বমি কেন হয়, কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন
বমি কেন হয়, কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন - ছবি : সংগ্রহ
বমি হলো পাকস্থলীর অভ্যন্তরস্থ বস্তু মুখ ও নাক দিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে সজোরে বের হওয়া। বমি বিভিন্ন কারণে হতে পারে; সামান্য অসুস্থতা যেমন পাকস্থলীর প্রদাহ বা বিষ প্রয়োগ অথবা মস্তিষ্কের টিউমার বা মস্তক মধ্যস্থ উচ্চচাপ কিংবা পরমাণু বিকিরণের জন্যে হতে পারে। যদি কারও এমন অনুভব হয় যে সে বমি করে দিতে পারে তবে তাকে বমনেচ্ছা বলে যাহা অনেক সময় বমির পূর্বে হতে পারে কিন্তু বমি অনেক সময় নাও হতে পারে। বমনেচ্ছা ও বমি বন্ধ করার জন্য অনেক সময় বমি নিবারক ওষুধের প্রয়োজন হয়। লিখেছেন অধ্যাপক ডা: একেএম আমিনুল হক
বমির তীব্র অবস্থায় যেখানে পানিশূন্যতা দেখা দেয় সেখানে শিরার মধ্যে জলীয় পদার্থ প্রবেশ করাতে হয়। স্বতঃপ্রণোদিত বমি মানসিক বিকৃতি ক্ষুধার একটি অংশ।
জটিলতা
নিঃশ্বাসের সাথে কোনো কিছু ফুসফুসে প্রবেশ করা : বমি খুবই ভয়ানক হতে পারে যদি পাকস্থলীর অভ্যন্তরস্থ বস্তু শাসযন্ত্রে ঢুকে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায়, গলবিলের পেশির সংকোচন ও কাশি একে প্রতিহত করে। যা হোক, রোগীর শ্বাসরোধ হয়ে যেতে পারে কিংবা নিঃশ্বাসের সাথে কোনো কিছু প্রবেশের কারণে ফুসফুসে প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
পানিশূন্যতা এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা : দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত বমি হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং ইলেকট্রোলাইটের অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়। পাকস্থলীর বমি সরাসরি এসিড ও ক্লোরাইড কমায়। ইহাতে রক্তে বিপাকজনিত ক্ষারত্ব দেখা দেয় এবং রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। কিডনি এসিডের এই ক্ষতি পূরণে সহায়তা করে। ফলে রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। খাদ্যগ্রহণ করতে না পারার কারণে শরীরে শীর্ণতা দেখা দেয়। অন্ত্রের বমিতে পিত্তরস ও বাইকার্বোনেট হানি হয় ফলে রক্তে বিপাকজনিত অম্লতা দেখা দেয়।
ম্যালরি-ওয়েস ছেড়া : পুনঃ পুনঃ বা প্রচুর পরিমাণে বমির কারণে খাদ্যনালীতে ক্ষত দেখা দেয় বা খাদ্যনালীর শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ছিড়ে যায়। ইহাকে ম্যালরি-ওয়েস ছেড়া বলে। ইহা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন কয়েকবার বমির পর বমির সাথে তাজা রক্ত দেখা যায়।
দাঁতের অবস্থা : পুনঃ পুঃ বমি যা মানসিক বিকৃতি ক্ষুধাতে দেখা যায় তা দাঁতের এনামেলে ক্ষত সৃষ্টি করে। বমিতে যে পরিপাক এনজাইম থাকে তা মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক; ইহা মাড়ির তন্তুকে ধ্বংস করে দেয়।
নিদানতত্ত্ব: অন্ত্রের মাঝখান থেকে উল্টোদিকে চলন শুরু হয় যা ইহার অভ্যন্তরিস্থ বস্তুকে পাকস্থলীর শিথিল নীচের মুখ দিয়ে পাকস্থলীতে পাঠায়। যখন বন্ধ শ্বাসরন্ধ্রের বিপরীতে শ্বাস নেয়া হয় তখন বুকের ভিতরের চাপ কমে, এর সাথে যখন পেটের মাংসপেশির সংকোচনের ফলে পেটের চাপ বৃদ্ধি পায় তখন অন্ননালীর নীচের সংকোচক পেশি শিথিল হয়ে যাওয়ার কারণে পাকস্থলীর অভ্যন্তরিস্থ বস্তুসমূহ অন্ননালীতে ঢুকে পড়ে। বমির সময় পাকস্থলী নিজে সংকোচিত হয় না এবং অন্ননালীতে কোনো উল্টোদিকে চলন দেখা যায় না।
