এবার জর্দান উপত্যকা নিয়ে লড়াই
জর্দান উপত্যকা - ছবি : সংগ্রহ
মো: বজলুর রশীদ
ইসরাইল পশ্চিম তীরের কিছু অংশ, নির্দিষ্টভাবে জর্দান ভ্যালি ইসরাইলি রাষ্ট্রে সংযুক্ত করবে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্বাচনের আগে ভোটের অঙ্ক বাড়ানোর জন্য এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেল বেনিয়ামিন গান্টজও জর্দান ভ্যালি সংযুক্তকরণের কথা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন। অর্থাৎ অচিরেই জর্দানের মূল্যবান উপত্যকাটি এবার আরবরা হারাচ্ছে। দখলকৃত পশ্চিম তীরের অন্যান্য যে অংশ আছে, সেগুলোও বহুদিন ধরে ইসরাইল নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরো এলাকাটি ৫২ বছর আগে ইসরাইল যুদ্ধের সময় দখল করেছিল। সুদীর্ঘ এই সময়েও জর্দান বা আরব রাষ্ট্রগুলো তা উদ্ধার করতে পারেনি। গোলান হাইটসের পর এবার ঢাকঢোল পিটিয়ে জর্দান ভ্যালির কর্তৃত্ব চলে যাচ্ছে ইসরাইলের হাতে।
এক সময় জর্দানের হাতে ছিল জেরুসালেমের কর্তৃত্ব। ইসরাইলের সাথে জর্দানের চুক্তিও ছিল। জেরুসালেমের পূর্ব অংশে ফিলিস্তিনিদের বেশি বসবাস, তারা ধনাঢ্য ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। তাদের স্বপ্ন ছিল পূর্ব জেরুসালেমে স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী বানাবে। জেরুসালেমকে ইসরাইল রাজধানী করার পর এর সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল। এখন বিভিন্ন অজুহাতে পূর্ব জেরুসালেম থেকে মুসলমানদের বের করে দেয়া হচ্ছে। তাদের কান্না আরব বিশ্বের শক্তিধর নেতাদের কানে পৌঁছে কি না তা জানা নেই। জেরুসালেম যখন জর্দান তথা মুসলমানদের কর্তৃত্বে ছিল, তখন সেখানে একটি গাছের চারাও বছর ধরে রোপিত হয়নি। তবে মূরীয় সভ্যতার সময়, সুলতান সোলাইমানের আমলে এবং ওসমানী খেলাফতের সময় কাজ করা হয়েছে- অনেক বড় বড় দরজা ও খিলান লাগানো হয়েছে। রোমানরা যে ভাঙচুর করেছিল সেটি তেমনই আছে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের সময় লোহার দরজার বুলেটের ছিদ্র তেমনি আছে। আল আকসার বাজার থেকে যে রাস্তা মসজিদের সিঁড়ির কাছাকাছি ছিল, সেখানে উটের গোবরে পথচারী ও পরিব্রাজকদের বিশেষ অসুবিধা হতো। পানি সরবরাহ ও পয়ঃব্যবস্থার সুবিধা ছিল না। জেরুসালেম অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতায় ভরা ছিল। ইহুদিরা যখন পশ্চিম দেয়ালে প্রার্থনা করত তখন ওপর থেকে কিছু বখাটে পাথর নিক্ষেপ করত। আজ সে জেরুসালেম বিশ্বের যেকোনো উন্নত শহরের সমতুল্য। আধুনিক গাড়ি চলার পথ, পয়ঃপ্রণালী, দাউদ আ:-এর মাজারের স্থান, বিবি মরিয়মের থাকা ও ইবাদতের স্থান- এসব সুন্দর করে নির্মাণ করা হয়েছে। দাউদ আ: ও সোলাইমান আ:-এর স্থানগুলো দেখার জন্য সারা বিশ্ব থেকে প্রতিনিয়ত লোকজন সেখানে ভিড় জমায়। ঈসা আ: একটি গাধার পিঠে করে যে রাস্তা দিয়ে জেরুসালেমে প্রবেশ করেছিলেন, সে রাস্তাটি সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। পর্যটকেরা অনেকেই এখনো গাধার পিঠে করে ওই রাস্তা অতিক্রম করেন। অথচ মুসলমানেরা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। হাজার হাজার নবী-রাসূলের পদচারণার জেরুসালেম আজ আমাদের হাতছাড়া। ইসরাইল-জর্দান সীমান্ত রাস্তাঘাট, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওই অঞ্চলের সবচেয়ে উত্তম কৃষি এলাকা জর্দান ভ্যালি। শীত ও গ্রীষ্মে আবহাওয়া এত মধুর যে, সেখানে নানা ধরনের ফল ও সবজির উত্তম ফলন হয়। এই ভ্যালির কলাও বিখ্যাত।
