বাংলাদেশের হিন্দু ও আরএসএস
বাংলাদেশের হিন্দু ও আরএসএস - ছবি : সংগ্রহ
প্রধানমন্ত্রীএবারের ভারত সফর ছিল চলতি মাসের ৩ থেকে ৬ তারিখ। প্রধানমন্ত্রী তিন তারিখ সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন। সেই দিনই মানে ভোরে কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র নেতা শাহরিয়ার কবিরের একটা সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল। ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফ কলকাতার আনন্দবাজার গ্রুপের পত্রিকা। তবে এর টার্গেট পাঠক আনন্দবাজারের মতো ‘অস্বস্তিকর দেশপ্রেমী’ বা উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা নন। টেলিগ্রাফ রিপোর্টিংয়ের চেয়ে কলাম দিয়ে পাঠক আকর্ষণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে চলে। সম্ভবত এই পত্রিকা এমন কলামের পাঠকের ওপর ভর করে টিকে যেতে পারে বলে তাদের অনুমান। এই সুবাদে একালের নতুন দৃষ্টির কলামিস্টদের ভালো কিছু লেখা আমাদের পড়ার সুযোগ ঘটে যায়। এই প্রেক্ষাপটে শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষাৎকার এমন লেখাকে অনেকে পেজ-বিক্রি করা পাওয়া বলে থাকে। ওই পাতায় কী ছাপা হয়েছে এর দায়িত্ব সম্পাদকের নেই বলে মনে করা হয়।
সাজানো এক অধ্যাপককে দিয়ে করানো কিছু প্রশ্ন রয়েছে কলামটিতে। ওখানে পাঁচটি ফরমায়েশি প্রশ্ন আছে। উদ্দেশ্য হলো একটা প্রচারণা চালানো। বর্তমান আমলে হিন্দুরা বাংলাদেশে আগের চেয়ে ভালো আছে- এই কথার পক্ষে সরব মহল বিশেষ। উদ্দেশ্যটা বুঝতে হলে প্রিয়া সাহার ট্রাম্পের কাছে তোলা তার অভিযোগগুলো মনে করে দেখতে হবে। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পালটা কিছু কথা দাবি জানিয়ে বলেছেন এই লেখক।
সাক্ষাৎকারে শাহরিয়ার দাবি করেছেন, ২০০১ সালে তিন লাখ হিন্দু বাংলাদেশ থেকে ভারতে দেশান্তরী হয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসন এত ভালো ছিল যে, ওর মধ্যে আড়াই লাখ হিন্দুই ভারত থেকে ফিরে বাংলাদেশে চলে এসেছেন।’ কিসের ভিত্তিতে এই দাবি তা অবশ্য জানা যায় না। সেখানে কোনো রেফারেন্স দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আরো দাবি করা হয়েছে, হিন্দুদের জন্য এখন জব মার্কেট খুলে রাখা আছে (জব মার্কেট ওয়াজ থ্রোন ওপেন)। এটা পড়ে কারও মনে সন্দেহ হতে পারে আগে কি তাহলে এই ‘জব মার্কেট’ বন্ধ ছিল! এ ছাড়া গত নির্বাচনে (২০১৮) ‘তারা’ ব্যবস্থা করাতে, ব্যবস্থা নেয়াতে ও পাহারা দেয়াতে মোট ৬১ কনস্টিটুয়েন্সিতে হিন্দুরা নির্বিঘেœ ভোট দিতে পেরেছিলেন। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করাই বোধহয় সঠিক। কারণ সবারই ভোট দিতে পারার অভিজ্ঞতা আছে। কলামিস্ট তার বক্তব্যের কোনো পয়েন্টের পক্ষে কোনো প্রমাণ সাথে দাখিল করেননি।
অনেকের মতে, বাংলাদেশের ‘হিন্দু রাজনীতি’ বিশেষত গত তিন বছর ধরে চলা রাজনীতি বিপজ্জনক স্কেলে ও ডিরেকশনে আগাচ্ছে। বলাই বাহুল্য, এটা মোদির উত্থান এবং তাতে আরএসএসের সুবিধা নেয়ার প্রভাব। বাংলাদেশের হিন্দু রাজনীতির শুরু হিন্দু কমিউনিস্ট নেতাদের হাতে। এটা কোন রাস্তায় যাবে, কিভাবে ফুলে-ফলে বাড়বে সেটাও তাদের হাতেই সূচিত। এভাবে এর কৌশল ও বয়ানগুলোও নির্ধারিত হয়েছিল। এই বাস্তবতা মানলে বলা যায় বাংলাদেশের হিন্দু রাজনীতি এখন আরএসএসের দিকে মোড় নিয়েছে- এটা অকল্পনীয় এবং এটা আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরএসএস যারা এখন সমর্থন করে এদের কাছে অতীত হিন্দু-বুঝের সেকুলারিজম এখন কেমন লাগে? তারা কি এখনো আরএসএস করেও সেকুলারিজম অপ্রয়োজনীয় বলে বুঝে বাদ দিয়েছেন? এটা পরিষ্কার করে জানা যায় না।
