গর্ভাবস্থার পর প্রথম পিরিয়ড : নিম্নোক্ত বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
গর্ভাবস্থার পর প্রথম পিরিয়ড : নিম্নোক্ত বিষয়ে সতর্ক থাকবেন - ছবি : সংগ্রহ
গর্ভাবস্থা কালে নারীদেহে নানা হরমোনের আদান প্রদানের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে। প্রেগন্যান্সি পার হয়ে গেলে দেহ আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। শুরু হয় নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঋতুস্রাব। প্রসবের ঠিক পর পর মেয়েদের ঋতু চক্রে কিছু বদল আসে। মায়েদের স্তন্যপানের ওপর মূলত নির্ভর করে, কখন মায়ের আবার পিরিয়ড শুরু হবে।
সব নারীর শরীরের গঠন আলদা, তাই তাদের দেহ বিজ্ঞানও কিঞ্চিৎ আলাদা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নব্য মায়েরা শুধু নিচের বিষয়গুলোর ওপর খেয়াল রাখুন
স্তন্যপান
যে সমস্ত মা স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাদের পিরিয়ড হতে একটু সময় লাগতে পারে। অনেক সময় সন্তান প্রসবের ছয় মাস পরও পিরিয়ড হয়। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলেন, ব্রেস্টফিডের সঙ্গে পিরিয়ডের প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সাধারণত যারা স্তন্যপান না করিয়ে বাচ্চাকে ফর্মুলার দুধ পান করান, তাদের ঋতুস্রাব শুরু হয় তাড়াতাড়ি।
শরীরচর্চা
সন্তান প্রসবের পর যত তাড়াতাড়ি শরীরচর্চা করে আগের অবস্থায় ফিরে আসা যাবে, ততই স্বাভাবিক হতে থাকবে মেন্সট্রুয়াল সাইকেল। কোমরে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। ঘুমও গভীর হবে। এক্ষেত্রে হাঁটার মতো ভালো শরীরচর্চা হয় না। সপ্তাহে অন্তত তিন বার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের ব্রিস্ক ওয়াক করুন। ডিপ ব্রিদ (বড় বড় করে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া) করতে পারেন। এছাড়া হেড লিফট, শোল্ডার লিফট করতে পারেন।
গর্ভনিরোধ
একটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে গর্ভাবস্থা নিয়ে। অনেকর ধারণা সন্তানকে স্তন্যপান করানো অবস্থায় মহিলারা আরেকবার গর্ভবতী হন না। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। আসল কথা হলো, সন্তান প্রসবের পর আপনার পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগেই আপনি গর্ভবতী হতে পারেন। তাই যে মুহূর্তে আপনার যৌন জীবন সক্রিয় হয়ে উঠছে, গর্ভনিরোধকের ব্যবস্থা নিন।