২৬টি আউটপোস্টে সাড়ে সাত হাজার অবৈধ ইহুদিকে সেখানে নেয়া হয়েছে। নেতানিয়াহু এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন সেখানে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং বসবাসের অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে। জর্দান ভ্যালিতে ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি ২০টি শহরে বসবাস করছে। পশ্চিম তীরে ইহুদিরা জনসংখ্যার ২ শতাংশ মাত্র। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ানোর কাজ চলছে। সুজলা সুফলা জর্দান ভ্যালি ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে দখল করার পর থেকেই সব সরকার এটিকে ইসরাইলের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করতে চেয়েছে। পশ্চিম তীরের জায়গাকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলে থাকে ‘সরকারি জায়গা’।
জর্দান ভ্যালির বড় সম্পদ হলো, অফুরন্ত পানির উৎস। এখানে ১৩৩টি গভীর নলকূপ আছে, যা মূলত কৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইসরাইলিরা সম্প্রতি আরো ৩৫টি নতুন কূপ খনন করেছে এবং আশপাশে ফিলিস্তিনিদের যেসব কূপ আছে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, বিশেষ করে সেনাছাউনির কাছাকাছিগুলো। এসব কূপ থেকে ইসরাইল প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার সুপেয় পানি উত্তোলন করে। পানি এত সুস্বাদু ও প্রাকৃতিক যে, এই পানিকে প্রসেসিং প্ল্যান্টে পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না। সেনা কনভয়গুলো যখন ফিরে যায় তখন তাদের লরিতে থাকে এখানকার সুস্বাদু পানি। ভ্যালির এক-তৃতীয়াংশ জমি উন্নত কৃষি কাজে ব্যবহার করার যোগ্য। জর্দান নদীর কাছে ৩-৫ কিলোমিটারজুড়ে প্রায় ৯৯ হাজার একর জমি চাষের জন্য উত্তম। এসব জমি থেকে ফিলিস্তিনিদের তুলে দেয়া হচ্ছে, যাতে ইহুদিরা পরিকল্পিতভাবে সরকারি অর্থ সাহায্যে আধুনিক কৃষি খামার ও বিপণনব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। এখানে ইসরাইলি সরকার ৯০টি সেনাছাউনি বানিয়েছে ‘নিরাপত্তার’ জন্য।
জর্দান ভ্যালির ইসরাইলি সেনাবহর বেশ সক্রিয়। তারা কোনোভাবেই এমন চমৎকার স্থান হারাতে চায় না। পশ্চিম তীরের যেকোনো ফিলিস্তিনির জর্দান ভ্যালিতে যেতে হলে ইসরাইলি প্রশাসন থেকে বিশেষ পারমিট সংগ্রহ করতে হয়। অবস্থা দেখে মনে হয়, এই স্থান যুগ যুগ ধরে যেন ইসরাইলের। যেসব ফিলিস্তিনির বাড়িঘর জর্দান ভ্যালির বাইরে কিন্তু চাষের জমিজমা ভ্যালিতে, তাদের এখানে ঢুকতেই দেয়া হয় না। ফলে এসব চাষির কোনো আয় নেই। যেসব পুরুষ পশ্চিম তীরে বিয়ে করেছে, কিন্তু বাড়িঘর ভ্যালিতে, আইডি কার্ডের ঠিকানাও ভ্যালিতে, তারা একবার এলাকা থেকে বের হলে আর ঢুকতে না দেয়ার ভয়ে পরিবার-পরিজন ফেলে সেখানেই রয়ে গেছে। এ বিষয় থেকে অনুমান করা যায়, কী পরিমাণ নির্যাতন