এ ব্যাপারে হাঁ ও না, দুটা জবাবই পাওয়া যায়। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো বাংলাদেশের হিন্দু রাজনীতিতে আরএসএস ও হিন্দুত্ববাদ কিভাবে গ্রহণীয় হতে পারে সেটা দেখতে পাওয়াও এক বিরাট বিস্ময়। অপর বা ৯০ শতাংশ পড়শি নাগরিক বা মুসলমানরা কী বুঝে এ রাজনীতিকে বেছে নেবে? বুঝা সত্যিই মুশকিল! নিজের জন্য রাজনীতি না করে বরং ভারতের আরএসএসের হিন্দুত্বের জন্য রাজনীতি করা কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্য সেকালে মস্কোর বৃষ্টির ছাতা বাংলাদেশে তুলে ধরা গেলে এরা আর এখন দোষ করেছে কী? যাই হোক, এসব প্রশ্ন আগামীতে নিজেই নিজের জবাব হয়ে উঠে আসবে হয়তো। মনে রাখতে হবে খোদ ভারতেরই ভবিষ্যৎ হিন্দুত্ববাদের ভেতরে নিহিত কি না, সেই প্রশ্নই এখনো পুরাটাই অমীমাংসিত।
আবার এই প্রশ্নটা অনেকটা এরকম যে, ইউরোপে হিটলারিজম ফিরে আসতে পারে কী, এমন ধরনের। ইউরোপে হিটলারের নাম না নিয়ে হলেও হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট নামের ধারার সমর্থক বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে এখনো তা বিচ্ছিন্নভাবে ও বিভিন্ন পকেটে। আর ওদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পই সম্ভবত আমেরিকার শেষ ছোট হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট হিসেবে থেকে যাবেন। এদিকে স্টিভ বেনেরা আবার সুপ্রিমিস্ট চিন্তাকে জাগাতে মটিভেশনাল ক্লাস নেয়া শুরু করেছেন ইতালিতে।
বাংলাদেশে যারা নিজেদের প্রীতিলতাদের উত্তরসূরি বলে দাবি করেন, দেখা যাচ্ছে তাদের অনেকে আজকাল মোদি-আরএসএসের দিকে ছুটছেন। স্পষ্ট কথাটা হলো ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে যাওয়া, এই প্রশ্নে প্রথমবার ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করতে যাওয়া আর তা করতে গিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেয়া পর্যন্ত যারা গিয়েছিলেন- তাদের এটা হিন্দু জাতীয়তাবাদের রাজনীতি যা বাস্তবে জমিদার স্বার্থের রাজনীতি। পূর্ববঙ্গের কৃষি উদ্বৃত্ত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে, যা কলকাতায় জমা হচ্ছিল। এর বদলে তা এবার ঢাকায় জমা হবে এটা জমিদার স্বার্থের প্রাণকেন্দ্র ‘কলকাতা’ মেনে নিতে চায়নি। অথচ এটাতে সাধারণভাবে জমিদারি উচ্ছেদের মতো কিছু ছিল না, তাই তাদের গায়ে কোনো আঁচড় লাগার কথাও নয়। তবু এটুকু পরিবর্তনও তারা সহ্য করতে পারেননি। কারণ পূর্ববঙ্গ আলাদা প্রদেশ হয়ে গেলে তাতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না, তাই ‘হারতে’ হতে পারত। এটাই স্বার্থবিরোধের মূল কারণ আর তা থেকে জমিদারদের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উত্থান। কাজেই অনুশীলন বা যুগান্তর নামের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর ওপর অহেতুক বিপ্লবীপনা আরোপের কিছু নেই। তারা বাংলার সবার স্বার্থের রাজনীতি করতেন না, তা সম্ভব ছিল না। বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা মানে, জমিদারের স্বার্থে পূর্ববঙ্গের স্বার্থের বিরোধিতা। এটাই তারা করেছিলেন। এটাকে স্বদেশী আন্দোলন বলে এতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন কি না, সেটা নির্ভর করে আপনার রাজনীতি হিন্দু জাতীয়তাবাদ নির্ভর কি না। কাজেই প্রীতিলতার উত্তরসূরিদের মোদি-আরএসএসের দিকে যাওয়া স্বাভাবিক পরিণতি, নয় কি?
আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতির সময়টা হলো যখন আরএসএস বাংলাদেশে ‘হিন্দু মহাজোট’ দল খুলে বসেছিল। আমরা আরএসএসের আইকন বিনায়ক দামোদর সাভারকারের কালো টুপিটা দেখেও চিনতে পারিনি, কারা আরএসএস আর কারা নয়। অথচ এটা আরএসএস প্রধান মোহন ভগত থেকে শুরু করে আরএসএসের সবার চিহ্ন। এই দল ব্যানারে নিজেদের নাম হিন্দিতে কেন লেখে, সে প্রশ্নও আমরা করিনি। বাঙালি হিন্দু যদি হিন্দির প্রয়োজন বা প্রীতি বোধ করে তাও আবার বাংলাদেশে বসে, বুঝতে হবে এটাই রাজনৈতিক ‘হিন্দুত্ব’- হিটলারি উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ এটা- এখানে তা ছেয়ে বসেছে।
বাংলাদেশে ‘হিন্দু মহাজোট দল’ কবে খোলা হয়েছিল এ নিয়ে অনেক মত আছে। কেউ কেউ ২০১৩ সালও বলে থাকে। তবে আওয়ামী লীগ এদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গিয়েছিল সম্ভবত ২০১৬ সালে। কিন্তু যে বুঝ বা অজুহাতে তা করেছিল তাতেই বোঝা যায় এটাই লীগের ভুল রাজনীতি। লীগ ভেবেছিল এমন ‘হিন্দু মহাজোট দল’ কায়েম হলে সেটা আওয়ামী লীগের ভোট কাটবে। চিন্তার ক্ষেত্রে দীনতায় আক্রান্ত আওয়ামী লীগ! মানে, দলটি চিনতেই পারেনি বাংলাদেশের আরএসএসকে। তাই ভোটের চিন্তাতেই নিজেকে অস্থির রেখেছিল। আবার ব্যাপারটা যেন এমন যে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটই আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনছে! তাই কি?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএসের নেতা, হিন্দু মহাজোটেরও নেতা এখন গোবিন্দ প্রামাণিক। তার সাথে চট্টগ্রামের এক অ্যাডভোকেটের ব্যক্তি বিরোধের কথা জানা যায়। তাই তারা একই দল করতে পারেন না। তবু দেখা যায় প্রিয়া সাহা এদের দু’জনেরই লোক।
এই বিচারে শাহরিয়ারের বক্তব্য এই প্রথম প্রিয়া সাহা, প্রামাণিক অথবা সংশ্লিষ্ট যেকারো অবস্থানের বিরোধিতা করে হাজির করা বক্তব্য গত অবস্থান। তাহলে, লেখক কি বুঝাতে চাচ্ছেন এটাই সরকারের অবস্থান ও লাইন? এমনটা কেউ মনে করতে পারে অথবা করুক- এটাই সম্ভবত তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য। এটা বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বাজনা বাজাতে আসার মতো। এসব করিতকর্মা ব্যক্তিত্বরা এ দেশে আরএসএসের রাজনীতি করতে চায়। উঠতে বসতে আসামের পত্রিকার বিবৃতির হুঙ্কার দিচ্ছে।
একটা কথা আছে, মুখে মাটি যাওয়া বা মাটি খেয়ে ফেলা। আওয়ামী লীগের অবস্থাটা হয়েছে তেমন। এটা লীগকে আরো বড় নির্বুদ্ধিতায় ফেলেছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনের বছরের শুরু থেকে। ভারতের আরএসএস বাংলাদেশে নির্বাচনে পঞ্চাশটা আসন হিন্দু প্রার্থীদের পাইয়ে দেয়ার রাজনীতি খেলেছিল। আর এই ফাঁদে পড়েছিল লীগ-বিএনপি দু’দলই। নির্বাচনে ভারতের সমর্থন এনে দেবে- এই মুলা ঝুলিয়ে দু’দলকেই বিভ্রান্ত করেছিল আরএসএস। বলা হয়ে থাকে, এ কাজে আওয়ামী লীগের সমর্থনে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ নামে সংগঠন খুলে দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় সাংবাদিক