সাধারণত বমির আগে বমনেচ্ছা জাগে।
বমির সময় নাড়ির গতি বেড়ে যায় এবং ঘাম হতে পারে।
প্রক্রিয়ার ধাপবিশেষ : বমির কাজটি দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। বমনেচ্ছা ধাপে পেটের মাংসপেশি, মধ্যচ্ছদা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে অংশগ্রহণকারী মাংসপেশি যুগপৎভাবে সংকোচন করে থাকে। এই কারণে, অনেক রোগী এই ধাপকে প্রচণ্ড হিক্কার সাথে গুলাইয়া ফেলতে পারে। এই বমনেচ্ছা ধাপে, কোনো কিছুই মুখ দিয়ে বের হয় না। পরবর্তী ধাপে, পেটের মাংসপেশি ও মধ্যচ্ছদা দ্বারা পাকস্থলীতে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতপক্ষে, এই ধাপে পেটের মাংসপেশি ও মধ্যচ্ছদার প্রচণ্ড সংকোচন হয় এবং তা সাধারণ সংকোচনের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই চাপ তখন হঠাৎ করে কমে যায় যখন খাদ্যনালীর উপরিভাগের সংকোচক পেশি শিথিল হয় ফলে পাকস্থলীর অভ্যন্তরস্থ বস্তু নির্গত হয়। যেসব ব্যক্তি নিয়মিত পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে না তারা কয়েক দিনের জন্য পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারে। পাকস্থলীর অভ্যন্তরিস্থ বস্তু বমি হওয়ার পর রোগী কিছুটা স্বস্তিবোধ করে। কারণ তখন পেটের চাপ কমে যায় এবং রক্তে এন্ডরফিন নামক এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়।
বস্তু : পাকস্থলীর নিঃসৃত রস এবং একইরূপে বমি অত্যধিক পরিমাণে অম্লীয়। রোগী সম্প্রতি যে খাবার গ্রহণ করেছে তা পাকস্থলীর বমিতে দেখা যায়। বমির অভ্যন্তরিস্থ বস্তু যাই হোক না কেন তা দুর্গন্ধযুক্ত। বমির অভ্যন্তরিস্থ বস্তু চিকিৎসাবিদ্যা-বিষয়ক স্বার্থসংশ্লিষ্ট হতে পারে। বমিতে তাজা রক্ত থাকলে তাকে রক্তবমন বলে। পরিবর্তিত রক্ত দেখতে কফির মতো কারণ এখানে আয়রনের সাথে অক্সিজেন মিশ্রিত হয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করে এবং যখন ইহা শনাক্ত করা যায় তখন ইহাকে কফি রঙ্গের বমি বলা হয়। তীব্র বমির সময় ডিওডেনামের সংকোচনের ফলে পিত্তরস বমিতে দেখা যায়। যখন অন্ত্রে বাধার সৃষ্টি হয় বা পাক ও মলান্ত্রিক ভগন্দর দেখা যায় তখন বমিতে মল আসে এবং ইহাকে প্রচ্ছন্ন গুরুতর সমস্যার সতর্কীকরণ চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়। যদি বমির প্রতিক্ষেপণ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে কিন্তু কোনো বমি বের না হয় তবে তাকে অনুৎপাদনক্ষম বমি বলে। ইহা বেদনাদায়ক এবং এতে শরীর দুর্বল হয়।
বমির রং : বমি যদি উজ্জ্বল লাল রঙের হয় তবে বুঝতে হবে খাদ্যনালী থেকে রক্তপাত হচ্ছে
- যদি কালচে রঙের বমিতে জমাট বাধা রক্ত থাকে তবে বুঝতে হবে পাকস্থলীতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে
- যদি কফি রঙের বমি হয় তবে বুঝতে হবে পাকস্থলীতে সামান্য রক্তপাত হয়েছে যার ওপর অম্ল ক্রিয়া করার সময় পেয়েছে এবং পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
- যদি বমি হলুদ রঙের হয় তবে বুঝতে হবে বমিতে পিত্তরস আছে যা খোলা পাইলরাসের ভাল্ব দিয়ে ডিওডেনাম থেকে পাকস্থলীতে ঢুকেছে। তা বৃদ্ধদের বেলায় বেশি হয়ে থাকে।