ফিলিস্তিনিরা ভোগ করছে। নেতানিয়াহু মনে করেন, যদি কখনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ও, সেটি মৃত মরুসাগরের এলাকায় এমনভাবে স্থাপন করা হবে, যেন অন্য কোনো আরব দেশের সাথে সংযুক্ত না থাকে। তাহলে? ফিলিস্তিনি বা আরবরা নয়, ইহুদিরা যেভাবে চিন্তা করছে সেভাবেই তৈরি হবে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলি রাষ্ট্রের সীমানা! জর্দান ভ্যালির গুরুত্বের জন্য এই এলাকাও জর্দান থেকে তারা দূরে রাখতে চায় এবং সেই ছকেই ইসরাইল এগিয়ে যাচ্ছে।
ইসরাইলি নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো সবাই একমত, জর্দান ভ্যালি কুক্ষিগত করা গেলে পুরো পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। পশ্চিম তীর দখল এবং সংযুক্তকরণও এখন সময়ের ব্যাপার। এরপর ইসরাইল তাদের পুরো নিরাপত্তা ছক ও সেনা মোতায়েনের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোবে। এখান থেকে বহু দূরের এলাকা আর উঁচু পাহাড়ি অঞ্চল পাহারা দেয়ার সুযোগ আছে; নিরাপত্তার জন্য যা খুব প্রয়োজন। এসব কাজের জন্য পুরো এলাকা সামরিকীকরণ করা হবে। জর্দানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডো সেনাদের বড় ঘাঁটি। বাদশাহর পক্ষে জনগণের সমর্থন বেশি নেই। ব্রাদারহুড শক্তিশালী। যদি ব্রাদারহুডকে সমর্থন দেয়া হয় ও কমান্ডো সেনারা কর্তৃত্ব নেয়, তখন জর্দানের বাদশাহর যেকোনো সময় পতন হতে পারে। এই ভয়ে জর্দান অস্থির।
জর্দান ভ্যালিতে কৃষি ও পর্যটন খাতে হাজার মিলিয়ন শেকেলের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসরাইল। জর্দান ভ্যালি অসলো চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ- উভয়ের যৌথ নিয়ন্ত্রণে থাকার চুক্তি রয়েছে। চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনিরা ৮৫ বর্গকিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ করে, এটি এলাকার মাত্র ৭.৪ শতাংশ, ইসরাইল নিয়ন্ত্রণ করছে এক হাজার ২০ বর্গকিলোমিটার, ৮৮.৩ শতাংশ, আর যৌথ নিয়ন্ত্রণে ৫০ বর্গকিলোমিটার, ৪.৩ শতাংশ। বাস্তবে ইসরাইল পুরোটাই নিযন্ত্রণ করছে, যাতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে জর্দানে ঠেলে দেয়া যায়। ইসরাইলের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ফিলিস্তিনিরা পুরো জর্দান ভ্যালির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথে বসবে। এটি প্রতিরোধের কোনো
চিন্তাভাবনাই নেই।
জর্দানের যখন এ রকম অবস্থা তখন সমাজপতিরা ‘ধর্ষক আইন’ নিয়ে ব্যস্ত। বিষয়টি চার বছর ধরে জর্দানে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। জর্দানের সমাজে কোনো যুবতীকে ধর্ষণ করা হলে বিচারে ধর্ষকের সাথে মেয়ের বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়। এই বিধান নিয়ে দুই পক্ষ সমাজকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে। এ বিধানটি আইনসিদ্ধ এবং দণ্ডবিধির ৩০৮ ধারায় স্বীকৃত। অথচ এটি ধর্ষককে সাজা না দিয়ে পুরস্কৃত করার শামিল। জোরপূর্বক বিয়ের পর ধর্ষক বালিকার আইনগত অভিভাবকে পরিণত হয় তার সম্মতি ছাড়াই, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। বালিকা