চন্দন নন্দীর ভাষ্যমতে, বিএনপির একটি গ্রুপও আরএসএস সমর্থিত দল বা প্রার্থীকে মনোনয়ন দানের কথা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আরএসএসকে ঘোরতরভাবে এখানকার রাজনীতিতে ডেকে আনা তখন থেকে। অথচ ক্ষমতাসীনদের উচিত ছিল আরএসএসের সাথে কোনো রফায় বা কোনো সুযোগ করে দিতে না যাওয়া। তাতে বিএনপি পালটা যদি হিন্দু মনোনয়ন দিয়ে আরএসএসের কোলে গিয়ে উঠত, সেটা মোকাবেলার অনেক বিকল্প ও সহজ রাস্তা ছিল। কিন্তু ‘ধর্মের কল বাতাসেও নড়ে’। তাই কিছু দিনের মধ্যে প্রিয়া সাহারা উন্মোচিত হয়ে যায়, ট্রাম্পের কাছে নালিশকাণ্ড থেকেই তাদের রাজনীতিটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এই অবস্থায় ওই কথিত সাক্ষাৎকারের সবচেয়ে বড় ভান করাটা হলো- এক প্রশ্ন করা হয়েছিল- বাংলাদেশে আরএসএস বাড়ছে। তারা স্থানীয় হিন্দুদের সাথে মিলে একটা শক্তিশালী পাওয়ার ব্লক নাকি বানিয়েছে? জবাবে শাহরিয়ার কবির বলেন যে, তার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। তবে আরএসএস বা হিন্দু মহাজোট ইত্যাদিকে অস্বীকার করলে লীগ নিজের বোকামি ঢেকে রাখতে পারবে না। শাহরিয়ার বাংলাদেশের হিন্দুদের ‘হিন্দু মৌলবাদী’ দল না করতে পরামর্শ প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান ধারা যদি ভারতনির্ভর হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশে আরএসএস পন্থীদের উত্থান ঠেকাবে কে? যেটা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থ নয়, অন্যদেশের স্বার্থে বাংলাদেশে তৎপর এক হিন্দুগোষ্ঠী।
উল্লিখিত সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের জন্য কাউন্টার প্রডাকটিভ হতে পারে। বাংলাদেশের সম্প্রদায় বিশেষের অভিযোগে এদেশের কোনো সরকার ভারতের সাথে জবাবদিহির সম্পর্ক পাতাতে পারে না। ভারতের ক্ষমতাসীনদের এক্ষেত্রে আশ্বস্ত করার কিছুই নেই। প্রিয়া সাহারা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের ‘দুঃখ বেচে খাওয়ার লোক’ হিসেবে তাদের চেয়ে অন্যরা কত নাদান ও অযোগ্য। কারণ তারা ভারতের আরএসএসের ক্ষমতা ও এর শ্রীবৃদ্ধির স্বার্থে তৎপর। বাংলাদেশের দলগুলোকে শাসন ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে আরএসএসকে যদি তারা ক্ষমতার উৎস মনে করে, এর অর্থ হলো-তাদের আরএসএসের রঙের রাজনীতিই করতে হবে। তাতে আর বাংলাদেশের ঐতিহ্য, আদর্শ ও স্বাতন্ত্র্য থাকে না।
বাংলাদেশের কোনো হিন্দু নাগরিকের নালিশ করার জায়গা ভারত হতে পারে না, তারা বাংলাদেশে আরএসএস বা হিন্দু মহাজোটকে ডেকে আনতে পারে না, তারা অথবা আমাদের কোনো সরকার কাউকে দোকান খুলতে দিতে পারে না। আমরাও অন্য দেশের কাছে জবাবদিহি করতে যেতে পারি না। সাম্প্রদায়িকতার অন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি করতে যাওয়ার বদলে নাগরিককে আমাদের রাষ্ট্রে ও দেশেই প্রতিকার দেয়া অথবা নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়ে থাকলে তা ফিরিয়ে দেয়াই সঠিক পথ।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com