বিভেদক রোগ নির্ণয় : বমি এবং দীর্ঘস্থায়ী বমি নানান কারণে হতে পারে :
পরিপাক নালী : পরিপাকনালীর কারণসমূহ: পাকস্থলীর প্রদাহ * পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ * পাকস্থলীতে থাকা খাদ্যবস্তুর পুনরায় খাদ্যনালীর ভিতর চলে আসা অসুখ
* পাকস্থলীর পাইলরিক মুখে প্রতিবন্ধকতা * অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা * অতিভোজন * পেটের তীব্র ব্যথা/অথবা অন্ত্রাবরকঝিল্লির প্রদাহ * অন্ত্রাবরোধ * খাদ্যদ্রব্যের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া * পিত্তথলি, অগ্নাশয়, উপাঙ্গ ও যকৃতের প্রদাহ * দূষিত খাদ্য খাওয়ার ফলে
তীব্র অসুস্থতা।
* শিশুদের বেলায় গরুর দুধের প্রোটিনের প্রতি যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাতে বমি হয়- (একে দুগ্ধ এলার্জি বা দুগ্ধ শর্করা এলার্জি বলা হয়)।
সংবেদকতন্ত্র এবং মস্তিষ্ক: সংবেদজতন্ত্রের কারণসমূহ :
- গতি : ভ্রমণকালীন অসুস্থতা
মস্তিষ্কের কারণসমূহ :
- প্রচণ্ড আঘাতে মস্তিষ্কের গুরুতর ক্ষত
- গুরুমস্তিস্কে রক্তক্ষরণ
- মাইগ্রেন
- মস্তিষ্কে টিউমার
- বিপজ্জনক নয় এমন মস্তক মধ্যস্থ উচ্চরক্তচাপ এবং মস্তকে পানি সঞ্চয়
বিপাকের গোলমাল : রক্তে ক্যালসিয়ামাধিক্য
- রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণের বৃদ্ধি
- অ্যাড্রিন্যাল গ্রন্থির অপর্যাপ্তি
- রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাওয়া
- রক্তে চিনির আধিক্য
গর্ভাবস্থা : * গর্ভকালে অতিরিক্ত বমন
- গর্ভিনীর প্রাত:কালীন বমন বা বমি বমি ভাব
ঔষধের প্রতিক্রিয়া: * অ্যালকোহল * আফিম * অনেক কেমোথেরাপি ঔষধ
অসুস্থতা: সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা
মানসিক রোগ সম্মন্ধীয়/ মনস্তাত্তিক: মানসিক বিকৃত ক্ষুধা
- এক প্রকার মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা যেখানে মলাদি অপসারিত হয়।
বমনকারক বস্তু বা ওষুধ : বমনকারক বস্তু বা ঔষধ যেমন ইপিকা সিরাপ যা খেলে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে পুশ করলে বমির উদ্রেক করে। বমনকারক বস্তু বা ঔষধ চিকিৎসা বিষয়ে ব্যবহার করা হয় যখন কোনো বস্তু মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় এবং যাকে অবশ্যই অতিসত্বর দেহ থেকে বের করে দিতে হবে যেমন অনেক বিষাক্ত ও সুপাচ্য বস্তু বিশেষ করে ইঁদুরের বিষ। বমি ঘটাতে পারলে বিষাক্ত বস্তু শোষণের আগেই শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ইপিকা অপব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
লবণ পানি এবং সরিষার পানি প্রাচীনকাল থেকেই বমনকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবণ পানি ব্যবহার করার সময় সাবধান থাকতে হবে কেননা অতিরিক্ত লবণ পানি পান করাতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
অতীতে তুঁতেও বমনকারক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই কাজে ব্যবহার করার জন্য ইহাকে এখন অত্যন্ত বিষাক্ত মনে করা হয়।
সামাজিক সারিবদ্ধতা: এটা অতি সাধারণ ঘটনা, যখন কেউ বমি করে তখন যারা তার আশপাশে থাকে তাদের বমনেচ্ছা হয় এমনকি অনেক সময় বমি করে দেয় বিশেষ করে যখন বমির গন্ধ নাকে লাগে। ইহা সাধারণত মদ্যপানকারী দলের মধ্যে দেখা যায়, যেখানে অতিরিক্ত মদ্যপান করার জন্য প্রথমে একজন বমি করে পরে একসাথে অনেকেই বমি করা শুরু করে দেয়।