ও তার বাবা-মায়ের অমতে এই বিয়ে অনেক সময় খুনখারাবির জন্ম দিয়ে সমাজ আরো কলুষিত করে তোলে। মহিলা ও মানবাধিকার কর্মীদের অনেক বছরের আন্দোলনের পর আইনি বিধানটি সম্প্রতি জর্দান বাতিল করেছে। বাদশাহর চাচী প্রিন্সেস বাসমা বিনতে তালাল বিধানটি বাতিল করাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সাবেক তথ্যমন্ত্রী সালেহ আল কালাব, আইনে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের বিধানের দাবি জানিয়েছেন আল কুরআনের সূরা বাকারার ১৭৯ আয়াতের উল্লেখ করে। কথা হলো, এসব তো ১৪ বছর আগেই নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন ছিল। কার স্বার্থে করা হয়নি? জর্দানে আরেকটি অদ্ভুত সামাজিক নিয়ম হলো কোনো বাড়িতে বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে থাকলে পতাকা উড়িয়ে দিতে হবে। জর্দানিরা মনে করে, এই বালিকার বিয়ে দেয়া সমাজের সবার দায়িত্ব।
আরেকটি বদ অভ্যাস হলো ‘সিসা’ পান। বিকেল হলে দলে দলে লোকজন ধূমপানের হাতল নিয়ে হস্তিযাত্রার মতো বাজারে গমন করে। সে হাতলে নানা কারুকাজ। সোনা, রুপা, পিতলসহ নানা কিছুর তৈরি বাহারি হাতল নিয়ে আয়েশ করে গুড়গুড়ি টানে, মনসফ খায়, কফি পান করে; সাথে আরবি ও পশ্চিমা গানের মিউজিক শুনে অনেক রাতে বাড়ি ফেরে। জর্দানের আম্মানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বলরুম; জর্দান ভ্যালিতেও রয়েছে কিছু। এখানে নিয়মিত ব্যালে ডান্স ও আধুনিক আরবি পপগানের আসর বসে।
ইসরাইলের সাথে সম্পাদিত শান্তিচুক্তির আওতায় করা, ২৫ বছর মেয়াদি ভূমি চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দিয়েছে জর্দান। চুক্তি অনুসারে পানিসমৃদ্ধ ও চাষাবাদের উপযোগী ওই জমি ২৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিল ইসরাইল, যেখানে বর্তমানে সে দেশের কৃষকেরা চাষাবাদ করছে। এই চুক্তির মেয়াদ ২৫ বছর, চলতি বছরের অক্টোবরে ২৫ বছর পূর্ণ হবে। চুক্তির একটি বিশেষ ধারার আওতায় ইসরাইলিদের সেখানে ভূমির ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকারের পাশাপাশি অবাধ চলাচল করতে দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালের শান্তিচুক্তি অনুসারে, ইসরাইল তাদের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী জর্দানের ‘আল-গুমার’ নামের ৪০৫ হেক্টর আবাদি জমি ইজারা নেয়। জর্দান ও ইয়ারমুক নদীর মিলনস্থলসংলগ্ন, সীমান্তবর্তী ‘আল-বাকুরা’ নামক অঞ্চলও ইজারা দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালে চুক্তি হলেও ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ভূখণ্ড দু’টি দখলে রেখেছে ইসরাইল। জনগণের তরফ থেকে প্রতিবাদের কারণে জর্দানের বাদশাহ সে চুক্তি নবায়ন করতে চাচ্ছেন না। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘এগুলো জর্দানের ভূমি আর তাই থাকবে’। এখন এই চুক্তি নবায়ন হওয়ার আশা ক্ষীণ। কিন্তু তাতে কী, ইসরাইল এর আগেই ঘোষণা দিয়েছে আম্মানের পর জর্দানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব কায়েম করার জন্য।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বাংলাদেশ
সরকার ও গ্রন্থকার