কেন ব্যর্থ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি
কেন ব্যর্থ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি - ছবি : সংগ্রহ
সফলতার অনুসরণ মানব সমাজের একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। সফল ব্যক্তি বা কোনো ধারণাকে মডেল হিসেবে ধরে তাকে হুবহু অনুসরণ করা বা তাকে আত্মস্থ করে নিয়ে সে অনুসারে চলা হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয়- আমরা আমাদের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই কিছু ব্যর্থ ধারণা অনুসরণ করে চলেছি। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই অনুসরণ আরো প্রকট। আমরা বাজেট প্রণয়নসহ সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে পশ্চিমা চিন্তাধারা অনুসরণ করছি, সেটা একটি ব্যর্থ অর্থনীতি। অর্থনীতির ব্যাপারে আমার যেটুকু ক্ষুদ্রজ্ঞান, তাতে বিষয়টি একেবারে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ। পশ্চিমা যেকোনো অর্থনীতিবিদের কাছে জানতে চাইলেও তিনি তা স্বীকার করবেন। যে অর্থনীতিকে একটি ডলারের ৭৫ ভাগ ঋণ করে চলতে হচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই টেকসই অর্থনীতি হতে পারে না। যে অর্থনীতির আনফাউন্ডেড ট্যাক্স ৭০+ ট্রিলিয়ন ডলার, যে অর্থনীতি ফিসক্যাল ক্লিফসে (ভরংপধষ পষরভভ) রয়েছে সেই অর্থনীতি ভেঙে পড়তে বাধ্য।
আমেরিকান অর্থনীতির কথাই বলছি। তারাই তো এখন ‘ডমিনেন্ট ইকোনমি’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও তাদের জিডিপির ৪০-৪৫ শতাংশ আসত বাণিজ্য থেকে, বিভিন্ন ধরনের পণ্যবিক্রি থেকে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ডকট্রিন অব কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আমার কাছ থেকে কেন পণ্য কিনবেন? কারণ আমি অন্যের চেয়ে সস্তায় পণ্য দিতে পারছি। যদি না পারি, তাহলে কেউ কিনবে না। খুবই সাধারণ কথা। আমেরিকা এই সুবিধা হারিয়ে ফেলেছে শুধু অস্ত্র ও উদ্ভাবন ছাড়া। কারণ, সারা দুনিয়া থেকে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে তারা মেধাগুলোকে কিনে নিয়ে গেছেন। আমাদের সেরা মেধাগুলো ওখানে গিয়ে কাজ করছে।
মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে মিসরের এককালীন নেতা জামাল আবদুন নাসের শিক্ষার পেছনে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন। মুসলিম বিশ্বে মিসরের মতো এত মেধা আর কোথাও নেই। এরপরও তারা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হারিয়ে ফেলায় মরিয়া হয়ে অস্ত্র বিক্রির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। যেখানে যুদ্ধ নেই সেখানে যুদ্ধ বাধাতে চাচ্ছে। যুদ্ধ বাধাতে পারলেই অস্ত্র¿ বিক্রি করা যাবে, এখানে তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রেও তাদের সেই সুবিধা বেশি দিন থাকবে না। চীন ও রাশিয়া অনেক সস্তায় ও কাছাকাছি প্রযুক্তিগত সুবিধাসম্পন্ন অস্ত্র তৈরি করতে শুরু করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো বলাই হচ্ছে, ‘অন্যদের কিছু অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে উন্নত’।
আমেরিকার যে ঋণ তা শোধ করতে কত বছর লাগবে, এর ইয়ত্তা নেই। দেশটির সেন্ট্রাল ব্যাংক রীতিমতো একটি ‘মাফিয়া’। অনেকেই হয়তো জানেন না, যাকে সবাই আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ হিসেবে চেনে, সেটি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, এটা আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নয়। এটা হলো ধনিক গোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠান। তারা নোট ছাপায় আর আমেরিকার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে। ১৯১৩ সালে এই ফেডারেল রিজার্ভ আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
