টার্গেট ভারত : চীন-পাকিস্তানে বিশাল বিমান মহড়া

জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমান - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের সাথে পাকিস্তানের তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই চীন ও পাকিস্তান বড় ধরনের বিমান মহড়া সম্পন্ন করেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে আকাশযুদ্ধ এবং এখন কাশ্মির নিয়ে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া হলো। এতে সত্যিকারের যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহ তৈরি করা হয়। ফলে এই মহড়াটি এই অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
চীন ও পাকিস্তানের অর্ধশতাধিক জঙ্গি বিমান শুক্রবার দুই সপ্তাহব্যাপী ব্যাপকভিত্তিক ও ‘সঙ্ঘাতশীল’ মহড়া শেষ করেছে উত্তরপশ্চিম চীনে। সামরিক বাহিনীর এক পর্যবেক্ষক এটিকে ‘সত্যিকার পর্যায়ের যুদ্ধ’ মহড়া হিসেবে অভিহিত করেছেন।
চীনা সামরিক বাহিনী জানায়, চীন ও বিদেশী বিমানের সমন্বয়ে ১৫ দিনের এই মহড়া ছিল বৃহত্তম যৌথ বিমান মহড়া। এতে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ ইউনিট ও সরঞ্জাম অংশ নেয় বলেও জানানো হয়।
তবে উত্তর পশ্চিম চীনের ঠিক কোথায় চীন-পাকিস্তান এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানানো হয়নি। পাকিস্তানের বালাকোটে তথাকথিত সন্ত্রাসী ক্যাম্পে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আকাশযুদ্ধের পর এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হলো।
গত ২৩ আগস্ট শাহিন ৮ নামের মহড়াটি শুরু হয়।
চীনা বিমানবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ তাদের বিমান বাহিনীর শ্রেষ্ঠত্ব, স্থল টার্গেটে হামলা, বিমান থেকে বিমানে হামলা ইত্যাদি বিষয় অনুশীলন করে।
এটি বার্ষিক মহড়া হলেও এবার তা ছিল এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপকভিত্তিক।
বিবৃতিতে বলা হয, যৌথ মহড়ায় সব বাহিনী ও বিভিন্ন ধরনের সৈন্যের মধ্যে সমন্বিত ভূমিকা রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা সবসময় একসাথে কাজ করার অনুভূতি অর্জন করেছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মি বিমান বাহিনীর জে-১০সি, জে-১৬ ও আগাম সতর্কতা বিমান এবং সেইসাথে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, যোগাযোগব্যবস্থা ইত্যাদি ব্যবহার করে। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জে-১৭ থান্ডার, মিরেজসহ বিভিন্ন ধরনের বিমান এতে অংশ নেয়। মহড়ার সময় পিএলএর নৌবাহিনীর বিমান শাখা এসময় একটি বিমানবাহী রণতরী সহায়তা প্রদান করে।
সিনিয়র কর্নেল দু ওয়েনলং চায়না মিলিটারি অনলাইনকে বলেন, পাকিস্তান এতে জেএফ-১৭, মিরেজ জঙ্গি বিমান, আগাম হুঁশিয়ারি ব্যবস্থা, অন্যান্য স্থল সৈন্য পাঠায়। ফলে এটি হয়ে পড়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ক্ষুদ্র সংস্করণ। তারা তাদের হাতে থাকা সব ধরনের অস্ত্র এ সময় ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, এই মহড়ায় পাকিস্তানি পক্ষ সত্যিকারের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। আর চীনা পক্ষ তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শন করে।
এই মহড়া আগেরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি যুদ্ধাভাব ছিল। তারা জটিল পরিবেশে কিভাবে যুদ্ধ করা যাবে, তা নিয়ে হাতেকলমে শিক্ষা গ্রহণ করে।
চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। তারা যৌথভাবে জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমান আধুনিকায়ন করছে।
হিন্দুস্থান টাইমস