এমনও দেখা যায় যে, একজন অসুস্থ লোক যখন বমি করে তখন অনভিপ্রেতভাবে অন্যরাও বমি করতে থাকে কারণ তারা মনে করে যে, তারাও একই অসুখে আক্রান্ত হতে পারে- ইহা এক ধরনের দলগত মূর্ছা যাওয়া রোগের মতো।
বেশির ভাগ লোক সাধারণত বেসিনে, টয়লেটে বা আবর্জনার পাত্রে বমি করে। কারণ বমি পরিষ্কার করা কঠিন এবং বিরক্তিজনক। অসুস্থ যাত্রীদের বমি করার জন্য বিশেষ ব্যাগ রাখা হয় বিমানে, জাহাজে এবং বাসে। এক বিশেষ ধরনের হস্তান্তরযোগ্য ব্যাগও (সহজে ছিদ্র হয় না, গন্ধহীন) যাতে শোষক পদার্থ থাকে যা বমিকে দ্রুত ঘনীভূত করে, সহজলভ্য থাকে ফলে বমি ধারণ করা সুবিধাজনক হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না ইহাকে হস্তান্তর করার সুযোগ আসে।
যে সব লোক বারে বারে বমি করে (যেমন খাওয়ার গোলযোগ বিশেষ করে মানসিক বিকৃতি ক্ষুধা) তারা তাদের এই গোলযোগকে গোপন রাখার জন্যে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করতে পারে।
বিরক্তিকর শব্দের কারণেও অনেকে বমি করে থাকে।
বিবিধ : নিজে ঘটানো
- খাওয়ার গোলযোগ ( স্নায়ুবিক বিকৃতি ক্ষুধা )
- শরীরের ভিতর থেকে বিষ বর্জন করা (কোনো কোনো বিষ বমি করে বের করা ঠিক না কারণ নিশ্বাসের সাথে এগুলি ফুসফুসে গ্রহণের ফলে আরো বিষাক্ত হয়ে যায় )
- কিছু লোক যারা প্রচুর মদ্যপান করে তারা অনেক সময় বমি করে যাহাতে তাদের পাকস্থলীর জায়গা খালি হয় এবং তারা আরো বেশি মদ্যপান করতে পারে।
- যে সব লোকের বমি বমি ভাব থাকে তারাও বমি করে এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে।
* অপারেশনের পর (অপারেশনের পর বমি বমি ভাব এবং বমি) * অসন্তোষজনক দৃশ্য বা অত্যন্ত ঘৃণা, গন্ধ বা চিন্তা (যেমন পচা পদার্থ, অন্যের বমি, বমির চিন্তা) ইত্যাদি
- অত্যন্ত ব্যথা, যেমন তীব্র মাথাব্যথা বা হৃৎপেশি আক্রান্ত হওয়া (হৃৎপিণ্ড আক্রমণ করা)
* প্রচণ্ড আবেগ * পৌনঃপুনিক বমন সিনড্রোম * উচ্চমাত্রায় পরমাণু থেকে বিকিরণের ফলে বমির সূত্রপাত হয় * কাশি, হিক্কা ও শ্বাসকষ্টের জন্য প্রচণ্ড খেঁচুনি * দুশ্চিন্তা * মানসিক অবসন্নতা - অতিরিক্ত পরিশ্রম ( অতিরিক্ত ব্যায়াম করার স্বল্পকাল পর বমি )
অন্যান্য ধরন : যে বমি অত্যন্ত জোরের সহিত পাকস্থলীর বস্তুসমূহকে বের করে দেয় তাকে সংক্ষিপ্ত বমি বলে। শিশুদের পাকস্থলীর নিচের মুখের অতিরিক্ত বৃদ্ধির ইহা একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ যেখানে খাওয়ার পরপরই বমি হয় এবং ইহা এত জোরে হয় যে নাক দিয়ে কিছু বস্তু চলে আসে।
চিকিৎসা : বমি নিবারক ওষুধ যা বমি এবং বমি বমি ভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর। ভ্রমণকালীন অসুস্থতা ও কেমোথেরাপির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে বমি নিবারক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বমির সাথে সংশ্লিষ্ট রিসেপ্টরকে দমন করে বমি নিবারক ওষুধ কাজ করে থাকে। অতএব, এন্টিকলিনার্জিক, হিস্টামিন নিবারক ওষুধ, ডোপামিন ও সেরোটনিন প্রতিদ্বন্দ্বী এবং গাঁজা বমি নিবারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
লেখক : অধ্যাপক, মেডিসিন, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রাক্তন অধ্যাপক, মেডিসিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।
ফোন : ০১৯৬৪২৮৮১২০