এই অনুমতি দেয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত তাকে অনুতপ্ত হতে দেখা গেছে। এই সিদ্ধান্ত বাতিলের চেষ্টাও করেছিলেন কোনো কোনো প্রেসিডেন্ট, কিন্তু পারেননি। সরকার উল্টে দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখে ফেডারেল রিজার্ভ। আমেরিকান অর্থনীতির ভিত্তি হলো ঋণ। আর সেই অর্থনীতির আদলে আমাদের অর্থনীতি চলছে। আমাদের জিডিপির হিসাব তাদের মতো করে করা হচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় তাদের মতো করেই করছি। আমরা যে বৈষম্য নিয়ে কথা বলি, সেগুলোর তোয়াক্কা তারা করে না। বিশ্বের ৯০ ভাগ বিলিয়নিয়ার আমেরিকায় গিয়ে জমা হয়েছে। বিশ্বের তাবৎ সম্পদের ৯৯ শতাংশ গুটিকতক ব্যক্তির হাতে সীমাবদ্ধ। তারা এখন পৃথিবীকে দূষিত করে মহাশূন্যে অবকাশ যাপনের জন্য যাচ্ছে। বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, এক রাত থাকার জন্য ৩৫ হাজার ডলার দিতে হবে। এর জন্য বুকিংও শুরু হয়ে গেছে। মহাশূন্যে এক মাস ট্যুর করে আসতে কয়েক কোটি ডলার লাগবে। এত অর্থ খরচ করেও মহাশূন্যে ঘুরতে যাওয়ার লোক আছে।
পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, সেখানে কোটি কোটি ডলার খরচ করে কেউ কেউ মহাশূন্যে ঘুরতে যাচ্ছে। মহাশূন্যে যাওয়াকে নিরুৎসাহিত করছি না। বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে হবে, জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে এটা করতে হবে। কিন্তু অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। তাই বলছি, পশ্চিমা অর্থনীতির আদলে চললে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি বা সমৃদ্ধি আসবে না। বাংলাদেশের বয়স ৪৮ বছর হয়ে গেছে, পাকিস্তানসহ ধরলে ৭১ বছর, একটি প্রজন্মের জন্য এটা একটি ‘ম্যাচিউর এজ’। অথচ আমরা আজো অর্থনৈতিক স্বকীয়তা অর্জন করতে পারিনি, স্বাবলম্বী হতে পারিনি।
পাশ্চাত্যের বা পশ্চিমা অর্থনীতি নিয়েই পড়াশোনা করার সুবাদে আমি বলতে পারি, তাদের ৮০ শতাংশ অর্থনৈতিক ধারণাই আমাদের সমাজে প্রযোজ্য নয়। ওই অর্থনীতি ব্যক্তিকেন্দ্রিক, পরিবারভিত্তিক নয়। অথচ আমরা একটি পরিবারভিত্তিক সমাজে বাস করছি। এই পরিবারভিত্তিক সমাজের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা যে দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখছি তা দিয়ে রাজনৈতিক স্লোগান দেয়া যাবে, কিন্তু তাতে টেকসই ফল আসবে না। এরই প্রেক্ষাপটে ত্রিমুখী বাজেট প্রণয়নের কথা বলেছি। আমাদের খাত আছে তিনটি- করপোরেট, নন-করপোরেট ও স্বেচ্ছাসেবক। করপোরেট খাতের ওপর সরকার বেশি জোর দেয়। অথচ এর মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমাদের অর্থনীতির একটি বড় অংশ হলো নন-ফরমাল সেক্টর। এখানে ২৪ হাজারের বেশি এনজিও রয়েছে যাদেরকে অদৃশ্য সরকার বলা যায়। গ্রামীণ চার কোটি নারী এদের কাছে ঋণগ্রস্ত। এরা ঋণগ্রস্ত অবস্থায় জন্ম নিচ্ছে, জীবন কাটাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত ঋণ নিয়েই মারা যাচ্ছে। এদের ঋণ মওকুফ করার জন্য আমি সরকারের কাছে প্রস্তাবও করেছিলাম।
চার কোটি নারী ঋণগ্রস্ত থাকা মানে দেশের জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ ঋণগ্রস্ত থাকা। কিন্তু কিভাবে এটা করা যায়? সে জন্য ক্যাশ ওয়াক্ফের কথা বলেছি। ওয়াক্ফের অর্থ অমুসলিমের জন্যও খরচ করা যায়। এটাই ওয়াক্ফের সৌন্দর্য। এটা ইসলামেরও সৌন্দর্য। জাকাতের টাকাও অমুসলিমদের দেয়া যায়, ঋণগ্রস্তদের ঋণমুক্ত হওয়ার জন্য দেয়া যায়। ইসলামের নাম শুনলে নাক র্সিটকানোর কোনো কারণ নেই। এটি একটি জীবন দর্শন। এর মূল্যবোধগুলো প্রচার করা দরকার। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। টেকসই রাজনীতি করার জন্যও মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ক্যাশ ওয়াক্ফ করা হলে যেমন একটি পারপিচুয়াল সম্পদ সৃষ্টি হবে, তেমনি এই সম্পদের আয় থেকে ওই চার কোটি নারীকে অনায়াসে ঋণমুক্ত করা যায়।
আমাদের বাজেটগুলোতে যদি পশ্চিমা অর্থনীতির পাশাপাশি সনাতন অর্থনীতির প্রতি নজর দেয়া হতো, তাহলে দ্রুত আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসত। পশ্চিমা অর্থনীতির সব কিছু খারাপ নয়। তাদেরও অনেক ভালো দিক রয়েছে। ভালো কিছু গ্রহণ করতে বাধা নেই। প্রত্যেক সিস্টেমে কিছু ভালো দিক থাকে। কোনো ধর্মেই প্রতিবেশীর ক্ষতি করতে বলা হয়নি; প্রতিহিংসা করতে বলা হয়নি। কোনো ধর্মই চুরি করা সমর্থন করেনি। কোনো ধর্মেই পরিমাপে কম দিতে বলেনি। ইসলাম এটা করতে সরাসরি নিষেধ করেছে। এমন কোনো ধর্ম নেই- ব্যবসা করতে অসৎ পন্থা অবলম্বন করতে বলেছে। কর্মজীবনে বহু সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষের সাথে মিশেছি। ছয়টি দেশে কর্মজীবন কেটেছে। পশ্চিমা ত্রুটিপূর্ণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক অর্থনীতি আজকে পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পরিবার ধ্বংস হলে সভ্যতা টিকবে না। অনেক সভ্যতাই ধ্বংস হয়ে গেছে। পশ্চিমা সভ্যতাও ধ্বংস হওয়ার পথে। তাদের অনেক দেশে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশেরও কম।
জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি ১.৭ শতাংশ হলে এক প্রজন্মের জায়গায় নতুন প্রজন্ম স্থান করে নিতে পারে। কিন্তু তাদের নতুন প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে না। এর মানে হলো, ১০০ বছর পরই তাদের প্রজন্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এভাবে পশ্চিমা সভ্যতার স্বাভাবিক অপমৃত্যু ঘটছে। তাকে সঙ্ঘাতে মৃত্যুবরণ করতে হবে না, নিজে থেকেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন তারা কুকুর-বিড়ালের নামে সম্পত্তি উইল করে দিচ্ছে। অর্থাৎ, এমন মানুষ নেই, যাকে সম্পত্তি লিখে দেয়া যায়। অবিশ্বাস্য মনে হবে, যখন দেখবÑ পশ্চিমের অনেক দেশে শুধু কুকুর-বিড়ালের খাবারের পেছনে যত খরচ হয়, তা তাদের পুরো পাবলিকেশন্স ইন্ডাস্ট্রিতেও খরচ হয় না। কতটা অমানবিক সমাজে পরিণত হয়েছে সে সমাজ। আমরা মানুষকে ভালোবাসতে ভুলে গেছি, স্বার্থপর হয়ে গেছি। সেখানে এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীর সাথে কথা বলছে না, কিন্তু ৫০টা কুকুর পুষছে।
লক্ষ করলে দেখব, আমাদের দেশেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাই বলব, শুধু অর্থনীতি কেন, সনাতন সমাজের রীতিনীতির সাথে সঙ্গতি রেখে এখানকার প্রতিটি নীতি প্রণয়ন করা উচিত। পশ্চিমাদের অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা কিভাবে সামাজিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছি, এর একটি উদাহরণ দিচ্ছি। আমাদের এখানে বিনামূল্যে নারীশিক্ষা চালু করা হয়েছে। আমি একে ধন্যবাদ দিই। কিন্তু নারী শিক্ষা ও পুরুষ শিক্ষার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে পারিনি আমরা। ফলে এখন স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশি শিক্ষিত- এমন উদাহরণের অভাব নেই। এতে পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। শুধু আবেগতাড়িত হয়ে কিছু করলেই সেটি পরিনামে সুফল বয়ে আনে না। আমাদের সমাজের কৃষ্টিগুলো বিচার করে, মূল্যবোধগুলো সামনে রেখে আমাদের শিক্ষানীতি, অর্থনীতিসহ সব কিছু পরিচালিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এমনটি করা হয়নি। ফলে আজ বাবা-মা নিজেদের সন্তানের ওপর কর্তৃত্ব হারিয়েছে। ছাত্রের ওপর শিক্ষকের নৈতিক অধিকার বজায় নেই। শিক্ষাঙ্গনের সাথে জীবনের সংযোগ হয়ে গেছে বিচ্ছিন্ন। যুবসমাজও তাদের জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্ন হারিয়ে ফেলেছে।
আমাদের অর্থনৈতিক নীতিগুলো এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যেন কল্যাণ করতে গিয়ে তা উল্টো সামাজিক অকল্যাণ বয়ে না আনে। আমাদের বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে শুধু ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস করা হয়; ইকোনমিক, সোস্যাল ও মোরাল অ্যানালাইসিস করা হয় না। সে কারণেই আজকে সমাজে নৈতিক ও মানবিক অবক্ষয়গুলো দেখতে পাই। বার্ষিক বাজেটের মধ্যেই এসব বিষয় বিশ্লেষণ থাকা উচিত। অর্থাৎ, এ কাজ করা হবে; ফলে এই উপকারগুলো হবে, আর ওই অপকারগুলো হবে। তখনই জবাবদিহিতা তৈরি হবে। সামাজিক ও নৈতিক জবাবদিহিতার বিষয়গুলো আমাদের বাজেটে অনুপস্থিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাব, যেন তিনি আমাদের সমাজের চিরন্তন মূল্যবোধগুলো সুদৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে তার সামনে ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে বলে আমি মনে করি। ওপরের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণও সাধিত হতে পারে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিতে পারেন।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
hmct2004@yahoo.com