দাগি আসামির সাথে প্রেম, অতঃপর বিয়ে তরুণী পুলিশের
গ্যাঙস্টারের সঙ্গে পুলিশের বিয়ের এই ছবিটাই ছড়িয়ে পড়েছে - ছবি : সংগৃহীত
গ্যাংস্টারের সঙ্গে পুলিশের প্রেম! সিনেমার পর্দায় এ দৃশ্য অপরিচিত নয় মোটেই, তা বলে বাস্তবে! সম্প্রতি এই প্রেমের কথাই ভারতের গ্রেটার নয়ডার মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দিকে আদালতে নিয়ে আসার সময় তাকে দেখেই নাকি প্রেমে পড়ে যান কর্তব্যরত এক তরুণী পুলিশকর্মী। দু’জনে সম্প্রতি বিয়েও করেছেন।
তাদের প্রেমের কাহিনির শুরুটাও হুবহু সিনেমার দৃশ্য। সেটা ছিল ২০১৪ সাল। মনমোহন গয়াল নামে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয় রাহুল থাস্রানা নামে ওই গ্যাংস্টার। রাহুলের বয়স তখন ৩০ বছর। হাতকড়া পরানো অবস্থায় তাকে সুরজপুর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। রাহুলের বিরুদ্ধে শুধু এই একটা নয়, একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। সঙ্গে ডাকাতি, অপহরণের মতো একাধিক অপরাধের মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। এমন এক গ্যাংস্টার বলে কথা, তাই আদালতে চারপাশে তখন কড়া পুলিশি প্রহরা।
প্রহরায় ছিলেন পায়েল নামে গৌতমবুদ্ধ নগর থানার এক মহিলা পুলিশও। প্রথম দিন দেখেই গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়ে যান তিনি। সে দিন অবশ্য দু’জনের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। তবে একাধিক অপরাধের সুবাদে প্রায়ই জেলে যাতায়াত লেগে থাকত রাহুলের। আর এই দেখাসাক্ষাৎ হতে হতেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি তারা বিয়েও করেছেন।
রাহুল বর্তমানে জামিনে মুক্ত। সে-ই বিয়ের ছবি শেয়ার করেছে। ছবিতে তাদের বর-কনের সাজে দেখা যাচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে পায়েলের কোনো খোঁজ নেই। তারা কোথায় রয়েছেন তাও জানা যায়নি। পায়েল অন্য কোনো থানায় কর্তব্যরত কি না তা-ও অজানা, জানিয়েছেন গৌতমবুদ্ধ নগর থানার পুলিশ অফিসাররা। তাদের দু’জনের বিয়ের ছবি দেখে রীতিমতো তাজ্জব একসময়ে পায়েলের সহকর্মীরা। ভিতরে ভিতরে যে তাদের দু’জনের সম্পর্ক এতদূর গড়িয়েছিল, তা ঘূণাক্ষরেও টের পাননি তারা।
গ্যাংস্টার রাহুলের অপরাধ জগতে প্রবেশ ২০০৮ সালে। ২০১৭ সালে বেআইনি আগেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে শেষবারের মতো তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে এতদিন তার আর কোনও খোঁজ ছিল না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা