অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা প্রকৃতপক্ষে সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাংবিধানিক এই বিরোধী দল ব্যতীত সংসদীয় ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। জাতীয় সংসদ পরিচালিত হয়ে থাকে সংসদের সুনির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী বিধির আলোকে। এই বিধি সংসদ কর্তৃক প্রণীত হয়েছে সংবিধানের সুনির্দিষ্ট আলোতে। তাই এই বিধানের গুরুত্ব ও মর্যাদা সবিশেষ। আর সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখে এই বিধান অনুসারে। আর তা অনুশীলন করে থাকে সাংবিধানিক বিরোধী দল। আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের কাছে জবাবদিহি করবে। আর এখানে ‘সংসদ’ বলতে মুখ্যত পার্লামেন্টের সাংবিধানিক বিরোধী দলকে বোঝানো হয়েছে। সাংবিধানিক বিরোধী দলের সদস্যরা কার্যপ্রণালী বিধির আলোকে সরকার তথা মন্ত্রীদের কাজের জবাবদিহি করে থাকেন। মন্ত্রীরা আইনানুযায়ী পরিষদের জবাব দিতে বাধ্য। মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা কার্যকর থাকার কারণে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক শাসনপদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু আজ সেই সংসদ বাংলাদেশে থাকলেও তাতে কেবল সরকারি দলের সদস্যরা আসন গ্রহণ করেন। এতে প্রকৃতপক্ষে কোনো সাংবিধানিক বিরোধী দল নেই। বশংবদ বিরোধী দল থাকলেও তার স্বীকৃতি দেয়া যায় না। কেননা সাংবিধানিক বিরোধী দলের যে দায়িত্ব ও ভূমিকা থাকার কথা, সেটা তাদের পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া বিরোধী দল হওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটিও এ ক্ষেত্রে এখন কার্যকর নয়। আর এসব কারণে বলতে হবে যে, দেশে প্রকৃত সংসদীয় ব্যবস্থা কায়েম নেই। বিরোধী দলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় যে অরাজক অবস্থা প্রতিষ্ঠা পায়, সেটিই কায়েম রয়েছে। সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় সংসদের অতীব গুরুত্ববহ ভূমিকার কারণে তা হয়ে ওঠার কথা রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সংসদীয় বিরোধী দল না থাকা এই প্রতিষ্ঠানটি তার মৌলিক চরিত্র হারিয়ে এখন নিথর ও স্থবির।
রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আজকের প্রশাসনের যে ব্যর্থতা, তা নিয়ে সংসদে প্রশ্নবাণে তাদের জর্জরিত করে তোলার কথা। দেশ কিভাবে চলছে তা জানার অধিকার রয়েছে প্রতিটি নাগরিকের। সংসদে যে আলোচনা হবে তা থেকে মানুষ সব কিছু অবহিত হতে হবে। এসব হচ্ছে না বলে সংসদ তার প্রত্যাশিত গুরুত্ব হারিয়েছে। আজকে দেশে শাসক দলের দুই অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অথচ বিস্ময়ের ব্যাপার, সংসদে এসব নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। সংবিধানে মাদক ও জুয়ার ব্যাপারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অথচ সরকারি দলের সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা আইনি বিধিবিধান অমান্য করে এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে জুয়া ও মাদকের আসর জমিয়ে সমাজকে কলুষিত করে তুলেছেন। এসব সংবিধানবিরোধী কার্যক্রম রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে চলেছে দীর্ঘদিন। কিন্তু সংসদকে এসব ব্যাপারে নির্লিপ্ত দেখা যায়। কারণ আসলে একটি, সেটা হলো- সংসদে কোনো সাংবিধানিক বিরোধী দল নেই। যারা এখন রয়েছেন তারা সবাই সরকারি দলের সভ্য, তাই তাদের পক্ষে সরকারের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কথা বলা আদৌ সম্ভব নয়। তাছাড়া, সংসদ সদস্যদের যদি জনগণের প্রতি আনুগত্য ও দায়বদ্ধতা থাকত, তাহলে একটা কথা ছিল।
কিন্তু এখন তো সেই পরিবেশ পরিস্থিতি নেই; বরং দলের অন্ধ আনুগত্য করাটাই মুখ্য বিষয়। যেভাবে সংসদ তার দায়িত্ব পালনে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে, তাতে এই সংসদের প্রতি দেশের মানুষের আস্থাহীনতা আরো বৃদ্ধি পাবে। আরো শঙ্কার বিষয়, রাষ্ট্রে যে প্রধান তিনটি অঙ্গ তার অন্যতম হচ্ছে আইন বিভাগ তথা সংসদ। তাই সংসদ ব্যর্থ হলে তার প্রতিক্রিয়া হয় গুরুতর। এক অঙ্গের এমন অকার্যকারিতার অর্থ হচ্ছে, খোদ রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলা, যা দেশে মারাত্মক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এ নিয়ে বড় কোনো সমস্যা দেখা দেয়ার আগেই বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি রাখে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে নির্বাহী বিভাগের সজাগ হওয়া জরুরি হলেও তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা বহাল থাকার পর যদি সংসদ সক্রিয় না থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকে যে, আমরা কোন শাসনব্যবস্থার আওতায় পরিচালিত হচ্ছি? কোনো দেশের শাসনব্যবস্থা নিয়ে যদি এমন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়, তবে সাধারণভাবেই সর্বত্র একটা নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হতে পারে।
সংসদ এবং সংসদীয় বিরোধী দলের হাল অবস্থা নিয়ে উপরে যা বলা হয়েছে, তার কারণ গভীর। সংসদ ও সংসদীয় ব্যবস্থা সজীব, প্রাণবন্ত এবং সক্রিয় তখনই হতে পারে, যখন সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা প্রকৃত জনপ্রতিনিধি হবেন। বর্তমানে যারা সংসদে রয়েছেন, তারা আসলে একটি প্রশ্নযুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে এসেছেন। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাকে না দেশের মানুষ, না আন্তর্জাতিক সমাজ স্বীকৃতি দিয়েছে। সে নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে নানা কৌশল অবলম্বন করে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করা হয়েছে। ভোটারেরা কেউই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা সম্মিলিতভাবে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। এতে সংসদে শুধু আওয়ামী লীগ ও তার নির্বাচনী জোটের সদস্যরা কথিত বিজয় অর্জন করতে পেরেছিলেন। কোনো বিরোধী দলের পক্ষে সে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সম্ভব হয়নি। আর এ কারণেই সংসদে সত্যিকার কোনো বিরোধী দলের অবস্থান নেই। আর এই সাথে একটা বড় প্রশ্ন হচ্ছে, ভোটারবিহীন একটি নির্বাচনে যে সংসদ গঠিত হয়েছে, তার বৈধতাইবা কতটুকু। এর আগে, দশম সংসদও কিন্তু বিরোধী দলবিহীন ছিল। কেননা সে সময় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল- যেহেতু বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অতীতে কখনোই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনি, সে জন্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে, সে প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা বিরোধী দলের সেই ন্যায্য দাবি অগ্রাহ্য করে নিজেদের অধীনেই নির্বাচন করিয়ে নিয়েছে। এর ফলে বিরোধী দল দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সংসদে সরকারি দলের কোনো প্রতিপক্ষ নেই। আপাতত এটি হয়তো মনে হতে পারে যে, শাসকদলের জন্য বিষয়টি স্বস্তির। কিন্তু এখন বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে যে, সংসদে বিরোধী দল না থাকায় সরকারকে কোনো জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয় না। ফলে তারা ক্রমাগত ভুলের পর ভুল করেছেন।
দলীয় লোকদের প্রতি স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে দেশকে আকণ্ঠ দুর্নীতি ও অনিয়মে ভরিয়ে দিয়েছেন। এখন যে দিকেই তাকানো যাক না কেন, সর্বত্রই কেবল হতাশা। এতদিনে অবশ্য সরকারের টনক নড়েছে বলে মনে হয়। তারা একটি শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এই অভিযানে এ পর্যন্ত যারাই অভিযুক্ত হয়েছেন, তারা সবাই সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠনের বিশিষ্ট নেতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা অবশ্য মনে করেন, এই অভিযানের উদ্দেশ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে তো বটেই, সেই সাথে এর পেছনে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিল সমীকরণ রয়েছে। যাই হোক, এই অভিযানে ‘লোম বাছতে কম্বলই না সাবাড় হয়’। অর্থাৎ ক্ষমতাসীনদের মধ্য থেকে দুরাচারীদের সরিয়ে পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিদের খুঁজতে গেলে সে ক্ষেত্রে কতজন ফ্রেশ হিসেবে টিকবেন তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। তাই এসব বিবেচনায় এই শুদ্ধি অভিযান কতটা এগিয়ে নেয়া যাবে, তাও দেখার বিষয়।
সংসদের বিরোধী দলের পাশাপাশি তার বাইরের বিরোধী দলের পক্ষেও এখন এতটুকু শব্দ করার জো নেই। অর্থাৎ দেশের পরিস্থিতি এমন যে, সরকারের বিপক্ষে কোথাও অবস্থান নেয়ার জায়গা নেই। বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বড় দল, তারা একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, দেশ পরিচালনায় তাদের কৃতিত্ব রয়েছে। বিশেষ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংসদীয় শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিএনপির ভূমিকা এ দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হিসেবে সংযোজিত থাকবে। তাছাড়া গণতন্ত্রের প্রাণস্বরূপ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে বিএনপির। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয় বিধায় বিএনপি সরকার সংবিধান সংশোধন করেছে। দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা এই দলটিই করেছে। অবশ্যই বিএনপির গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার রয়েছে বলে এসব পদক্ষেপ তারা নিতে পেরেছেন। দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলটির সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই বিএনপিকে নানাভাবে নাজেহাল করে আসছে। দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত ভুয়া মামলা রুজু করে তাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চালানো এবং সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠানের বৈধ অধিকার থাকা সত্ত্বেও বিএনপিকে তা পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু বিএনপি নয়, সরকারের বিপক্ষের সব রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিই এমন অগণতান্ত্রিক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। পরিস্থিতির আলোকে এ কথা বলতে হয় যে, দেশে এক কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এটা বোঝা উচিত যে, এ দেশের মানুষ বরাবরই গণতন্ত্রের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা দেখিয়েছে এবং এই আদর্শ থেকে তারা কখনোই পিছু হটেনি। বাংলাদেশ-উত্তর কালের এবং তার পরের ইতিহাস এরই সাক্ষ্য দেয়। এসব দমননীতির কারণে সংসদের বাইরের বিরোধী দলের পক্ষে তাদের ভূমিকা পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিরোধী দলের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত কোনো পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ সরকার নিচ্ছেও না।
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিরোধী দলের আবশ্যকতার বিষয়টি অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বর্তমান প্রশাসন উপলব্ধি করতে পারছে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রধান বিরোধী দল ছিল। সে সময় তাদের প্রতিবাদী ভূমিকার কারণে সরকারের কাছ থেকে বৈরী আচরণ পেয়েছেন তারা। দলটির ওপর সে সময়কার প্রশাসন নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়েছে। জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর এসব নির্মমতা নেমে এসেছিল। তাই আশা করা হয়েছিল যে, আওয়ামী লীগ তাদের দূর অতীতের দুঃসহ সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিরোধী দলের প্রতি সদয় হবে এবং প্রতিপক্ষের ভূমিকার অপরিহার্যতা উপলব্ধি করবে। আলোর নিচে যে অন্ধকার থাকে, এর ফলে সেখানকার কিছু দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা নয়। যারা পাশে থাকে, তারাই সেটি দেখতে পায়। তাই যে অন্ধকারের কারণে তারা দেখতে পায় না; সে অন্ধকার দূর করতে যারা দেখতে পায়, তাদের সহায়তা নেয়াটা সবার জন্যই কল্যাণকর।
ndigantababor@gmail.com